আবাসনএবংশহরাঞ্চলেরদারিদ্র্যদূরীকরণমন্ত্রক
নগর কেন্দ্রিক স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে সুরাত শহরএই সঙ্কটকালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে
Posted On:
13 APR 2020 3:34PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১১ এপ্রিল, ২০২০
সুরাত,হীরক শহর বলে পরিচিত ভারতের একটি প্রগতিশীল শহর। গুজরাটের বিভিন্ন অংশ বা দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এই শহরে চলে আসায়,শহর টি অর্থনৈতিক দিক থেকে দ্রুত সমৃদ্ধ হচ্ছে। সুরাত শহরটির ,ডি এফ++ তকমা রয়েছে।স্বচ্ছতা অভিযান কালে,সুরাত এক উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
বিশ্ব জুড়ে যখন কোভিড-19 অতিমারী প্রবল আকার নিয়েছে,ভারতের শহরগুলিও তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না,সুরাত শহর কিন্তু নাগরিক দের সুরক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগে থেকেই উন্নত পরিকল্পনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে শহরবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সুরাত শহরের পরিকল্পনা গুজরাট সরকারও পরবর্তী কালে অনুসরণ করছে।
সংক্রমণ একজনের থেকে আর একজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে যাতে না পারে বা সংক্রমণের শৃংখল ভাঙতে মহামারি সংক্রান্ত বিদ্যার প্রত্যেকটি দিকের ওপর খেয়াল রাখা হচ্ছে। সন্দেহজনক সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা এবং তাদের জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুরাত নগর নিগম,তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসা করা।
'সুরাত নগর নিগম কোভিড-19 ট্র্যাকার ব্যবস্থায়' ,সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ চলছে এবং তাদের সংক্রমণজনিত পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ ৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে আসছে। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজেই,বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বা দেশের অন্য কোনো রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে।পাশাপাশি সেই ব্যক্তি কোভিড-19 সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে কিনা তাও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জানা যাবে। এ ছাড়াও সুরাত নগর নিগম একটি হেল্প লাইন নাম্বারও চালু করেছে। 1800-123-800 নাম্বারে ফোন করে নাগরিক রা যাবতীয় পর্যটক বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেন। নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক রা পরে সেই তথ্য যাচাই করে দেখছেন। এই আপের মাধ্যমে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে।
প্রযুক্তির পাশাপাশি সুরাত নগর নিগম বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করছে সুচারুভাবে। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের বিশেষ নির্দেশ মেনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে তা বায়োমেডিকাল পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এই কাজ সঠিক ভাবে চলছে কিনা,সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি চলছে।
জনবহুল এলাকায় যেখানে জীবানুনাশক বা নির্বিষকরনের কাজ চলছে,স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা সুরাত নগর নিগমের ব্যবস্থাপনায় চলে আসছে। কোভিড-19 সংক্রমণ প্রতিহত করতে জীবানুনাশকের কাজকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।পুরসভা এবং দমকল বাহিনী নিয়মিত এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে:-
(১) প্রতিদিন জনবহুল স্থানে জীবানুনাশ করা।
(২) সংক্রমণ স্থলের জীবাণুমুক্ত করার বিবরণ স্বয়ংক্রিয় ভাবে পুরসভার কাছে পৌছে যাওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণ হয়েছে এমন অঞ্চলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অঞ্চলটিকে উৎসস্থল হিসাবে তুলে ধরে চারপাশের ৩ কিলোমিটার অঞ্চলকে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।
(৩) এই সঙ্কট্কালে সামনের সারির যোদ্ধাদের যা প্রয়োজন তাও সুরাত পুরসভার হাতে চলে আসছে স্বয়ংক্রিয় ভাবে। পুরসভা এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ায়ে,একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পুরসভার কাজে কোনো অভিযোগ থাকলে যাতে তা নগরবাসীরা জানাতে পারেন সেই জন্য একটি অভিযোগ সেল খোলা হয়েছে।অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পি পি ই) বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরকারের অধীনে থাকা সুরাত পুরসভার এই কর্মোদ্যোগ সারা দেশের কাছে নজির হিসাবে গণ্য হচ্ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে,তা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুরাত পুরসভা সাড়া ফেলে দিয়েছে।
CG/PPM
(Release ID: 1614046)
Visitor Counter : 230