PIB Headquarters
পিকেভিওয়াই : ভারতে জৈব চাষের প্রসার
জৈব চাষের প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন
Posted On:
06 OCT 2025 11:08AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫
মূল বিষয়সমূহ
- ৩০.০১.২০২৫ পর্যন্ত পিকেভিওয়াই (২০১৫-২৫) – এর আওতায় ২২৬৫.৮৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
- পিকেভিওয়াই – এর জন্য আরকেভিওয়াই – এর আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২০৫.৪৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
- ১৫ লক্ষ হেক্টর জমি এসেছে জৈব চাষের আওতায়; ৫২ হাজার ২৮৯টি ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে; ২৫.৩০ লক্ষ কৃষক উপকৃত (২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবানুযায়ী)।
- ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জৈবিক খেতি পোর্টালে নথিভুক্ত ছিলেন ৬.২৩ লক্ষ কৃষক, ১৯ হাজার ১৬টি স্থানীয় গোষ্ঠী (৮৯টি কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থা এবং ৮ হাজার ৬৭৬ জন ক্রেতা)
|
ভূমিকা:
চিরাচরিত জ্ঞান এবং পরিবেশ-বান্ধব রীতি ভারতীয় কৃষি প্রণালীর শক্তি। তবে, উপাদান নিবিড় কৃষি প্রণালীর দ্রুত প্রসারের ফলে মাটি ও জলের উৎকর্ষ মান কমে যাওয়া এবং খাদ্য নিরাপত্তার দিকগুলি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। পরিবেশ রক্ষা ও কৃষকদের উপার্জন আরও বৃদ্ধি করতে এবং এক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে ভারত সরকার ধারাবাহিকভাবে কৃষি সংক্রান্ত জাতীয় অভিযান বা ন্যাশনাল মিশন ফর সাসটেনেবল এগ্রিকালচার – এর আওতায় ২০১৫ সালে পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই)-র সূচনা করে।
বিগত দশকে পিকেভিওয়াই ভারতে জৈব চাষ আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এর আওতায় পরিবেশ-বান্ধব কৃষি পদ্ধতির বিষয়ে কৃষকদের জন্য একটি সংগঠিত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, জৈব চাষ সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং কৃষকদের ধারাবাহিক উৎপাদনকে প্রাধান্য দেয়, এমন বিপণন ক্ষেত্রের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অঞ্চল-ভিত্তিক একটি উদ্যোগ হিসেবে এর সূচনা হয়। কিন্তু, বর্তমানে পরিবেশ-বান্ধব কৃষির ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পন্থায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ, শংসাপত্র প্রদান এবং উৎপাদিত পণ্যের বিপণনে সহায়তা প্রদানের এক বিরাট পরিমণ্ডল গড়ে উঠেছে।
ভিত্তির নির্মাণ: অঞ্চল-ভিত্তিক জৈব চাষ
পিকেভিওয়াই – এর মূল বিষয় হ’ল – অঞ্চল-ভিত্তিক উদ্যোগ। ২০ হেক্টর জমির একেকটি পরিসরে সম্মিলিতভাবে জৈব চাষে উদ্যোগী হওয়ায় উৎসাহিত করে তোলা হয় কৃষকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে। এই প্রণালী শুধুমাত্র পণ্যের গুণমানে স্থিতিশীলতাই নিয়ে আসে না, সম্পদ ও উপকরণ আদান-প্রদানের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ও সুনিশ্চিত করে।
সূচনার পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের হাজার হাজার অঞ্চল গড়ে উঠেছে। রাসায়নিক উপাদানের উপর কম নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। জৈব সার ব্যবহারের ফলে মাটির গুণমান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষি প্রণালীর ক্ষেত্রেও বৈচিত্র এসেছে। এই পদ্ধতির একটি মূল বিষয় হ’ল – কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং জৈব চাষে আরও আগ্রহী করে তোলা।
পিকেভিওয়াই – এর লক্ষ্য হ’ল – কম খরচে, রাসায়নিক ব্যবহার না করে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রণালীর প্রতি কৃষকদের আকৃষ্ট করে তোলা। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন কৃষকরাই। খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি, তাঁদের আয়ও বৃদ্ধি পায়।
- মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরিবেশ-বান্ধব কৃষির প্রসার।
- প্রাকৃতিক পন্থায় চাষে কৃষকদের সক্ষম করে তোলা, রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার কমানো।
- ফসল উৎপাদনে ব্যয় সাশ্রয় এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি।
- ক্রেতাদের জন্য স্বাস্থ্যকর, রাসায়নিক-মুক্ত খাদ্যের সংস্থান।
- চিরাচরিত পন্থা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ।
- চাষবাস, প্রক্রিয়াকরণ এবং শংসাপ্রদানের মাধ্যমে কৃষক গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা প্রদান।
- কৃষকদের স্থানীয় ও জাতীয় বিপণন পরিসরের সঙ্গে সংযুক্ত করে ঔদ্যোগীকতার প্রসার।
সুবিধা:
পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই) – এর আওতায় জৈব চাষে নিয়োজিত কৃষকদের তিন বছরের জন্য হেক্টর প্রতি ৩১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। এই সহায়তার বিষয়টি এরকম –
- খামার এবং খামারজাত নয়, এমন জৈব উপাদান – ১৫ হাজার টাকা (ডিবিটি)।
- বিপণন, প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং – ৪,৫০০ টাকা।
- শংসাপ্রদান এবং অবশিষ্টাংশের বিশ্লেষণ - ৩,০০০ টাকা।
- প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার উন্নয়ন – ৯,০০০ টাকা।

এই সর্বাত্মক সহায়তার ফলে কৃষকরা জৈব চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন এবং তাঁদের আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রূপায়ণ কাঠামো:
পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই) একটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত প্রণালীর উপর ভিত্তি করে কৃষক-কেন্দ্রিক পন্থায় রূপায়িত হয়ে চলছে। মোট ২ হেক্টর জমি থাকলে যে কোনও কৃষক ও প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কৃষকরা এই কাজে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখান থেকেই পাওয়া যাবে দিশা-নির্দেশ এবং শংসাপত্র। এই পরিষদগুলি সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে এবং অনুমোদনের জন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেয়।

কর্মপরিকল্পনা অনুমোদিত হলে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ মঞ্জুর করে পাঠিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে। সেখান থেকে এই অর্থ আঞ্চলিক পরিষদের হাত ঘুরে সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর প্রণালীর মাধ্যমে কৃষকের কাছে পৌঁছে যায়।
পিকেভিওয়াই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জৈব চাষে যুক্ত করতে চায় এবং কর্মকাণ্ডের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।
জৈব চাষ সংক্রান্ত শংসা:
আগে উপযুক্ত শংসা প্রদান ব্যবস্থাপনা না থাকায় জৈব চাষে নিযুক্ত কৃষকরা অসুবিধায় পড়তেন। পিকেভিওয়াই এই সমস্যার সমাধান করেছে দুটি দিক থেকে –
১) তৃতীয় পক্ষের শংসা (এনপিওপি) – বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের জাতীয় জৈব উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় এই দায়িত্বে রয়েছে অ্যাক্রেডিটেড সার্টিফিকেশন এজেন্সি। এরফলে, আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত হয়। উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানিএ – সবকটি স্তরই এর অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২) পার্টিসিপেটরি গ্যারান্টি সিস্টেম ফর ইন্ডিয়া (পিজিএস ইন্ডিয়া) - এই বিষয়টি পরিচালিত হয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের আওতায়। শংসাপ্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষক-কেন্দ্রিক ও গোষ্ঠী-ভিত্তিক পন্থা অবলম্বন করা হয়। প্রধাণত, অভ্যন্তরীণ বাজারের ক্ষেত্রেই এই শংসা প্রযোজ্য।

২০২০-২১ এ সরকার লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশন কর্মসূচি চালু করে। যেখানেই রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে চাষবাস কখনও হয়নি, সেই এলাকাগুলি এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত (জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা, বিভিন্ন দ্বীপ)।
পিকেভিওয়াই দেশ-বিদেশের বাজারে ভারতীয় জৈব পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে। বিপণনের আরও সুযোগ পাচ্ছেন কৃষকরা। আঞ্চলিক ব্র্যান্ডও গড়ে উঠছে।
সাফল্য (২০১৫-২৫):
বিগত দশকে পিকেভিওয়াই – এর কল্যাণে জৈব চাষবাস ভারতীয় কৃষির মূল ধারায় পৌঁছে গেছে। পরিবেশ-বান্ধব কৃষি, গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাইজেশন প্রভৃতির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এক্ষেত্রে কাজ এগিয়ে চলছে।
- ৩০.০১.২০২৫ – এর হিসেবানুযায়ী, পিকেভিওয়াই (২০১৫ – ২৫) – এর আওতায় ২২৬৫.৮৬ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে।
- ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পিকেভিওয়াই – এর জন্য আরকেভিওয়াই – এর আওতায় ২০৫.৪৬ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে।
- প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর জমি জৈব চাষের আওতায় এসেছে; ৫২ হাজার ২৮৯টি ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে; ২৫.৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত (২০২৫ – এর ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবানুযায়ী)।
- ২০২৩-২৪ এ ১.২৬ লক্ষ হেক্টর জমি জৈব চাষের আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়; ২০২৪-২৫ এ ১.৯৮ লক্ষ হেক্টর এসেছে তিন বছরের রূপান্তর পর্বে।
- ২০২৩-২৪ সময়কালে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় ৫০ হাজার ২৭৯ হেক্টর এবং পশ্চিমবঙ্গের ৪ হাজার হেক্টর এলাকা লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশনের আওতায় এসেছে।
- ৩১.১২.২০২৪ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ হাজার এফপিও তৈরির কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত ৯ হাজার ২৬৮টি এফপিও।
- কার নিকোবর এবং ন্যানকাউরি দ্বীপপুঞ্জের ১৪ হাজার ৪৯১ হেক্টর লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশনের আওতায় এসেছে।
- লাক্ষাদ্বীপের চাষযোগ্য ২ হাজার ৭০০ হেক্টর এলাকার সবটাই জৈব চাষের আওতায়।
- সিকিমে লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশনের আওতায় ৬ হাজার হেক্টর জমি বাবদ প্রদত্ত সহায়তার পরিমাণ ৯৬.৩৯ লক্ষ টাকা। বর্তমানে লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশনের আওতায় সিকিম হ’ল বিশ্বের একমাত্র ১০০ শতাংশ জৈব চাষ সমৃদ্ধ প্রদেশ।
- লাদাখে লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশনের আওতায় ৫ হাজার হেক্টর জমির জন্য ১১.৪৭৫ লক্ষ টাকা সহায়তার প্রস্তাব রয়েছে।
- ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৬.২৩ লক্ষ কৃষক, ১৯ হাজার ১৬টি স্থানীয় গোষ্ঠী, ৮৯টি কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থা এবং ৮ হাজার ৬৭৬ জন ক্রেতা জৈবিক খেতি পোর্টালে সংযুক্ত।
জৈবিক খেতি পোর্টাল অনলাইন মঞ্চ হ’ল – কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে জৈব পণ্য বিক্রয়ের মঞ্চ।
উপসংহার:
বিগত দশকে পরিবেশ-বান্ধব কৃষির প্রসারে পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। দেশ-বিদেশের বাজারে জৈব পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এই পোর্টাল কৃষক ও সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের কাছে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
লার্জ এরিয়া সার্টিফিকেশন কর্মসূচি, পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রসারে সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।
কৃষি ক্ষেত্রের ইতিবাচক রূপান্তরে পিকেভিওয়াই এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। চিরাচরিত ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মেলবন্ধনে এবং ডিজিটাল প্রকৌশলের প্রয়োগে পরিবেশ-বান্ধব এবং সমৃদ্ধ কৃষি পরিমণ্ডল গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলেছে ভারত।
সূত্র:
§ Press Information Bureau (PIB) Releases
- https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2045560
- https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2099756
- https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2146939
- https://www.pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1946809
- https://www.pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=2100761
- https://www.pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1739994
§ Ministry of Agriculture & Farmers Welfare Documents
- https://agriwelfare.gov.in/Documents/AR_Eng_2024_25.pdf
- https://agriwelfare.gov.in/Documents/Revised_PKVY_Guidelines_022-2023_PUB_1FEB2022.pdf
§ Mission Organic Value Chain Development (MOVCDNER) - https://movcd.dac.gov.in/about
§ Parliament Questions (Lok Sabha)
- https://sansad.in/getFile/loksabhaquestions/annex/183/AU2315_sWTC0p.pdf?source=pqals
- https://sansad.in/getFile/loksabhaquestions/annex/182/AU2474_HV55PI.pdf?source=pqals
§ myScheme Portal - https://www.myscheme.gov.in/schemes/pkvy
SSS/AC/SB
(Release ID: 2175346)
Visitor Counter : 6