স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
রাঁচিতে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের ২৭তম বৈঠকে পৌরোহিত্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ
Posted On:
10 JUL 2025 7:24PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১০ জুলাই, ২০২৫
ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে আজ পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের ২৭তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন চরণ মাঝি, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সম্রাট চৌধুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব সহ শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও বৈঠকে যোগ দেন। পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের সদস্য হ’ল – বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন আন্তঃরাজ্য পরিষদ সচিবালয় এবং ঝাড়খন্ড সরকারের যৌথ আয়োজনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভাষণে শ্রী শাহ বলেন, আমাদের সেনারা শৌর্য ও সাহসিকতায় সারা বিশ্বের সামনে নজির গড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সারা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও আপোষ নয়। ঝাড়খন্ডের ভূমি ভগবান বীরসা মুন্ডা সহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মস্থান বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উল্লেখ করেন। বিজ্ঞান, কলা শিল্পের পাশাপাশি দেশের পূর্বাঞ্চল বৈপ্লবিক চিন্তাধারারও ধাত্রীভূমি বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, বাবু জগজীবন রামের মতো দেশনেতাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভিত্তি করে দলবদ্ধতার আদর্শের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন। ২০৪৭ সাল নাগাদ ভারতকে প্রকৃত অর্থেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্যগুলির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও জোরদার করতেই আঞ্চলিক পরিষদগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। এই মঞ্চ এখন নিছক আলোচনার পরিসর ছাড়িয়ে সহযোগিতামূলক উন্নয়নের অনুঘটক হয়ে উঠেছে। ২০০৪-১৪’র মধ্যে আঞ্চলিক পরিষদগুলির বৈঠক হয়েছে ২৫বার। ২০১৪-২৫ এর মধ্যে এই পরিষদগুলি মোট ৬৩টি বার বৈঠকে বসেছে। এইসব বৈঠকে ১ হাজার ৫৮০টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ১ হাজার ২৮৭টি ক্ষেত্রে সন্তোষজনক মীমাংসায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।
আজকের বৈঠকে ম্যাসোঞ্জোর বাঁধ, তাইইয়াবুর বাঁধ এবং ইন্দ্রপুরী জলাধারের মতো স্পর্শকাতর নানা বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও, বিহার ও ঝাড়খন্ডের মধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সম্পদ ও দায়বদ্ধতা বন্টন নিয়েও আলোচনা হয় ঐ বৈঠকে। বিহারের একটি অংশ নিয়ে তৈরি হওয়া ঝাড়খন্ডের আত্মপ্রকাশের সময় থেকেই এই বিষয়গুলি বকেয়া ছিল।
নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের যথাযথ রূপায়ণে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। ড্রাগ ও নারকোটিক চোরাচালান রুখতে জেলাস্তরে আরও সক্রিয়তা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে সহায়তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের সাহসিকতার জন্যই নকশালবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ – এর ৩১ মার্চের মধ্যে এই দেশ নকশালবাদের প্রভাবমুক্ত হবে। বিহার, ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা এক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে নকশালবাদের সমস্যা কার্যত আর নেই বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
বৈঠকে ফাস্টট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করে নারী ও শিশু নির্যাতনে যুক্তদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়াও, ব্যাঙ্ক পরিষেবার সম্প্রসারণ, আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, নগর পরিকল্পনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রাদেশিক স্তরে সহায়তার বিষয়গুলি উঠে আসে।
১৯৫৬’র রাজ্য পুনর্গঠন আইনের ১৫ ও ২২ ধারা অনুযায়ী, ৫টি আঞ্চলিক পরিষদ গড়ে তোলা হয়েছে। এর চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সদস্য রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা পালা করে সহ-সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি রাজ্য থেকে ২ জন মন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন রাজ্যপাল। প্রতিটি আঞ্চলিক পরিষদে মুখ্য সচিব পর্যায়ে একটি স্থায়ী কমিটিও রয়েছে। এই কমিটির কাছে রাজ্যগুলি আলোচনার বিষয়বস্তু পেশ করে।
SC/AC/SB…
(Release ID: 2143969)