নয়াদিল্লি, ২৭ জুন, ২০২৫

রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু নতুন দিল্লিতে আজ এমএসএমই দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ভারতের অর্থনীতির শক্ত ভিত। মোট জাতীয় উৎপাদন এবং তৃণমূলস্তরে উদ্ভাবনী প্রসারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বলিষ্ঠ এমএসএমই পরিমণ্ডল কেবলমাত্র প্রয়োজনীয়ই নয়, দেশের সুস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কম মূলধন বিনিয়োগে অনেক বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। সবথেকে বড় কথা, পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে ও গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সম্প্রসারণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে, দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং দুর্বলতর সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি বিকেন্দ্রিকৃত উন্নয়নের পথও প্রসারিত হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এমএসএমই ক্ষেত্রকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমখি হতে হয়। সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল অর্থায়নের। পাশাপাশি, বড় সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রযুক্তিগত অভাব, কাঁচামালের অভাব এবং দক্ষ শ্রমশক্তির অভাব। সেইসঙ্গে সীমিত বাজার এবং অর্থ আদায়ে বিলম্ব সমস্যাকে আরও বেশি গভীর করে তোলে। শ্রীমতী মুর্মু বলেন, এমএসএমই ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ভারত সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রধান দিকটি হল এমএসএমই ক্ষেত্রগুলির শ্রেণীবিভাগের পুনর্মূল্যায়ন করা। এছাড়াও, তারা যাতে সহজে ঋণ পায় এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের পক্ষ থেকে এমএসএমই ক্ষেত্রকে প্রয়োজনে অন্ততপক্ষে ৩৫ শতাংশ বরাত দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা’য় কারিগরদের দক্ষতা প্রসারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর ফলে রেজিস্ট্রিকৃত এমএসএমই-র সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিলম্বিত অর্থ আদায় নিয়ে নানাবিধ মামলার নিষ্পত্তি অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এমএসএমই-র সুস্থায়িত্বে প্রয়োজন উদ্ভাবনের। তৃণমূলস্তরে উদ্ভাবনের প্রসার স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় এবং স্থানীয় সম্পদের এক সহজ সমাধান হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। এমএসএমই ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মহিলাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা বৃদ্ধিতে শ্রীমতী মুর্মু সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক বিকাশের জন্য এই ক্ষেত্রে মহিলাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি তরুণীদেরকে বিভিন্ন উদ্যোগ গড়ে তুলে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার কথা বলেন। 

ভারতের আর্থিক অগ্রগতিতে এমএসএমই ক্ষেত্রের অবদানের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জ্বালানির দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার কার্বন নিঃসরণকে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এমএসএমই-র ক্ষেত্রে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের চাহিদা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে তাদের সুস্থায়িত্ব এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে তাই নয়, জলবায়ু সংরক্ষণের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে দেশকেও এগুলি নানাভাবে সাহায্য করতে পারবে। 

রাষ্ট্রপতির ভাষণটি পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন – 
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/jun/doc2025627577101.pdf

SC/AB/DM