স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘নমোৎসব’-এ বক্তব্য রেখেছেন
प्रविष्टि तिथि:
28 DEC 2025 9:54PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘নমোৎসব’-এ বক্তব্য রেখেছেন। শ্রী শাহ বলেছেন, এ ধরনের এক ব্যক্তিত্বের জীবন, দায়িত্ব পালন এবং নীতি শৈল্পিক উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শ্রী মোদী মাত্র ১১ বছরে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথমসারিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা তিনি ধার্য করেছেন। প্রত্যেকে বিশ্বাস করে এটি বাস্তবায়িত হবে। যখন কেউ তাঁর সমগ্র জীবন এই ধরনের লক্ষ্য পূরণের জন্য উৎসর্গ করেন, অগণিত পরীক্ষানিরীক্ষা সফলভাবে কার্যকর করেন এবং তাঁর পরিকল্পনাকে দেশের কোটি কোটি মানুষ সমর্থন করে, তখন সেইসব পরিকল্পনা সফল হতে বাধ্য। এই ধারণা থেকেই ‘নমোৎসব’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর জীবনের ৭৫ বছর অতিবাহিত করেছেন। দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এই বিরল ব্যক্তিত্বকে তাঁদের অনুপ্রেরণার উৎস বলে বিবেচনা করেন। তাঁদেরই সকলের উদ্যোগে এই ‘নমোৎসব’ আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের এই উৎসবে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। সাধারণ চা-বিক্রেতা এক পরিবার থেকে উঠে আসা একটি শিশু আজ ১৪০ কোটি দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। শ্রী মোদী শৈশবে চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়েছেন। আজ সেই মানুষটিকে ২৯টি রাষ্ট্র তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে।
শ্রী শাহ আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর অধ্যবসায়ের কারণে এই স্থানে পৌঁছেছেন। তাঁর প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করার বিপুল উৎসাহ রয়েছে। ছোটবেলায় তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের একজন প্রচারক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে ভারতীয় জনতা পার্টির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের ৪০ কোটি মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। দরিদ্র পরিবারগুলিকে বাড়ি, বিশুদ্ধ পানীয় জল, শৌচাগার, বিদ্যুৎ রান্নার গ্যাসের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রতি মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা ছাড়াও শিশুদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই দেশের ২৭ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্বভার গ্রহণের মধ্য দিয়ে জনসেবা করার দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করেন। যে মানুষটি গ্রাম অথবা পৌর প্রধানের নির্বাচনেও কখনও অংশ নেননি, তিনি সরাসরি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সময়কালে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জ্যোতিগ্রাম যোজনার মধ্য দিয়ে গুজরাটের বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, গত ২৪ বছরে শ্রী মোদী কোনদিন বিশ্রাম নেননি। দিবারাত্র তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ভারতমাতাকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে বসানোর যে লক্ষ্য তিনি ধার্য করেছেন তা দেশের শিশু, কিশোর ও যুবক-যুবতীদের কাছে তা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। যে মানুষটির নিজের কোনো ঘর নেই, তিনি সারা জীবন স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি দেশের ৪ কোটি গৃহহীন মানুষের মাথার ছাদের ব্যবস্থা করেছেন।
SC/CB/DM
(रिलीज़ आईडी: 2209410)
आगंतुक पटल : 2