প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 24 FEB 2025 3:30PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন যাদব জি, অন্যান্য সকল বিশিষ্টজনেরা, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহিলাগণ !

সবচেয়ে প্রথম আমি এখানে আসতে আমার দেরি হওয়ায় আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। দেরি এইজন্য হয়েছে যে কাল আমি যখন এখানে এসেছি তখন মনে হল যে আজ থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এজন্য আমার নিরাপত্তার জন্য যদি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দিতে যেতে অসুবিধা হবে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, ছেলেমেয়েরা যেন যথাযথভাবে নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, তার পরেই আমি রাজভবন থেকে বেরনোটা সমীচিন বলে মনে করলাম। আর এজন্যই আমার সেখান থেকে বেরতে ১৫-২০ মিনিট দেরি হল ও আপনাদের অপেক্ষা করতে হল। এই অসুবিধার জন্য আমি আরও একবার আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। 

বন্ধুগণ,

রাজা ভোজের এই নগরে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এখানকার শিল্প ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে বহু মানুষ এসেছেন। বিকশিত বা উন্নত মধ্যপ্রদেশ থেকে উন্নত ভারতের যাত্রাপথে আজকের এই অনুষ্ঠান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি মোহন জি ও তাঁর সম্পূর্ণ দলকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

ভারতের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এই প্রথম তৈরি হয়েছে যখন সমগ্র বিশ্ব ভারতকে নিয়ে এতটা সদর্থক মানসিকতা পোষণ করছে। সারা বিশ্বে সাধারণ মানুষ, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ বা বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান সকলেই ভারতের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে যেসব মন্তব্য এসেছে, তা ভারতে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে উৎসাহিত করবে। কিছুদিন আগে বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে, ভারত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম উন্নয়নশীল অর্থনীতি হয়ে উঠবে। ওইসিডি-র এক বিশেষ প্রতিনিধি বলেছেন, বিশ্বের ভবিষ্যৎ হচ্ছে ভারত। কিছুদিন আগে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি সংস্থা ভারতকে সৌরবিদ্যুতের বিশেষ ক্ষমতাবান বলে মন্তব্য করেছে। এই সংস্থাটি এও বলেছে যে কিছু কিছু দেশ যখন কেবলমাত্র কথা বলে, তখন ভারত কাজ করে দেখায়। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অ্যারোস্পেস কোম্পানীগুলির জন্য ভারত কীভাবে একটি উন্নত সরবরাহ শৃঙ্খল রূপে প্রকাশিত হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের চ্যালেঞ্জের জবাব তাঁরা ভারতে দেখতে পাচ্ছেন। সমগ্র বিশ্ব যেখানে ভারতের ওপর আস্থা প্রকাশ করছে এ ধরনের বেশ কিছু উদাহরণ আমি  এখানে উদ্ধৃতি দিয়ে বলতে পারি। এই আস্থা বা আত্মবিশ্বাস ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলির আত্মবিশ্বাসও বাড়াতে সাহায্য করছে। বর্তমানে আমরা মধ্যপ্রদেশের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও তা দেখতে পাচ্ছি ও উপলব্ধি করতে পারছি। 

বন্ধুগণ,

মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। মধ্যপ্রদেশ কৃষিক্ষেত্রে ভারেতর শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। খনিজের দিক থেকে দেখতে গেলে এই রাজ্য দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫টি রাজ্যের মধ্যে একটি। মধ্যপ্রদেশে জীবনদাত্রী মা নর্মদার আশীর্বাদও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশকে জিডিপি-র হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৫টি রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে পারার মতো সব সম্ভাবনা ও ক্ষমতা এই রাজ্যের রয়েছে।  

বন্ধুগণ,

বিগত দুই দশকে মধ্যপ্রদেশে পরিবর্তনের এক নতুন অধ্যায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন বিদ্যুৎ ও জলের অসুবিধা ছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ ছিল। এই পরিস্থিতিতে এখানে শিল্পের বিকাশ হওয়া অত্যন্ত অসুবিধাজনক ছিল। কিন্তু বিগত দুই দশক বা ২০ বছরে মধ্যপ্রদেশের জনগণের সহায়তায় এখানকার বিজেপি সরকার সুশাসনের দিকে নজর দিয়েছে। দু-দশক আগে পর্যন্ত মানুষ মধ্যপ্রদেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পেতেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ বিনিয়োগের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। যে রাজ্যে বেহাল সড়কের জন্য বাস পর্যন্ত যথাযথভাবে চলতে পারতো না সেখানে আজ ভারতের ইভি বা বৈদ্যুতিন যানবাহনে বিপ্লব ঘটেছে। ২০২৫-এর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে প্রায় ২ লক্ষ বৈদ্যুতিন যানবাহন নথিভুক্ত হয়েছে। এটি প্রায় ৯০ শতাংশ উন্নয়ন। ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে এই রাজ্য এক উল্লেখযোগ্য স্থান হয়ে উঠছে। এ বছরটিকে মধ্যপ্রদেশে আয় ও উদ্যোগের বছর হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি মোহনজি ও তাঁর দলকে অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

বিগত দশকে ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে অনেক উপকৃত হয়েছে এই রাজ্য। দেশের বিভিন্ন বড় শহরগুলিকে যুক্ত করা দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের একটি বড় অংশ মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে গেছে। ফলে একদিকে এই রাজ্য মুম্বাইয়ের বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারছে, অন্যদিকে উত্তর ভারতের বাজারের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারছে। মধ্যপ্রদেশে বর্তমানে ৫ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই রাজ্যের শিল্প করিডর আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ফলে মধ্যপ্রদেশে লজিস্টিকের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

যদি আকাশপথে যোগাযোগের কথা বলি তাহলে এখানে গুয়ালিওর ও জব্বলপুর বিমান বন্দরের টার্মিনাসেরও সম্প্রাসরণ হয়েছে। আমরা এখানই থেমে থাকিনি। মধ্যপ্রদেশের একটি বড় রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারও আধুনিকীকরণ করছি। এখানকার রেল নেটওয়ার্কের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে। ভোপালে রানী কমলাপতি রেল স্টেশনের ছবি আজও সকলের মন মুগ্ধ করে। মধ্যপ্রদেশের ৮০টি রেল স্টেশনকে অমৃতভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের শক্তি ক্ষেত্রে বিগত দশকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। বিশেষ করে সবুজ শক্তি ক্ষেত্রে ভারত কল্পনার অতীত কাজ করে দেখিয়েছে। বিগত ১০ বছরে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে। এর আগে স্বচ্ছশক্তি ক্ষেত্রে ১০ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শক্তি ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের নাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এই রাজ্যে বিদ্যুৎ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদিত হয়। এখানে প্রায় ৩১,০০০ মেগাওটায় বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই স্বচ্ছশক্তি। রিবা সৌরপার্ক দেশের সবচেয়ে বড় পার্কগুলির মধ্যে একটি। কিছুদিন আগে ওমকারেশ্বরে ভাসমান সৌর কারখানা চালু হয়েছে। সরকার বিনা রিফাইনারি পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। মধ্যপ্রদেশকে পেট্রো কেমিক্যালে হাব তৈরি করতে সাহায্য করবে। মধ্যপ্রদেশে এই পরিকাঠামো এখানকার রাজ্য সরকারের সহায়তায় উন্নত হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ৩০০র বেশি শিল্পাঞ্চল রয়েছে। পিথমপুর, রতলান এবং দেবাস-এ ১০০০ একর বিনিয়োগ অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। সকল বিনিয়োগকারীদের এখান থেকে উন্নত ফলাফল পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সবাই জানি যে, উদ্যোগ ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য জল পথে যোগাযোগ জরুরি। এখানে জল সংরক্ষণের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নদীগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মেগা প্রকল্পে কাজ চলছে। মধ্যপ্রদেশে ক্ষেত-খামার ও এখানকার শিল্প বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ৪৫,০০০ কোটি টাকার কেন বেতোয়া নদী আন্তঃসংযোগ প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। এরফলে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমির উৎপাদন বাড়বে। মধ্যপ্রদেশে জল ব্যবস্থাপনাও উন্নত হবে। এই ধরনের সুবিধার ফলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি শিল্প এবং বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বন্ধুগণ,

মধ্যপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পর উন্নয়ের গতিও যেন দ্বিগুণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে। নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম যে আমাদের তৃতীয়বারের সরকার গঠনের পর তিন গুণ গতিতে কাজ করবো। এই গতি আমরা ২০২৫-এর প্রথম ৫০ দিনের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। এ মাসেই আমাদের বাজেট পেশ হয়েছে। এই বাজেটে আমরা ভারতের উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সব রকম সুযোগ খতিয়ে দেখেছি। আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণী সবেচেয়ে বড় করদাতা। তাঁরা পরিষেবা ও উৎপাদন ক্ষেত্রের জন্য চাহিদাও তৈরি করে। এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত ঘোষণা করেছি। কর কাঠামো পুনর্গঠিত করা হয়েছে। বাজেটের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও সুদের হার কমিয়েছে।

বন্ধুগণ,

বাজেটে স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে যেন আমরা সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারি সেদিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত। পূর্ববর্তী সরকার এমএসএমই-র ক্ষমতা সীমিত করে রেখেছিল। ফলে ভারতে স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল বিশেষভাবে উন্নত হতে পারেনি। বর্তমানে আমরা প্রাধান্যের ভিত্তিতে এমএসএমই নেতৃত্বাধীন স্থানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি করছি। এজন্য এমএসএমই-র সংজ্ঞাও পরিবর্তন করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

জাতীয় স্তরে বিগত এক দশকে আমরা একের পর এক সংস্কার করে চলেছি। বর্তমানে রাজ্য ও স্থানীয় পর্যায়েও সংস্কারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমি আপনাদের সামনে স্টেট ডি রেগুলেশন কমিশনের কথা অবশ্যই বলতে চাই। এ বিষয়ে এবারের বাজেটে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গেও আমরা অবিরাম আলোচনা চালাচ্ছি। বিগত বছরে আমরা গুরুত্বহীন ১,৫০০-র বেশি আইন বন্ধ করেছি। বাণিজ্যে সরলীকরণের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিনিয়োগ বান্ধব নিয়ন্ত্রক বাস্তুতন্ত্র তৈরিতে সহায়ক হচ্ছে ডি রেগুলেশন কমিশন। 

বন্ধুগণ,

বাজেটে আমরা আন্তর্জাতিক শুল্ক হার কাঠামোর সরলীকরণ করেছি। শুল্ক ক্ষেত্রে পর্যালোচনার পর একটি সময়সীমা স্থির করা হবে। এছাড়াও নতুন ক্ষেত্রকে বেসরকারি উদ্যোগ ক্ষেত্রের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব করে তোলা হবে। 

বন্ধুগণ,

ভারতের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তিনটি ক্ষেত্রের ভূমিকা বিশেষ হয়ে উঠতে চলেছে। এই তিনটি ক্ষেত্রে কোটি কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই ক্ষেত্রগুলি হবে- বস্ত্র, পর্যটন ও প্রযুক্তি। যদি আপনারা বস্ত্র ক্ষেত্রের দিকেই নজর দেন, তাহলে দেখবেন ভারত সুতি, সিল্ক, পলিয়েস্টার এবং বিসকোস-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ। ভারতের বস্ত্র ক্ষেত্র থেকে কোটি কোটি মানুষের আয় হয়। ভারতে বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একটি ঐতিহ্যও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ভারতের সুতি ক্ষেত্রের রাজধানী। ভারতে উৎপাদিত প্রায় ২৫ শতাংশ জৈব সুতি সরবরাহ এখান থেকেই হয়। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মালবেরি সিল্ক উৎপাদিত হয় মধ্যপ্রদেশে। এখানকার চান্দেরি ও মহেশ্বরী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এগুলিকে জিআই ট্যাগও দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আপনাদের বিনিয়োগ এখানকার বস্ত্র শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।  

বন্ধুগণ,

ভারত ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প ছাড়াও নতুন সম্ভাবনার সুযোগ অনুসন্ধান করছে। কৃষি বস্ত্র, চিকিৎসা বস্ত্র এবং জিও বস্ত্র শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য জাতীয় মিশনও শুরু হয়েছে। বাজেটেও এই ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আপনারা সকলেই সরকারের পিএম মিত্র প্রকল্পের সঙ্গে পরিচিত আছেন। দেশে বস্ত্র ক্ষেত্রের জন্যই ৭টি বড় বস্ত্র পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি তৈরি হচ্ছে এই মধ্যপ্রদেশে। এটি বস্ত্র ক্ষেত্রের উন্নয়নকে মজবুত করতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে। আমি বস্ত্র ক্ষেত্রের জন্য ঘোষিত পিএলআই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য আপনার সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। 

বন্ধুগণ,

বস্ত্র ক্ষেত্রের মতোই ভারত পর্যটন ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মধ্যপ্রদেশ পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। নর্মদার আশপাশের জায়গাগুলি, আদিবাসী ক্ষেত্রগুলির পর্যটন পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখানে অনেকগুলি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত পর্যটন ক্ষেত্রেও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। হিল ইন ইন্ডিয়া বা সুস্থ হন ভারতে এই মন্ত্র ব্যাপকভাবে পছন্দ করেছে সমগ্র বিশ্ব। স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে। এজন্য আমাদের সরকার সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বকে এক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দিচ্ছে। ভারতে চিরাচরিত চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুষ চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও বিশেষভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এ সবকিছু থেকে মধ্যপ্রদেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। 

বন্ধুগণ,

আপনারা যখন এখানে এসেছেন তখন অবশ্যই উজ্জয়নের মহাকাল মহালোক দেখতে যাবেন। আপনারা মহাকালের আশীর্বাদ গ্রহণ করবেন। দেশে পর্যটন এবং আতিথেয়তার ক্ষেত্র কতটা সম্প্রসারিত হয়েছে তাও প্রত্যক্ষ করবেন। 

বন্ধুগণ,

আমি লালকেল্লায় বলেছিলাম যে, বর্তমান সময়ই সঠিক সময়। আপনাদের জন্য মধ্যপ্রদেশে বিনিয়োগ করার ও বিনিয়োগের পরিমান বাড়ানোরও সঠিক সময় এটি। আরও একবার আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভ কামনা। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

 

SC/PM/NS


(Release ID: 2105834) Visitor Counter : 7