কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ডাঃ জিতেন্দ্র সিং দেশজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র কর্মসূচী ৪.০-র সূচনা করার পর ৫২ লক্ষের বেশি শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে

Posted On: 05 NOV 2025 4:33PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ 

 


কর্মী, জনঅভিযোগ ও পেনশন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশজুড়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন  শংসাপত্র কর্মসূচী ৪.০-র সূচনা করেছেন। পেনশনভোগীরা যাতে সহজেই তাদের জীবন শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। নভেম্বর মাস জুড়ে এই কর্মসূচী চলবে। ২ কোটি পেনশনভোগী যাতে এই ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারেন সেটিই মূল উদ্দেশ্য। এই কর্মসূচী শুরু হওয়ার প্রথম চার দিনের মধ্যেই ৫৫ লক্ষের বেশি ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। 

ডাঃ সিং জানান, গত বছর এই কর্মসূচীর মাধ্যমে ফেস অথেনটিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫২ লক্ষ ৭৩ হাজার শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৭২ লক্ষ ৬৪ হাজার ইপিএফও পেনশনভোগী এই কর্মসূচীর ফলে লাভবান হয়েছেন। মন্ত্রী আরও জানান, গত বছর দেশের ৮৪৫টি জেলার ১,৯৮৪টি স্থানে এই কর্মসূচীটি পালিত হয়েছিল। ৪৯ লক্ষ ৭৮ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশনভোগী এর সুযোগ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৮৫,২০০ জনের বয়স ৯০-এর উপরে। আর ২,২০০ জনের বয়স ১০০-র উপরে।  
 
এবছরের কর্মসূচী দেশের ২০০০টি জেলা ও শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর জন্য ২,৫০০টি শিবির খোলা হয়েছে। ১,২৫০ জন নোডাল অফিসার এই শিবিরগুলির দায়িত্বে আছেন। প্রধান প্রধান ব্যাংক, পেনশনভোগীদের বিভিন্ন কল্যাণ সমিতি এবং ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক এটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। প্রতিটি পেনশনভোগী যাতে সহজেই তাঁদের জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আধার কর্তৃপক্ষ, বৈদ্যুতিন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, ইপিএফও, রেল, সিজিডিএ এবং টেলিযোগাযোগ দপ্তরের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক দেশের ১৬শোটি জেলা ও মহকুমা শহরে শিবির খুলেছে। ১ লক্ষ ৮০ হাজার ডাক পিয়ন ও গ্রামীণ ডাক সেবক এ কাজে সহায়তা করছেন। 

এই কর্মসূচীর বিষয়ে প্রচার চালাতে সামাজিক মাধ্যম, এসএমএস ছাড়াও আকাশবাণী, দূরদর্শন সংবাদ এবং পিআইবি থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে।

ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, প্রবীণ নাগরিকদের পেনশন নিশ্চিত করার জন্য জীবন শংসাপত্র প্রতি বছর দিতে হয়। এর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে  তাঁদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নিয়মটি  অত্যন্ত অমানবিক। তাই সরকার বায়োমেট্রিক এবং ফেস অথেনটিকেশন প্রযুক্তির সাহায্যে প্রবীণ নাগরিকদের শংসাপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে, তাঁদের জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, পাশাপাশি সমাজ আরও প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের এই মডেলটি অনুসরণ করতে আগ্রহী হয়েছে। মন্ত্রী এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নাগরিককেন্দ্রীক প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিকল্পনাকে কৃতিত্ব দেন। বৈপ্লবিক এই সংস্কারসাধনে পেনশন ও পেনশনভোগীকল্যাণ দপ্তরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

 

SC/CB/SKD


(Release ID: 2186804) Visitor Counter : 3