বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, "আধুনিক যুদ্ধ সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর এবং গত চার দিনে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে"

Posted On: 11 MAY 2025 6:09PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১১ মে, ২০২৫


আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাষণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন "আধুনিক যুদ্ধ সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর এবং গত চার দিনে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে"। তিনি জোর দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গত এক দশকের শাসনকালে দেশজ প্রযুক্তি উন্নয়নে ভারতের দ্রুত অগ্রগতি এবং আধুনিক যুদ্ধে তার প্রভাবের উপর। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, পৃথ্বী বিজ্ঞানের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, পারমাণবিক শক্তি দপ্তর, মহাকাশ দপ্তর এবং কর্মীবর্গ, গণঅভিযোগ ও অবসরভাতা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী  ডঃ জিতেন্দ্র সিং জোর দিয়ে বলেছেন আধুনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি নির্ভর এবং গত চার দিন আবার প্রমাণ করেছে ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তিকে। তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ভারত সাফল্যের সঙ্গে দেশজ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রয়োগ ঘটিয়েছে যা উল্লেখযোগ্যভাবে জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন "বর্তমানে প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত বেশিরভাগ প্রযুক্তিই দেশে তৈরি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীই সেই ব্যক্তি যিনি আত্মনির্ভর ভারত হওয়ার আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছেন আমাদের মধ্যে।" 

জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের সূত্র স্মরণ করে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, এই দিনটি প্রথম পালিত হয়েছিল ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাবনা অনুযায়ী সফল পোখরান পরমাণু পরীক্ষার উদযাপনের লক্ষ্যে। তিনি আরও বলেন, "১৯৯৮ সালে যে ভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আরও পরিণত হয়েছে, ভারতকে পরিণত করেছে বিশ্বপ্রযুক্তি নেতাতে। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন যে ২০১৪ থেকে অভ্যন্তরীণ নির্মাণের উপর সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরন্তর আত্মনির্ভরতা অর্জনে জোর দেওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, "ভারত আর বহিঃশক্তির উপর নির্ভরশীল নয়, আমাদের আধুনিক যুদ্ধের সাফল্য Viksit Bharat @2047-এর লক্ষ্যে অগ্রগতির প্রতিফলন। 

বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে সন্তুোষ প্রকাশ করে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীন টেকনোলজি ডেভলপমেন্ট বোর্ড (টিডিবি)-এর প্রশংসা করেন বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে ১০০০ ড্রোন প্রদর্শনী সহ প্রথম শ্রেণীর উদ্যোগকে সাহায্য করার জন্য। তিনি বলেন ড্রোন, যা একদা ছিল প্রতীকী, তা এখন ভারতের বিবর্তিত প্রতিরক্ষা পরিমণ্ডলের কেন্দ্রবিন্দুতে।

টিডিবি-র প্রতি বছর নতুন থিম স্থির করার ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন ডঃ জিতেন্দ্র সিং এবং তুলে ধরেন এ বছরের থিম ‘যন্ত্র’-কে, যা অত্যাধুনিক গবেষণা ও  প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে রূপান্তরকে চিহ্নিত করে। 

তিনি গর্বের সঙ্গে জানান, ভারত গত এক দশকে তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি করেছে এবং বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের বৃদ্ধির উপযোগী পরিমণ্ডলের জন্য কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তিনি বলেন, "ভারতে কখনও প্রতিভার অভাব ছিল না, কিন্তু এখন আমাদের নেতৃত্ব আছে, যা উদ্ভাবনের পৃষ্ঠপোষকতা করে। 

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে ভারতের চমকপ্রদ অগ্রগতিকে তুলে ধরে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক মর্যাদার প্রতিফলন বেশ কয়েকটি সাফল্য। এই সূত্রে তিনি আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ভারতে ৮১তম স্থান থেকে ৩৯তম স্থানে উঠে আসার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, পেটেন্টের ৫৬ শতাংশই নথিভুক্ত করছে এদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রাই - এটি দেশজ উদ্ভাবনের অগ্রগতির লক্ষণ। ভারত বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ পরিমণ্ডল হয়ে উঠেছে, উদ্যোগ এবং প্রযুক্তির অগ্রগতিকে উৎসাহ দিয়ে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রপ্তানির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে, ২,০০০ কোটি থেকে পৌঁছেছে ১৬,০০০ কোটি টাকাতে, দেশজ সক্ষমতার শক্তিকে তুলে ধরেছে। তিনি আরও বলেন, যে গ্রস এক্সপেনডিচার অন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (জিইআরডি)-র জন্য বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, ৬০,০০০ কোটি থেকে ১,২৭,০০০ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসটি এবং ডিবিটি-র বাজেট ১০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য মহাকাশ ক্ষেত্রের বাজেট প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, এই ক্ষেত্রটিকে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় যা ভারতকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে। 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং 'ওয়ান নেশন, ওয়ান সাবস্ক্রিপশন'-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগেরও উল্লেখ করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনে ফেলোশিপের জন্য একটিমাত্র  পোর্টালেরও উল্লেখ করেন তিনি, যাতে ভারতে গবেষণা করা সহজ হয়ে উঠেছে। 

অনুষ্ঠানে গত পাঁচ বছর টিডিবি-র সাহায্যপ্রাপ্ত "সুপার ৩০ স্টার্টআপস"-এর কমপেনডিয়াম প্রকাশ করেন ডঃ জিতেন্দ্র সিং এবং ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশনের অধীনে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য দুটি নতুন উদ্যোগের সূচনা করেন। কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন অ্যান্ড স্টোরেজ (সিসিইউএস)-এর জন্য পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করা, শিল্প-শিক্ষা সংগঠনকে প্রকল্প অনুদান তুলে দেন তিনি। 

ভাষণের শেষে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, "২৭তম জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি উদযাপন করা হচ্ছে, যা India @2047-এর জন্য সুর বেঁধে দিয়েছে।” 

অনুষ্ঠানে যোগ দেন পদ্মভূষণ অজয় ​​চৌধুরী, যিনি বিদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে দেশজুড়ে উদ্যোগের উপর জোর দেন এবং প্রকৃত আত্মনির্ভরতা অর্জনে অনুসন্ধান এনআরএফ-এর মতো উদ্যোগের পক্ষে সরব হন। 

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসটি-র সচিব ডঃ অভয় কারান্ডিকর, ডিবিটি-র সচিব ডঃ রাজেশ গোখলে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জগতের বৈজ্ঞানিক ও বিশিষ্ট জন ছাড়াও শীর্ষ আধিকারিকেরা।

 

SC/AP/SKD


(Release ID: 2128314) Visitor Counter : 2