প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

বিহারের রাজগীরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


“নালন্দা ভারতের জ্ঞানকেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের প্রতীক”

“আমি বিশ্বাস করি যে নালন্দা সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে”

Posted On: 19 JUN 2024 12:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ জুন, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের রাজগীরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চত্ত্বরের উদ্বোধন করলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারত এবং পূর্ব এশিয়া শিখর সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়ে উঠেছে। ১৭টি দেশের দূতাবাস প্রধান এবং নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী একটি চারাগাছ রোপণও করেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই নালন্দায় আসতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। ভারতের বিকাশ যাত্রায় এ এক বড় সুলক্ষণ। নালন্দা শুধুমাত্র একটি নাম নয়, তা হল একটি মন্ত্র। নতুন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের স্বর্ণ যুগের সূচনা করবে।

প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি নতুন করে গড়ে ওঠা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক মূল্যবোধ এবং নতুন বিশ্ব গঠনের বার্তা দেয়।  

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নালন্দা সারা বিশ্ব, এশিয়া এবং বহু দেশের ঐতিহ্যের প্রতীক। সেজন্যই এই উদ্বোধনী সমারোহে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। নালন্দার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে বিহারের মানুষের সদিচ্ছা ও উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রাচীনকালে ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল নালন্দা- এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নালন্দা কথাটির অর্থ হল জ্ঞান ও শিক্ষার ধারাবাহিক প্রবাহ- যা শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের ভাবধারাকেই তুলে ধরে। শিক্ষার দর্শন কোনো সীমা মানে না। তার ভিত্তি মানবিক মূল্যবোধ ও চেতনায়। প্রাচীনকালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দিতেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। নতুন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই ধারা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। ২০টিরও বেশি দেশের পড়ুয়ারা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন- যা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ মন্ত্রকে তুলে ধরে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ভাবাধারা শিক্ষাকে মানবিক মূল্যবোধের দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সারা বিশ্বের আঙিনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ভারতের আর্য়ুবেদ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। মিশন লাইফ এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। পরিবেশ সংরক্ষণে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যে ভূমিকা নিয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।

২০৪৭ নাগাদ ভারত উন্নত দেশ হয়ে উঠতে চায় এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। আগামীদিনে ভারত আবারও সারা বিশ্বের অন্যতম জ্ঞানকেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে তিনি অটল টিঙ্কারিং ল্যাব কিংবা চন্দ্রযান ও গগনযান প্রকল্পের উল্লেখ করেন। তুলে ধরেন ভারতের প্রাণবন্ত স্টার্টআপ পরিমন্ডলের কথা।

বিশ্ব তালিকায় ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রমাগত নিজেদের অবস্থান আরও উন্নত করছে বলে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদেশে যুব সমাজ সারা বিশ্বে সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছে বলে তাঁর মন্তব্য।

অমৃতকালের আগামী ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আবারও জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নালন্দার আদর্শ অনুসরণ করে এগোনোর কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকর, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অধ্যাপক অরবিন্দ পানাগরিয়া প্রমুখ।

    

PG/AC/NS


(Release ID: 2026725) Visitor Counter : 129