প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

ঝাড়খন্ডের টাটানগরে ৬৬০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের শিলান্যাসের পাশাপাশি ৬টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রা সঙ্কেত দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 15 SEP 2024 12:33PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' মন্ত্রটি এখন আমাদের চিন্তা-ভাবনার জগতে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রকে অবলম্বন করে আমরা এখন অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিও চিহ্নিত করতে পেরেছি। জাতির বর্তমান অগ্রাধিকারগুলি হল দরিদ্র, আদিবাসী, দলিত, বঞ্চিত, নারী, যুব এবং কৃষক সাধারণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। 

আজ ঝাড়খন্ডের টাটানগরে ৬৬০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন রেল প্রকল্পের শিলান্যাসকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকটি প্রকল্প তিনি উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশেও। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - গ্রামীণ-এর ৩২,০০০ সুফলভোগীর হাতে তিনি সরকারি মঞ্জুরিপত্রও তুলে দেন। এর আগে, এদিন টাটানগর জংশন রেলস্টেশনে এক ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মঞ্চে ৬টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সঙ্কেত দেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য এবং প্রতিটি শহরের চাহিদা হল অন্তত একটি করে বন্দে ভারত ট্রেনের। পূর্ব ভারতে রেল সংযোগের প্রসার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে তুলবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে যুক্ত বিভিন্ন মানুষ সহ অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত কর্মী ও ছাত্রসমাজ। তিনি মনে করেন যে, ৬টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে সাংস্কৃতিক কর্মপ্রচেষ্টাও বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। যেমন, এই ট্রেনগুলি ব্যবহার করে বারাণসী তীর্থ যেমন জনসাধারণ ভ্রমণ করতে পারবেন, ঠিক তেমনি ভাবেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ ধামে। এই উদ্দেশ্যেই বারাণসী ও দেওঘরের মধ্যে চালু হয়েছে একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পর্যটনের প্রসার যেমন ত্বরান্বিত হবে, অন্যদিকে তেমনি টাটানগরে শিল্পোন্নয়ন প্রচেষ্টাও উৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি যুবসমাজের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত উন্নয়নের একটি পূর্ব শর্তই হল আধুনিক রেল পরিকাঠামো গড়ে তোলা। প্রসঙ্গত অন্যান্য আরও উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও এদিন তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেওঘরে মধুপুর বাইপাস লাইন তৈরির জন্য যে শিলান্যাস পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা হাওড়া-দিল্লি মেনলাইনে ট্রেন চলাচলকে আরও দ্রুত ও মসৃণ করে তুলবে। সেই সঙ্গে গিরিডি এবং জশিডির মধ্যে যাতায়াতের সময়ও অনেকটা হ্রাস পাবে। হাজারিবাগ জেলায় হাজারিবাগ টাউন কোচিং ডিপো সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোচিং স্টকের ব্যবস্থাপনার কাজ আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে। আবার কুরকুরা-কানারোয়াঁ লাইনটি ডাবল করে তোলার মাধ্যমে ঝাড়খন্ডে রেল সংযোগ যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সংযোগসাধনের কাজও অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। 

ঝাড়খন্ড রাজ্যটির সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা খাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগের পরিমাণ যে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে একথাও আজ প্রসঙ্গত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবছরের বাজেটে ঝাড়খন্ডে রেল পরিকাঠামোকে আরও জোরদার করে তুলতে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই অর্থে আজ থেকে ১০ বছর আগে এই খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার তুলনায় বর্তমান বছরের বাজেট বরাদ্দ ১৬ গুণ বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, ঝাড়খন্ডের রেলপথগুলির বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ। এই রাজ্যের ৫০টিরও বেশি রেলস্টেশনকে 'অমৃত ভারত' রেলস্টেশন রূপে উন্নীত করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর এদিনের ভাষণে ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের দরিদ্র, দলিত, একদা বঞ্চিত এবং আদিবাসী পরিবারগুলির ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতির একটি লেখচিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি কল্যাণমূলক কর্মসূচির কাথাও এদিন স্পর্শ করে যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। 

ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার এবং কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বানও  উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আজকের কর্মসূচিতে। 

 

PG/SKD/AS



(Release ID: 2055313) Visitor Counter : 41