নয়াদিল্লি,  ২৫ মে, ২০২৫

একাদশতম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অনুষ্ঠানে একমাসেরও কম সময় রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর 'মন-কি-বাত'-এর ১২২-তম পর্বে সমগ্র বিশ্বের নাগরিকদের সার্বিক সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনের জন্য নিয়মিত যোগাভ্যাস করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও যোগ দিবসের প্রতি মানুষের উৎসাহ ও আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫ সালের ২১ জুন যোগ দিবস উদযাপন শুরু হওয়ার পর থেকেই এর প্রতি আকর্ষণ ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের মানুষের মধ্যে যোগ দিবস নিয়ে উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সকলেই যেন এই অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন প্রধানমন্ত্রী তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যোগ শৃঙ্খল গড়ে তোলা থেকে শুরু করে বিশেষ স্থানগুলিতে যোগ-ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানুষ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে একটি আন্দোলনে রূপান্তরিত করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী, অন্ধ্রপ্রদেশে যোগ-সংস্কৃতি বাড়াতে যে যোগ-অন্ধ্র অভিযান শুরু হয়েছে তার প্রশংসা করেন। এই অভিযানের লক্ষ্য হল, নিয়মিতভাবে যোগাভ্যাস করা ১০ লক্ষ মানুষের একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলা। এই উদ্যোগ থেকে কোনও রাজ্য কীভাবে স্বাস্থ্য বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে তা পরিলক্ষিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নে যোগ ব্যায়ামে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য জোর দেন। তিনি এই লক্ষ্যে বিশাখাপত্তনমে আয়োজিত এবছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী যোগ ব্যায়ামে কর্পোরেট ক্ষেত্রগুলির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসে যোগ অনুশীলনের জন্য একটি পৃথক স্থান নির্ধারণ করেছে। কয়েকটি স্টার্ট আপ ‘অফিসে যোগব্যায়ামের সময়’ চালু করেছে।” তিনি বলেন, এটি একটি ইতিবাচক দিক যে বেসরকারী সংস্থাগুলিও দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

যোগ দিবস উদযাপনের একদশকের স্মরণে এবং আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের একাদশতম সংস্করণকে চিহ্নিত করতে আয়ুষ মন্ত্রক ১০টি স্থানে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। 
যোগ-সঙ্গমে ইতিমধ্যেই ৬০০০-র বেশি সংগঠন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্য কর্মসূচী। এদিকে, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা, ন্যাচারোপ্যাথি এবং সোয়ারিগপা-র মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে যোগ-ব্যায়ামকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “যোগ ব্যায়াম আপনার জীবনযাপনকে বদলে দেবে”। দেশের জনগণ, কর্পোরেট সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যুব সম্প্রদায়কে যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৫ পালনের জন্যও যোগ-ব্যায়ামকে তাদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

আয়ুষ মন্ত্রক সকলকে এই উদযাপনে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ২১ জুনের জন্য ফিরতি গণনা শুরু হয়েছে। এই দিনটি পালনের বার্তা স্পষ্টঃ যোগ-ব্যায়াম কেবলমাত্র একটি অভ্যাস নয়, জাতীয় স্বাস্থ্য, অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সুস্থতার জন্য এ এক আন্দোলন।   

SC/ PM /AG