কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
ডালশস্যে দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে ২০২৫-২৬ থেকে ২০৩০-৩১ সময়কালের জন্য একটি বিশেষ মিশনের প্রস্তাবে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
Posted On:
01 OCT 2025 3:14PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১ অক্টোবর ২০২৫
দেশকে ডালশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মিশন ফর আত্মনির্ভরতা ইন পালসেস গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৫-২৬ থেকে ২০৩০-৩১ সময়কালে এই মিশন কার্যকর থাকবে। এর জন্য ব্যয় হবে ১১,৪৪০ কোটি টাকা।
ভারতের কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং খাদ্য তালিকায় ডাল শস্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম ডাল শস্য উৎপাক দেশ ভারতে ডালের উপভোক্তা সব থেকে বেশি। ক্রমবর্ধমান আয় এবং জীবনযাত্রার মানের জন্য ডাল শস্যের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, দেশের চাহিদা অনুসারে এই শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির হার কম। ফলে, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডাল আমদানি করতে হয়।
আমদানি নির্ভরতা কমানো, উৎপাদন বাড়ানো এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে “মিশন ফর আত্মনির্ভরতা ইন পালসেস”-এর ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধার্য করা হয়েছে ৬ বছর। ডাল শস্যের গবেষণা, উন্নত বীজ তৈরি, ডাল শস্য চাষের এলাকা বৃদ্ধি, উৎপাদিত শস্য সংগ্রহ করা এবং ডালের দামে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। উন্নতমানের ডাল বীজ তৈরি করা হবে, যে বীজ থেকে অধিক পরিমাণে ডালশস্য উৎপাদিত হবে, এবং ওই বীজের থেকে গাছ গুলি বিভিন্ন ধরনের রোগপোকার আক্রমণের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গাছগুলির ক্ষতি হবে না। উন্নতমানের বীজ যাতে সহজেই পাওয়া যায় তার জন্য রাজ্যগুলিকে বিশেষ ভাবে সক্রিয় হতে হবে। আইসিএআর এই বীজ উৎপাদনের কাজে নজরদারি চালাবে। সিড অথেন্টিকেশন ট্রেসিবিলিটি অ্যান্ড হলিস্টিক ইনভেনটরি – সাথী পোর্টালে এই বীজ উৎপাদনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য রাখা থাকবে। উন্নত প্রজাতির বীজ কৃষকরা যাতে পান, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে ৩৭০ লক্ষ হেক্টর জমিতে ১ কোটি ২৬ লক্ষ কুইন্টাল শংসায়িত বীজ সরবরাহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম ভাবে সারের প্রয়োগ এবং গাছের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। একাজে আইসিএআর, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলি সহায়তা করবে। এই মিশনের আওতায় ধান চাষের জন্য অতিরিক্ত ৩৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডালশস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মূলত কৃষি কাজের বৈচিত্র আনাই এর উদ্দেশ্য। কৃষকদের এর জন্য ৮৮ লক্ষ বীজের কীট দেওয়া হবে।
কৃষক এবং বীজ উৎপাদকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। উৎপাদিত শস্য বাজারজাত করার জন্য এই মিশনের আওতায় কৃষিকাজ পরবর্তী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এক হাজারটি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর ফলে উৎপাদিত ফসলের ক্ষতি এড়ানো যেমন সম্ভব হবে, পাশাপাশি কৃষকের আয় বৃদ্ধি হবে। এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলি গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই মিশনের আওতায় অড়হর ডাল, বিউলির ডাল এবং মশুর ডালের সংগ্রহ সর্বোচ্চ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পিএম-আশা, নাফেড এবং এনসিসিএফ কৃষকদের কাছ থেকে আগামী ৪ বছরে উৎপাদিত শস্য সংগ্রহ করবে। কৃষকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে ডাল শস্যের দামের ওপরে নজরদারি চালানো হবে। ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে ৩ কোটি ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডালশস্য চাষ করে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টন ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে, হেক্টর প্রতি ১১৩০ কেজি ডাল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই ভাবে ডালশস্য উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। ফল স্বরূপ ডালের আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি কৃষকের আয় বাড়বে।
SC/CB/AS
(Release ID: 2173961)
Visitor Counter : 6
Read this release in:
Odia
,
Hindi
,
Kannada
,
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu