সহযোগ মন্ত্রক
ত্রিপুরায় সমবায় ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ
Posted On:
22 DEC 2024 7:06PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরায় সমবায় ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্বোধন করলেন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা, সমবায় মন্ত্রকের সচিব ডঃ আশিস কুমার ভূটানি অন্য অভ্যাগতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, ত্রিপুরায় প্রতিটি কৃষক এবং দরিদ্র মানুষের উন্নতি কল্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সমবায়ের ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। সমবায় মন্ত্রকের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ স্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষেত্রে একাদশ স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন, যা ২০২৭ সালের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করবে। আমাদের লক্ষ্য শুধু তৃতীয় স্থান অর্জন করাই নয়, ১৪০ কোটি ভারতবাসী যাতে সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সমৃদ্ধি, সুখ, শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য প্রত্যেক পরিবারে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছতে হবে। সমবায়ের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে তিনি জানান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, দেশে ৮ লক্ষেরও বেশি সমবায় রয়েছে। যার সঙ্গে জড়িত ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ। আমূল, ইফকো, কৃভকো এবং নাফেড প্রভৃতি সমবায় সংস্থা মানুষকে সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত করেছে। তিনি বলেন, আজ ব্যাঙ্কিং, কৃষি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, চিকিৎসা সহায়তা, সার বন্টন সমস্ত ক্ষেত্রেই সমবায় রয়েছে।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, নাবার্ডের মাধ্যমে মোবাইল গ্রামীণ মার্টের সূচনা হয়েছে। এইসব মার্টগুলির লক্ষ্য নাবার্ডের মাধ্যমে ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের অধীন ৫ টি জেলায় সাশ্রয়ী মূল্যে শস্য দানা, চাল এবং আটা পৌঁছে দেওয়া। তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৫০টি প্রাথমিক সমবায় সোসাইটিকে মাইক্রো এটিএম প্রদান করা হয়েছে। আজ সমবায় পেট্রোল পাম্প এবং ঢলাই জেলায় একটি সমবায় স্টোরেরও উদ্বোধন করা হয়। তিনি বলেন, সমবায়কে জোরদার করতে আজ ৮ টি উদ্যোগ নেওয়া হল যার মধ্যে রয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের স্মার্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এনসিসিএফ-এর অধীন ৫০০ কৃষককে মিনি সীড কিট বিতরণ এবং জাতীয় সমবায় অর্গানিক লিমিটেড (এনসিওএল) এবং ত্রিপুরা রাজ্য অর্গানিক ফার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির মধ্যে সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর।
কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা প্রথাগতভাবে এমন একটি রাজ্য যার ৭০ শতাংশেরও বেশি জৈব পণ্য উৎপাদন করে, অথচ সেগুলির কোনও শংসাপত্র নেই। তিনি বলেন, ত্রিপুরার চাষীদের উচিত সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে এনওসিএলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, যাতে তাদের জমি ও উৎপাদিত পণ্যগুলি শংসাপত্র পেতে পারে। তিনি আরও বলে, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এনওসিএল চাষীদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের কম করে ৩০ শতাংশের বেশি দাম পেতে সাহায্য করবে। জৈব চাষ কেবলমাত্র আমাদের জমির উর্বরা শক্তিকেই বাড়ায় তা নয়, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। জৈব চাষে কৃষকের আর্থিক সমৃদ্ধি হয়, সেই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ জলসীমাও বৃদ্ধি পায়।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্তরে ৩ টি বহু উদ্দেশ্যসাধক সমবায় সোসাইটি স্থাপন করেছে। যার উদ্দেশ্য হল উন্নতমানের শস্য বীজ প্রদান। সেই সঙ্গে জৈব পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং কৃষকদেরকে আন্তর্জাতিক বাজারের যুক্ত করা। তিনি বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরায় ৩,১৩৮ টি বিভিন্ন ধরণের সমবায় রয়েছে। যেমন দুগ্ধ, মৎস্য, ক্রেতা সমবায়, পশুখাদ্য এবং পোলট্রি সমবায়। অতীতের সরকারগুলি সমবায় গড়ে তুলেছিল কেবলমাত্র দলকর্মীদের চাকরির সংস্থান করতে। ফলে সমবায়গুলি আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়। শ্রী শাহ বলেন, তাঁর দল ২০১৮ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সমবায়গুলি মুনাফার মুখ দেখতে শুরু করে। বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রয়াসের ফলে তাদের মুনাফা ক্রমবর্ধমান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার কৃষকরা নিজেদের এবং পরিবারের আর্থিক সমৃদ্ধির স্বার্থে সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য ভাণ্ডার প্রকল্পের সূচনা করেছেন, যার আধীনে ত্রিপুরায় সমবায় ভিত্তিতে ২০০০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গুদামঘর গড়ে তোলা হবে। তিনি নিশ্চয়তার সঙ্গে বলেন, রাজ্যে সমস্ত তহসিলেই গুদামঘরের সংস্থান থাকবে। সমবায় মন্ত্রক যে ৫৭ টি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তার মধ্যে ৪১ টি ক্ষেত্রেই ত্রিপুরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটিয়েছে, রাজ্যের সাফল্যের ক্ষেত্রে যা এক নজির।
PG/ AB/SG
(Release ID: 2087510)