স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে ভারতরত্ন নানাজী দেশমুখের ১৫তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন

Posted On: 27 FEB 2025 7:45PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ 

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে ভারতরত্ন নানাজী দেশমুখের ১৫তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, নানাজী দেশমুখ এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর জীবনযাত্রা মাত্র কয়েক বছরের জন্য নয়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের মনে ছাপ রেখে যায়। এই ধরনের মানুষেরা সমাজে পরিবর্তনের জন্য কাজ করে গেছেন। শ্রী শাহ আরও বলেন, নানাজী মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শৈশবকাল থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) - এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে উত্তর প্রদেশেই তিনি কাজ চালিয়ে যান। ভারতীয় জনসংঘের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। পণ্ডিত দীনদয়ালের সঙ্গে জনসংঘের ভিত স্থাপনের জন্য উত্তর প্রদেশের প্রতিটি ব্লক ও অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। নানাজী জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভারতমাতার প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন। 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে থাকাকালীন সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা খুব কঠিন। কারণ, প্রায়শই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধিতার মুখোমুখি হতেই হয়। তবে, নানাজীর বিরোধিতা করার কারো সাহস ছিল না। এমনকি, কেউ তাঁর বিরোধিতা করাও সঙ্গত মনে করেননি। নানাজী শিল্প, সাহিত্য এবং রাজনীতি প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই সমান গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান লাভ করেছিলেন। নানাজী দেশমুখ গ্রামীণ উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্ডিত দীনদয়ালের ‘অন্ত্যোদয়’ নীতি বাস্তবে রূপায়িত করেছিলেন।
শ্রী শাহ বলেন, নানাজীর বয়স যখন ৬০, তখন তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং আজীবন একাত্ম মানববাদ অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন নানাজী আগামী প্রজন্মের কাছে রোলমডেল হয়ে থাকবেন। তাঁর প্রচেষ্টায় দেশের গ্রামাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি জানান, ভারতীয় জনসংঘ একই সময়ে দেশের রাজনীতিতে নানাজী দেশমুখ এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতো দুই মহান পুরুষ উপহার দিয়েছিল। দু’জনেরই জন্ম ১৯১৬ সালে। এই দুই মহান ব্যক্তি দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পণ্ডিত দীনদয়াল ভারতের উন্নয়ন মডেলকে ‘অন্ত্যোদয়’ নামকরণ করেছিলেন। এর অর্থ শেষ প্রান্তে থাকা মানুষের বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নানাজী এবং পণ্ডিত দীনদয়ালের ‘অন্ত্যোদয়’ নীতিকে আদর্শ করে দেশের দরিদ্র মানুষের বিকাশসাধনে এগিয়ে এসেছেন। আজ লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশে ৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আবাসন, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নানাজী দেশমুখের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে গ্রামগুলিকে স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে। শ্রী শাহ বলেন, দেশে জরুরি অবস্থার মোকাবিলায় নানাজী দেশমুখ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। নানাজীর আজীবন কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজে পরিবর্তনমূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নানাজীকে ভারতরত্ন সম্মান দিয়ে ভূষিত করেন। গোরক্ষপুরে নানাজী প্রথম সরস্বতী শিশু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন শিশুদের শিক্ষা ও মূল্যবোধের পাঠদান করে চলেছে। ভাষণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিত্রকূটের আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও তুলে ধরেন। 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রাজেন্দ্র শুক্লা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। 

 

SC/SS/SB


(Release ID: 2106879)