জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
‘এনসিওরিং প্রাইভেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ইন দ্য ডিজিটাল এরা : এ ফোকাস অন কর্পোরেট ডিজিটাল রেসপনসিবিলিটি’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
Posted On:
19 FEB 2025 12:25PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ভারতের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি) হাইব্রিড মোডে ‘এনসিওরিং প্রাইভেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ইন দ্য ডিজিটাল এরা : এ ফোকাস অন কর্পোরেট ডিজিটাল রেসপনসিবিলিটি’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। কমিশনের সদর দপ্তরে এই আলোচনা হয়। পৌরোহিত্য করেন চেয়ারপারসন বিচারপতি শ্রী ভি রামাসুব্রামনিয়ান। উপস্থিত ছিলেন সদস্য বিচারপতি ডঃ বিদ্যুৎরঞ্জন সরঙ্গি, মহাসচিব শ্রী ভরত লাল, শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা, বিশেষজ্ঞ, শিল্প জগতের প্রতিনিধি এবং অন্যরা।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ভাষণে বিচারপতি শ্রী ভি রামাসুব্রামনিয়ান জোর দেন ডিজিটাল বিশ্বে মানবাধিকার হিসেবে গোপনীয়তা সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর। প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে মেলাতে হবে মৌলিক মানবাধিকার এবং গোপনীয়তা রক্ষার সঙ্গে। দায়িত্ব আছে প্রত্যেক ব্যক্তির। তিনি বলেন, ডিজিটাল স্বাস্থ্য রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এও বলেন, মূল্যবোধের অবনমন ঘটেছে। এর ফলাফল সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
উদ্ভাবন, নিরাপত্তা এবং ব্যক্তির গোপনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে একটি শক্তিশালী নিয়ামক কাঠামো তৈরি করার জন্য ডিজিটাল অধিকার এবং কোম্পানিগুলির দায়বদ্ধতা নিয়ে যাতে আলোচনা হয়, সেব্যাপারে কমিশন সচেতন বলে জানান তিনি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি ডঃ বিদ্যুৎরঞ্জন সরঙ্গি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাবে অনেক মানুষ অন্যের ওপর নির্ভর করে ঠকতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য প্রক্রিয়াগত সরলীকরণ প্রয়োজন।
এর আগে কমিশনের মহাসচিব শ্রী ভরত লাল এদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান। তিনি তিনটি উপবিষয়ের কথা বলেন, যেমন – ‘এস্টাবিলিসিং এ প্রপার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যান্ড কমপ্ল্যায়ান্স মেকানিজম’, ‘বিল্ডিং এ কালচার অফ ডেটা প্রাইভেসি’ এবং ‘আইডেন্টিফাইং থ্রেটস অ্যান্ড বেস্ট প্র্যাক্টিসেস’। ২০২৩-এর তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশের বেশি তথ্য ভারত থেকে উৎপন্ন হয়। কিন্তু তার সংরক্ষণ ক্ষমতা মাত্র ৩ শতাংশ। তিনি বলেন, ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০২৩ এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ থাকলেও ডিজিটাল যুগের সমস্যা বেড়েই চলেছে। খসড়া বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে এবং আলোচনা প্রক্রিয়া চলছে। তিনি এও বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলির দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং তারা এই তথ্যের অছি হিসেবে কাজ করে। এই ক্ষেত্রে বিশ্বাস ভঙ্গ হলে তা অবাঞ্ছিত। তিনি বলেন, অনলাইনে মানুষের গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি সম্মিলিত দায়বদ্ধতা। যেখানে ব্যক্তি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের যৌথ প্রয়াস প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দায়িত্ব আছে সরকার এবং তার সংস্থাগুলির।
SC/AP/AS
(Release ID: 2104903)
Visitor Counter : 10