রেলমন্ত্রক
শ্রী সতীশ কুমার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন
प्रविष्टि तिथि:
01 SEP 2024 5:42PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শ্রী সতীশ কুমার আজ রেলওয়ে বোর্ড (রেলমন্ত্রক)-এর চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি আগেই শ্রী সতীশ কুমারের এই নিয়োগ অনুমোদন করেছিল।
শ্রী সতীশ কুমার ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সার্ভিস অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স (আইআরএসএমই)-এর ১৯৮৬ ব্যাচের বিশিষ্ট আধিকারিক। তিনি তাঁর ৩৪ বছরের উজ্জ্বল কর্মজীবন জুড়ে ভারতীয় রেলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ২০২২-এর ৮ নভেম্বর তিনি প্রয়াগরাজে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তাঁর জনপরিষেবা যাত্রায় একটি নতুন মাইলফলকে পৌঁছন। কর্মজীবনের সাফল্যের সঙ্গেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও অতুলনীয়। তিনি জয়পুরের এমএনআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বি-টেক। এর পরে তিনি ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইগনু থেকে অপারেশন ম্যানেজমেন্ট এবং সাইবার ল-তে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা লাভ করেন।
ভারতীয় রেলে শ্রী সতীশ কুমারের কর্মজীবন শুরু ১৯৮৮-এর মার্চে। তার পর থেকেই বিভিন্ন ডিভিশনে এবং জোনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কর্মরত ছিলেন। রেলওয়ে ব্যবস্থায় উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং সুরক্ষার উন্নতিতে নানা অবদান রেখেছেন। কর্মজীবনের প্রথম পর্যায়ে তদানীন্তন মধ্য রেলের ঝাঁসি ডিভিশন এবং বারাণসীর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ কাজ করেন। সেখানেই তিনি লোকোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তার তত্ত্বাবধানে দক্ষতা অর্জন করেন। এর পরে তিনি গোরক্ষপুরে উত্তর-পূর্ব রেল এবং পাতিয়ালা লোকোমোটিভ ওয়ার্কসেও কাজ করেন।
শ্রী কুমারের কর্মজীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হল, টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম)-এ তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। ১৯৯৬ সালে তিনি ইউএনডিপি-তে টিকিউএম-এ বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। এই সময়েই তিনি এই বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন, যার ফলে বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁর টিকিউএম নীতির প্রতিফলন পাওয়া যায়। ফলে রেল চলাচলে সুরক্ষা এবং বিশ্বাসযোগ্যতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
শ্রী সতীশ কুমারের উল্লেখযোগ্য অবদান হল, ফগ সেফ ডিভাইস নিয়ে তাঁর কাজ। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে নিরাপদে ট্রেন চলাচলে তাঁর এই উদ্ভাবনের কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে। এটি ভারতীয় রেলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র হয়ে উঠেছে। শীতকালে যখন দৃশ্যমানতা কম থাকে, তখন ট্রেন চালানোর ঝুঁকি কমে এই যন্ত্র ব্যবহারের ফলে। বিশেষ করে ভারতের উত্তরাঞ্চলে। এই প্রযুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা এবং অভিনন্দন পেয়েছেন।
২০১৭-র এপ্রিল থেকে ২০১৯-এর এপ্রিল পর্যন্ত শ্রী কুমার ছিলেন উত্তর রেলের লক্ষ্ণৌ ডিভিশনের ডিআরএম। এই সময়েই ওই অঞ্চলে রেলের পরিকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। এরমধ্যে অন্যতম ২০১৯-এ কুম্ভ মেলার সময় তাঁর ব্যবস্থাপনা। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীদের সুবন্দোবস্তের জন্য তাঁর নিখুঁত পরিকল্পনা এবং সমন্বয় অত্যন্ত কার্যকরী হয়।
উত্তর-মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজার হওয়ার আগে শ্রী কুমার জয়পুরের উত্তর-পশ্চিম রেলের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা এবং অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রী সতীশ কুমারকে সম্প্রতি মেম্বার ট্র্যাকশন অ্যান্ড রোলিং স্টক পদে নিযুক্ত করা হয়। এর পরেই তাঁকে উন্নীত করা হয় ভারতীয় রেলের সর্বোচ্চ পদ রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে, যেখানে তিনি বর্তমানে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কে ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন।
PG/AP/NS
(रिलीज़ आईडी: 2050811)
आगंतुक पटल : 158