প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহন উৎসবের কিছু ছবি প্রধানমন্ত্রী সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন

Posted On: 25 NOV 2025 9:13PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহন উৎসবের কিছু ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি পবিত্র মন্দিরের শিখরে গেরুয়া বর্ণের পতাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্য দিয়ে ঐ মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হ’ল। দেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এবং জাতীয় ঐক্যের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ের সূচনা হ’ল। শ্রী মোদী মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, মহর্ষি বাল্মিকী, দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ গুহ এবং মাতা শবরীর মন্দির অর্থাৎ সপ্তমন্দির দর্শন করেন। এরপর, তিনি শেষ অবতার মন্দির এবং মাতা অন্নপূর্ণার মন্দিরে যান। প্রধানমন্ত্রী রাম দরবার এবং রামলালা গর্ভগৃহে গিয়ে আরাধনাও করেন। 
সামাজিক মাধ্যম এক্স – এ একগুচ্ছ বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আজ অযোধ্যায় রামলালা মন্দিরের ধ্বজারোহন অনুষ্ঠানের আগে সপ্তমন্দির দর্শন করে আশীর্বাদ নেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, মহর্ষি বাল্মিকী, দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ গুহ এবং মাতা শবরীর মন্দির দর্শন করে তাঁদের প্রণাম জানিয়েছি। এরা আমাকে প্রভূ রামের চরণে আশীর্বাদ প্রাপ্তির জন্য যোগ্য হিসেবে তৈরি করেছেন”।
“সপ্তমন্দিরে সাত ঋষি ও মা ভগবতীর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে রামচরিত পূর্ণ হয়ে থাকে। মহর্ষি বশিষ্ঠ ও মহর্ষি বিশ্বামিত্র প্রভূ রামলালার অধ্যয়নে সহায়তা করেছেন। বনবাসের সময়ে মহর্ষি অগস্ত্য’র জ্ঞান চর্চার ফলে রাক্ষসদের আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। আদি কবি মহর্ষি বাল্মিকী রামায়ণকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ এবং মাতা শবরী ভক্তির উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। আমরা প্রভূ রামের আদর্শ সম্পর্কে পরিচিত হয়েছি”। 
“অযোধ্যার পবিত্রধামে শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে ধ্বজারোহন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি অত্যন্ত আপ্লুত। শুভ মুহূর্তের এই অনুষ্ঠানে আমাদের সংস্কৃতির গৌরব ও রাষ্ট্রীয় ঐক্যের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হ’ল। রাম মন্দিরের গৌরবোজ্জ্বল এই পতাকা বিকশিত ভারতের নবজাগরণের প্রতীক। এই ধ্বজ নীতি ও ন্যায়ের প্রতীক। সুশাসনের মাধ্যমে যা সমৃদ্ধির পথ দেখায় এবং বিকশিত ভারত নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছক ... ভগবান শ্রীরাম এই কামনাই করতেন। জয় জয় সীতারাম”।  
“শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের ধর্ম ধ্বজারোহন উৎসব দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অযোধ্যায় যে ইতিহাস রচিত হ’ল, তা প্রভূ শ্রীরামের পথ অনুসরণ করার জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করবে”। 
“আজ অযোধ্যায় মাতা অন্নপূর্ণা মন্দিরে পূজার্চনা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেবী মার কাছে সকল দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেছি। মা অন্নপূর্ণা অন্ন, আনন্দ ও অভয়ের অধিষ্ঠার্থী দেবী। তাঁর আশীর্বাদ বিকশিত ভারতের প্রতিটি প্রয়াসে সৌভাগ্যকে যুক্ত করে আরও শক্তিশালী করে তুলুক – সেই প্রার্থনাই করেছি”। 
“পবিত্র শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে শ্রীরাম পরিবারের দর্শন করার সুযোগ আমার হয়েছে। সেই মুহূর্তে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। প্রভূ শ্রীরাম, মাতা জানকি, শেষাবতার লক্ষ্মণ এবং পরিবারের প্রত্যেকের মূর্তি ভারতের চেতনার সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছে। এটি অসংখ্য রামভক্তের তপস্যার ফল। প্রভূ রামের আশীর্বাদ ভারতবাসীর জীবনে যশ ও সাফল্য নিয়ে আসুক – আমি সেই প্রার্থনাই করেছি”
“অযোধ্যার পবিত্র ভূমিতে শ্রীরাম জন্মভূমির বিশাল এই মন্দিরে শ্রীরামলালার দর্শন ও আরাধনার মধ্য দিয়ে অদ্ভুত এক আনন্দ পেয়েছি। রামলালার ছোটবেলার মূর্তি, ভারতের চেতনার প্রতিফলন। যতবার রামলালার এই পবিত্র বিগ্রহ আমি দর্শন করি, ততবার অদ্ভুত এক শক্তি আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়। এই শক্তি সমগ্র বিশ্বের সকল রামভক্তের সংকল্পের ফসল। আজ এই ধ্বজারোহন পর্বে সেই সংকল্প বাস্তবায়িত হ’ল। প্রভূর কৃপা সকলের ভক্তের উপর বর্ষিত হোক”। 
“শ্রীরামলালা মন্দিরের গর্ভগৃহে অসীম শক্তি এবং তাঁর দিব্যপ্রতাপ ধর্মধ্বজার উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হ’ল। এই ধর্মধ্বজা শুধু এক ধ্বজাই নয়, এটি ভারতীয় সভ্যতার পুনর্জাগরণের প্রতীক”।
“আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, রাম মন্দিরের এই সুবিশাল প্রাঙ্গণ সমগ্র ভারতের চেতনাস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। সকল দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা সপ্তমন্দির অবশ্যই দর্শন করবেন। এর মধ্য দিয়ে আস্থার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কর্তব্য ও সামাজিক সদ্ভাবের প্রতিফলন ঘটবে”।
“রামের গুরুত্ব অপরিসীম, তিনি যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথ অনুসরণ করে ভারত ২০৪৭ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের সমাজ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে। আমরা আমাদের অন্তরে রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করব”। 
“আমি বলি, দেশের উন্নতির জন্য আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্ব অনুভব করতে হবে...”
“ভারতের প্রতিটি বাড়িতে, সকল ভারতবাসীর মনে এবং ভারতবর্ষের প্রতিটি কোণায় রাম অবস্থান করছেন। কিন্তু, দাসত্বের মানসিকতার কারণে কেউ কেউ প্রভূ রাম’কে কাল্পনিক এক চরিত্র বলে বর্ণণা করে থাকেন”।
“আমরা সেই ভারতবর্ষ গড়ে তুলব, যা রাম রাজ্যকে অনুসরণ করে গড়ে উঠবে। এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা নিজের পরিবর্তে দেশের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করব এবং রাষ্টীয়হিত’কে সবার উপরে রাখব”। 

 

SC/CB/SB


(Release ID: 2194579) Visitor Counter : 2