প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

বিহারের ভাগলপুরে উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সূচনায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 24 FEB 2025 5:43PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 

ভারত মাতা কি জয়!

অঙ্গরাজ দানবীর কর্ণের ভূমি, মহর্ষি মেহীর তপোবন, ভগবান বাসুপূজ্যের ভূমি, বিশ্ববিখ্যাত বিক্রমশীলা মহাবিহার যেখানে অবস্থিত, আর পবিত্র বাবা বুড়ানাথের এই মহতী ভূমির সকল ভ্রাতা ও ভগিনীদের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক প্রণাম।

মঞ্চে উপস্থিত মাননীয় রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানজি, বিহারের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মী শিবরাজ সিং চৌহানজি, জিতন রাম মাঁঝিজি, ললন সিংজি, গিরিরাজ সিংজি, চিরাগ পাসওয়ানজি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী রামনাথ ঠাকুরজি, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীজি, বিজয় সিনহাজি, অন্যান্য রাজ্যের মন্ত্রীরা, গণপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট অতিথিগণ এবং বিহারের আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে বহু মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং কোটি কোটি কৃষক আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের প্রতিও জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।

বন্ধুগণ,

এই মহাকুম্ভের শুভক্ষণে মন্দ্রাঞ্চলের এই পবিত্র ভূমিতে উপস্থিত হওয়া আমার জন্য এক বিরাট সৌভাগ্য। এই ভূমি  বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও বিকশিত ভারতের অঙ্গীকারের মিলনক্ষেত্র। এখানেই আছেন শহীদ বীর তিলকা মাঞ্জি, এখানেই আছে সিল্ক সিটির ঐতিহ্য। আজ গাইবিনাথ ধামের পবিত্র ভূমিতে মহাশিবরাত্রির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে আমার সৌভাগ্য হলো—মাত্র এক ক্লিকে সারা দেশের কোটি কোটি কৃষকের কাছে প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধির আরেক কিস্তি পৌঁছে দেওয়ার। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

আজকের কিস্তিতে কেবল বিহারেরই ৭৫ লক্ষাধিক কৃষক পরিবার অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা আজ সরাসরি বিহারের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে। এজন্য আমি বিহারের কৃষক পরিবার সহ সারা দেশের কৃষক ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

বন্ধুগণ,

আমি লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম—এক বিকশিত ভারত দাঁড়িয়ে আছে চারটি মজবুত স্তম্ভের উপর—আমাদের গরিব, আমাদের কৃষক, আমাদের যুবসমাজ এবং আমাদের নারীরা। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার হোক বা বিহারে নীতীশজির সরকার—কৃষক কল্যাণই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

গত দশকে কৃষকদের উচ্চমানের বীজ, পর্যাপ্ত সার, সেচ সুবিধা, গবাদি পশুর সুরক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ—সবদিকেই আমূল পরিবর্তন এনেছে এনডিএ সরকার। এককালে ইউরিয়ার জন্য কৃষকদের লাঠিচার্জ খেতে হতো, কালোবাজারি চলত। আজ সেই পরিস্থিতি অতীত।

আজ কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে বা ভর্তুকি সহ সার পৌঁছে যাচ্ছে। এনডিএ সরকারের কারণে আজ কৃষকদের হাত থেকে ১২ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে—যা অন্যথায় সার কেনায় খরচ হতো। একইভাবে, প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্প গত ছয় বছরে প্রায় ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছে—মধ্যস্থতাকারী বা দুর্নীতির সুযোগ ছাড়াই।

বন্ধুগণ,

আগের জঙ্গলরাজ বা কংগ্রেসের সরকার কখনও কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি। বন্যা, খরা বা শিলাবৃষ্টিতে তারা কৃষকদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিত। কিন্তু ২০১৪-তে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর থেকে কৃষকের অবহেলা বন্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় কৃষকেরা ২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

গ্রামীণ নারীরা আজ ‘লক্ষ্মী দিদি’ হয়ে উঠছেন, পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন গ্রামে নতুন আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে। আজ বিহারের দুগ্ধ সমবায় প্রতিদিন ৩০ লক্ষ লিটার দুধ সংগ্রহ করছে।

মাখানা, মাছচাষ, রেশম শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো, ব্রিজ, সড়ক, রেল—সবখানেই চলছে দ্রুত অগ্রগতি। ভাগলপুরের জর্দালু আম নিয়ে ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’, ভিক্ষিপুরে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, বারৌনিতে সার কারখানা, নতুন সেতু ও রেললাইন—সব প্রকল্পই বিহারের উন্নয়নের ভিত্তি হয়ে উঠছে।

বন্ধুগণ,

এক বিকশিত ভারত গড়ে উঠবে পূর্বোদয়ের মাধ্যমে। আর এই যাত্রার অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ হলো বিহার। আজ বিহার নতুন করে তার গৌরব ফিরে পাচ্ছে। বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য যেমন একদিন ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তেমনি আজ বিহার আবারও বিকশিত ভারতের নেতৃত্বে শামিল হবে।

বন্ধুগণ,

যারা আমাদের বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আঘাত করছে, যারা রামমন্দির ও মহাকুম্ভের বিরোধিতা করছে—তাদেরকে  বিহারের জনগণ কখনও ক্ষমা করবেন না।

আজ আমরা সকলে একসঙ্গে প্রতিজ্ঞা করি—কৃষক কল্যাণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পবৃদ্ধি, এবং ঐতিহ্য রক্ষার মাধ্যমে বিহারকে আমরা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।

আসুন, সকলে একসঙ্গে বলি—

ভারত মাতা কি জয়! 

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

 


SC/TM


(Release ID: 2160163) Visitor Counter : 11