পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

অরণ্য নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ফোরামের ২০তম অধিবেশনে অরণ্য সংরক্ষণ ও সুস্থায়ী অরণ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের দিক তুলে ধরল ভারত

Posted On: 09 MAY 2025 9:59AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৯ মে, ২০২৫ 

 

নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর কার্যালয়ে ৫-৯মে,২০২৫ অরণ্য নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ফোরামের ২০তম অধিবেশন (ইউএনএফএফ ২০) - এ যোগ দেয় ভারত। 
অরণ্য সংরক্ষণ ও সুস্থায়ী অরণ্য ব্যবস্থাপনার সাফল্যের দিকগুলিকে ভারত তুলে ধরে। সেইসঙ্গে, ২০১৭-২০৩০ পর্যন্ত সময়কালের জন্য অরণ্য নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের কৌশলগত পরিকল্পনার অধীন স্বেচ্ছায় জাতীয় অবদানকে সফল করতে  ভারত তার দায়বদ্ধতার কথাও ঘোষণা করেছে। ভারত জানিয়েছে, বনসৃজনের প্রসারে দেশ নিরন্তর কাজ করে চলেছে। ভারতের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভৌগোলিক এলাকার ২৫.১৭ শতাংশ এখন বন পরিবেষ্টিত। আরাবল্লী গ্রিন ওয়াল – এ ভূমি সংরক্ষণকে জাতীয় উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করায় বনসৃজনে ফলপ্রসূ সাফল্য লাভ করা গেছে। বিগত এক দশকে বাদাবনের সংখ্যা ৭.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রিন ইন্ডিয়া মিশন – এর অধীন ১.৫৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে বনসৃজনের কাজ হচ্ছে। ‘এক পেড় মা কে নাম’ অভিযানে ১৪০ কোটি চারাগাছ রোপণ করা হয়েছে। 
ভারতের এই অংশগ্রহণের উল্লেখযোগ্য দিকটি হ’ল – রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলিকে ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স (আইবিসিএ) – এ যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতই এই আন্তর্জাতিক মঞ্চের সূচনা করে, যাতে যৌথ গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও দক্ষতা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, স্নো লেপার্ড, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতা – এই ৭টি প্রাণীর প্রজাতি সংরক্ষণে  সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে জোর দেওয়া হয়। 
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দেরাদুনে দেশীয় নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে (সিএলআই) যে সাফল্য এসেছিল, সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সংগঠিত উদ্যোগ গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রতিনিধিদল আহ্বান জানিয়েছে। কঙ্গো, কোরিয়া, অস্ট্রিয়ার মতো দেশের অনুরূপ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ভারত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দাবানল প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্বব্যাপী  বন সার্টিফিকেশনের ওপর জোর দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি
ক্রমক্ষীয়মান অরণ্য মানচিত্রের পুনর্বহাল করতে ভারত একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে।  ভারতের তরফ থেকে জাতীয় নীতি ও কৌশলের অঙ্গ হিসেবে বন পরিমণ্ডলের মূল্যায়ন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার ওপর জোর দেওয়া হয়। এই আলোচনায় উত্তরাখন্ড, রাজস্থানে পাইলট প্রকল্প এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণে সাফল্যের দিকগুলিকে তুলে ধরা হয়। জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা, কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ, জল সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশগত নানা দিক নিয়েও এখানে আলোচনা হয়। দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশগত সুস্থায়িত্ব গড়ে তোলা এবং বনসৃজনে জাতীয় পরিকল্পনার উপরও ভারত জোর দিতে বলেছে।
ইউএনএফএফ ২০-তে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বন মহানির্দেশক ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের বিশেষ সচিব শ্রী সুশীল কুমার অবস্থি। 

 

SC/AB/SB…


(Release ID: 2127889)