প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস, ২০২৫-এ ভাষণ দিয়েছেন

Posted On: 08 OCT 2025 12:40PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৮ অক্টোবর ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লির যশোভূমিতে আজ নবম ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (আইএমসি), ২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন। এটি এশিয়ার বৃহত্তম টেলি-যোগাযোগ, সংবাদমাধ্যম এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত আয়োজন। আইএমসি-র এই বিশেষ অধিবেশনে আগত বিশিষ্টজনেদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ, কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন, ৬জি, অপটিক্যাল পদ্ধতিতে যোগাযোগ এবং সেমি-কন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অগণিত স্টার্ট-আপ সংস্থা কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, ভারতের প্রযুক্তিক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ যথাযোগ্য ব্যক্তিদের কাছেই গচ্ছিত রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস-এর ব্যাপ্তি এখন মোবাইল ফোন এবং টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরেও বিস্তৃত হয়েছে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম ডিজিটাল প্রযুক্তির এই ফোরাম কিভাবে সাফল্য অর্জন করল, সেই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের প্রযুক্তি-বান্ধব মানসিকতাকে এ দেশের যুব সম্প্রদায় নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশের প্রতিভার ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে এই ফোরাম এগিয়ে চলেছে। 

শ্রী মোদী বলেন, উদ্ভাবক এবং নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি এই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। টেলিকম টেকনলজি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এবং ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স ইনোভেশন্স স্কোয়ার-এর মতো উদ্যোগগুলির মাধ্যমে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির তহবিলের চাহিদা পূরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৫জি, ৬জি, অপটিক্যাল ব্যবস্থাপনায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেরা-হার্টজ-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির সঙ্গে দেশের প্রথম সারির গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করা হচ্ছে। সরকারের সহায়তায় দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান, স্টার্ট-আপ সংস্থা এবং শিক্ষাজগৎ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করে চলেছে। দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং তার মানোন্নয়ন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে বৌদ্ধিক সম্পদের সৃষ্টি করা এবং সংশ্লিষ্ট সম্পদকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে চলেছে। এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত গুরুত্বপূর্ণ এক স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ধারণাটি সম্পর্কে সন্দেহবাগিশরা কৌতুক করতেন। তাঁরা ভাবতেন, প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত পণ্যসামগ্রী ভারতের পক্ষে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকারগুলির নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করার দীর্ঘদিনের অনীহার কথা তিনি তুলে ধরেন। “ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস এবং টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে আমাদের ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে।” তিনি বলেন, দেশে এক সময়ে ২জি প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সমস্যা দেখা দিত। বর্তমানে ৫জি প্রযুক্তি দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় পৌঁছে গেছে। ২০১৪ সাল থেকে বৈদ্যুতিন পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইল ফোনের উৎপাদন ২৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, এইসব সামগ্রী রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ১২৭ গুণ। গত এক দশক ধরে মোবাইল ফোনের উৎপাদক সংস্থাগুলি লক্ষ লক্ষ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। একটি প্রথম সারির স্মার্ট ফোন কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ৪৫টি ভারতীয় সংস্থা সরবরাহ শৃঙ্খলে অংশীদার হয়েছে। এর ফলে, মাত্র একটি সংস্থা থেকে ৩.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশজুড়ে অগণিত কোম্পানি বৈদ্যুতিন পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে। এক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে যে সুযোগগুলি তৈরি হয়েছে, তার ফলে কর্মসংস্থানের বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। 

শ্রী মোদী বলেন, “ভারত সম্প্রতি মেড-ইন-ইন্ডিয়া ৪জি স্ট্যাকের সূচনা করেছে। এর ফলে, দেশে পণ্যসামগ্রী উৎপাদনে গতি এসেছে। বর্তমানে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।” এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করার বিষয়ে ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ স্তরে উন্নীত হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ৪জি এবং ৫জি স্ট্যাকের মধ্য দিয়ে ভারত নিরবচ্ছিন্ন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন গড়ে তুলেছে, পাশাপাশি, উচ্চগতিসম্পন্ন আস্থাশীল এক ইন্টারনেট পরিষেবাও তার নাগরিকদের উপহার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ৪জি স্ট্যাকের যেদিন সূচনা হয়েছিল, সেদিনই ১ লক্ষ ৪জি টাওয়ার সারা দেশে কাজ শুরু করে। এর ফলে, ভারতের ডিজিটাল আন্দোলনে ২ কোটির বেশি নাগরিক অংশীদার হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এর মধ্যে অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন ছিল, পাশাপাশি, ডিজিটাল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও বহু জায়গায় ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। আর এখন সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে গেছে। 

শ্রী মোদী ভারতের মেড-ইন-ইন্ডিয়া ৪জি স্ট্যাকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেন। সেটি হল, এই ব্যবস্থার ফলে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী রপ্তানির গুণমান অর্জন করেছে। এর মধ্য দিয়ে ‘ইন্ডিয়া ৬জি ভিশন ২০৩০’-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে ভারতের প্রযুক্তিক্ষেত্রে দ্রুতহারে বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। এই কারণে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী যুগোপযোগী আইনি নীতিমালার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। তাই, টেলিযোগাযোগ আইন কার্যকর করা হয়। এই আইনটি ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট এবং ইন্ডিয়া ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ অ্যাক্টের মতো সেকেলে আইনকে প্রতিস্থাপিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা অনুসারে নতুন একটি পরিকাঠামোর প্রয়োজন, যা এই সরকার সফলভাবে বাস্তবায়িত করেছে। নতুন এই আইন নিয়ন্ত্রকের কাজ করছে না, বরং বলা ভালো, সহায়ক হিসেবে তার ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রস্তাব সহজেই অনুমোদিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ফাইবার বসানো এবং টাওয়ার তৈরি দ্রুতহারে হচ্ছে। এভাবে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করা এবং বিনিয়োগে উৎসাহদানের মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

শ্রী মোদী আর-ও বলেন, দেশে সাইবার নিরাপত্তাকে সমানভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সাইবার ক্ষেত্রের বিভিন্ন জালিয়াতি প্রতিরোধ করার জন্য কঠোর আইন কার্যকর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন অভিযোগের নিষ্পত্তি যাতে দ্রুত করা যায়, সেই বিষয়টি-ও নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, শিল্প সংস্থা এবং উপভোক্তা – উভয় পক্ষই উপকৃত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সারা বিশ্ব ভারতের সম্ভাবনা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রের বাজার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ৫জি পরিষেবার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারও ভারত। বাজারের এই শক্তির পাশাপাশি, ভারতের জনশক্তি এবং প্রগতিশীল ভাবনাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জনসম্পদের নিরিখে ভারতে দক্ষতা যেরকম রয়েছে, পাশাপাশি, এই সম্পদের প্রাচুর্য্যও রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম যুব সম্প্রদায়ের বাস ভারতে। এই প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভারতে বর্তমানে উদ্ভাবক জনগোষ্ঠী দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ভারতে এক কাপ চায়ের থেকে ১ গিগাবাইট ওয়্যারলেস ডেটার দাম কম। শ্রী মোদী বলেন, মাথাপিছু ডেটা ব্যবহারের নিরিখে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা যে এ দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, তারই প্রতিফলন পাওয়া যায়।

শ্রী মোদী বলেন, “ভারত শিল্পের প্রসার এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে।” দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা এবং সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার নীতির কারণে ভারত আজ বিনিয়োগ-বান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের ‘ডিজিটাল প্রথম’ উদ্যোগের কারণে ডিজিটাল জন-পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা করেন, “ভারতে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং উৎপাদনের জন্য এটিই আদর্শ সময়।” সেমি-কন্ডাক্টর এবং মোবাইল উৎপাদন-সহ স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ভারত এক সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। 

তাঁর সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে ভাষণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালকেল্লার প্রাকার থেকে তিনি বলেছিলেন, বর্তমান বছরটি সংস্কারের বছর। এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুতহারে সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্টার্ট-আপ সংস্থা এবং তরুণ উদ্ভাবকদের এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের দক্ষতার কারণে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এ বছরের ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ৫০০-র বেশি স্টার্ট-আপ সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এর ফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ গড়ে ওঠার একটি মূল্যবান সুযোগ তৈরি হল।

সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের প্রসারে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলির ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংস্থাগুলি স্থিরতা এবং দেশের অর্থনীতি কোন দিকে এগোবে তার দিকনির্দেশ করবে। তাই, এক্ষেত্রে তরুণ গবেষকদের দক্ষতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। “স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করবে।” 

সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে তরুণ স্টার্ট-আপ উদ্ভাবক, শিক্ষাজগৎ, গবেষক এবং নীতি নির্ধারকদের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আশা করেন, ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা চালানোর অনুঘটকের কাজ করবে। বিশ্বজুড়ে মোবাইল, টেলিকম, বৈদ্যুতিন এবং বৃহত্তর প্রযুক্তির যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরবরাহ শৃঙ্খলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে পাওয়ার সুযোগ ভারতের সামনে এসেছে। সেমি-কন্ডাক্টর উৎপাদনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, অতীতে গুটিকয় দেশের এক্ষেত্রে দক্ষতা ছিল, আর এখন পৃথিবী অন্য দেশেরও সন্ধান করছে। ভারত এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে, ১০টি সেমি-কন্ডাক্টর উৎপাদক সংস্থা দেশজুড়ে কাজ করছে। 

শ্রী মোদী বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি বৈদ্যুতিন সামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রে আস্থাভাজন অংশীদারের সন্ধান করছে, যাদের দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা দুই-ই রয়েছে। টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রের বিভিন্ন সরঞ্জামের উৎপাদন ও পরিকল্পনা ক্ষেত্রেও বিশ্ব আস্থাভাজন অংশীদার খুঁজছে। ভারতীয় সংস্থাগুলি এই আস্থাভাজন সংস্থা হয়ে উঠতে পারবে না কেন বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিপ সেট, ব্যাটারি, ডিসপ্লে এবং সেন্সরের মতো মোবাইল ফোনের বিভিন্ন উপাদান উৎপাদনের হার ক্রমশ বাড়াতে হবে। সারা বিশ্ব আগের থেকে এখন অনেক বেশি ডেটা উৎপাদন করছে। তাই, এই ডেটা সঞ্চয়ের জন্য এবং তার সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ভারতের সম্ভাবনার কথা তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই কংগ্রেসের বিভিন্ন অধিবেশনে ফলপ্রসু আলোচনা হবে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা জানান।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং ডঃ চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি-সহ বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

SSS/CB/DM


(Release ID: 2176462) Visitor Counter : 4