মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি
azadi ka amrit mahotsav

দেশ জুড়ে নতুন ৮৫টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং কর্ণাটকের শিবমোগ্গাতে বর্তমান একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সব শ্রেণীতে দুটি অতিরিক্ত বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

Posted On: 06 DEC 2024 8:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটি দেশ জুড়ে নতুন ৮৫টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালু এবং কর্ণাটকের শিবমোগ্গা জেলায় বর্তমান একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সব শ্রেণীতে দুটি অতিরিক্ত বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮৫টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং বর্তমান একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণে প্রস্তাবিত খরচ ৫৮৭২.০৮ কোটি টাকা (আনুমানিক)। ২০২৫-২৬ থেকে আগামী ৮ বছরের সময়কালের জন্য এই খরচের হিসেব ধরা হয়েছে। মূলধনী খাতে খরচ হবে ২৮৬২.৭১ কোটি টাকা (আনুমানিক) এবং পরিচালন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০৯.৩৭ কোটি টাকা (আনুমানিক)।

এ পর্যন্ত ১২৫৬টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালু রয়েছে। ৩টি রয়েছে বিদেশে, যথাক্রমে মস্কো, কাঠমাণ্ডু এবং তেহরান-এ। এইসব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৩.৫৬ লক্ষ (আনুমানিক)। একটি পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৬০ জন ছাত্রছাত্রীর পড়ার সংস্থান রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ৮৫ এবং ১টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সম্প্রসারণ হলে অতিরিক্ত ৮২,৫৬০ জন ছাত্রছাত্রীর ভর্তির সুযোগ তৈরি হবে। একটি পুর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ৬৩ জনের কর্মসংস্থান যোগায়। ফলে ৮৫টি নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় হলে এবং একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণে আরও ৩৩টি নতুন পদ যুক্ত হলে মোট ৫,৩৮৮ জনের প্রত্যক্ষ স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও ওইসব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির নির্মাণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হলে অতিরিক্ত যে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে তাতে অনেক দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক উপকৃত হবেন।

কেন্দ্রীয় সরকারি/প্রতিরক্ষা কর্মীদের সন্তানদের অভিন্ন গুণমানসম্পন্ন শিক্ষাদানের সুযোগ গড়ে তুলতে ১৯৬২ সালের নভেম্বর মাসে ভারত সরকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদন করে। এর পাশাপাশি ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন একটি ইউনিট হিসেবে কাজ শুরু করে। প্রতিরক্ষা, আধাসামরিক বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের চাকরির ক্ষেত্রে বদলি হতে হওয়ায় তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ যাতে কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালু হয়। দেশের নান অনুন্নত এলাকা এবং প্রান্তিক অঞ্চলেও বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-কে অনুসরণ করে সমস্ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিকে পিএম শ্রী বিদ্যালয় হিসেবে পরিগণিত হয়, যাতে করে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র বিদ্যালয়গুলিতে ফলদায়ক প্রভাব প্রতিফলিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভর্তির চাহিদা অপরিসীম। তার কারণ পড়াশোনার উন্নত গুণমান, উদ্ভাবনী বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর সুযোগ সেখানে রয়েছে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদনের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিবিএসই বোর্ড দ্বারা পরিচালিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত গুণমান সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় ধারাবাহিকভাবে উন্নতমানের। নতুন যে ৮৫টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে সবথেকে বেশি উপকৃত হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর। সেখানে ১৩টি নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালু হবে। এরপরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্থান, সেখানে ১১টি,রাজস্থানে ৯টি, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৮টি করে,উত্তরপ্রদেশে ৫টি,ছত্তিশগড়,হিমাচলপ্রদেশ,
ছত্তিশগড়ে চারটি করে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে তিনটি,কর্ণাটক,তামিলনাড়ু ত্রিপুরা এবং ঝাড়খন্ডে দুটি করে এছাড়া জাতীয় রাজধানী শহর দিল্লী,কেরালা,অসম এবং অরুণাচলপ্রদেশে একটি করে নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খোলা হবে।  

 

PG/AB/NS


(Release ID: 2081802) Visitor Counter : 61