প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

নতুন দিল্লির কারিয়াপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে এনসিসি ক্যাডেটদের র্যা লিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 27 JAN 2024 7:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ 


মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রাজনাথ সিংজি, শ্রী অজয় ভাটজি, সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহানজি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, এনসিসি-র মহানির্দেশক, উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা এবং এনসিসি-র আমার যুব বন্ধুরা!

এনসিসি-র প্রাক্তন ক্যাডেট হিসেবে যখনই আমি আপনাদের কাছে আসি, তখন অনেক স্মৃতিই ভিড় করে। যখন আমি আপনাদের প্রথম দেখি, তখনই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনা সঞ্চারিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনারা এসেছেন। বহু বছর ধরে এনসিসি র্যা লির সম্ভাবনা ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। আজ আমাদের মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ৪০০টি গ্রামের প্রধানরা উপস্থিত। এই গ্রামগুলিকে আমরা প্রাণবন্ত গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এছাড়াও, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ১০০রও বেশি বোন এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আপনাদের সকলকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। 

বন্ধুগণ,

এনসিসি র্র‍্যালি ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – এর ভাবনাটিকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে। ২০১৪ সালে ১০টি দেশ থেকে এই র্যানলিতে ক্যাডেটরা অংশ নিয়েছিলেন। এবছর ২৪টি দেশের ক্যাডেটরা যোগ দিয়েছেন। আমি বিদেশ থেকে আসা ক্যাডেটদের স্বাগত জানাই। 

আমার প্রিয় যুব বন্ধুরা,

এ বছর দেশ ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। নারী শক্তিকে উৎসর্গ করে গতকাল কর্তব্য পথে আপনারা এ বছরের অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছেন। আজ কন্যাকুমারী থেকে, গুয়াহাটি থেকে ঝাঁসি থেকে নারী শক্তি বন্দন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেকে এসে পৌঁছেছেন। ছ’দিনে ৪৭০ কিলোমিটার দৌড়ানো সহজ কথা নয়। আপনাদের সকলকে অভিনন্দন!

আমার প্রিয় যুব বন্ধুরা,

একটা সময় ছিল, যখন মহিলাদের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। আজ সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে ভূমি, সাগর, আকাশ এবং মহাকাশ সর্বক্ষেত্রেই ভারতীয় নারীরা তাঁদের উৎকর্ষ প্রমাণ করছে। ভারতীয় ঐতিহ্যে নারী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দেশ রানী লক্ষ্মীবাঈ, রানী চেন্নাম্মা এবং ভেলু নাচিয়েরের মতো সাহসী মহিলাদের জন্ম দিয়েছে। বহু মহিলা বিপ্লবী স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। গত ১০ বছর ধরে আমাদের সরকার নারী শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। আমরা সেনাবাহিনীর ৩টি শাখায় মহিলাদের যোগদান নিশ্চিত করেছি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলারা অংশগ্রহণ করছেন। গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, বীমা সহ অন্যান্য পরিষেবায় মহিলারা বিপুল সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছেন। আজ স্টার্টআপ সংস্থাগুলি অথবা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতেও আমাদের মেয়েরা যুক্ত হচ্ছেন। 

যুব বন্ধুরা,

দেশ ছেলে ও মেয়ে সকলের প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য সমান সুযোগ দিচ্ছে। বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে এটিই বড় শক্তি। আজ ভারত বিশ্ব মিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমি প্রায়শই বলি, আগামী ২৫ বছর অর্থাৎ, অমৃতকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে যে কাজ করা হবে, তার সুফল মোদী পাবেন না, পাবেন আপনাদের মতো দেশের যুবক-যুবতীরা। নতুন এক শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে, নতুন শতকের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা আপনারা করতে পারবেন। পিএম শ্রী প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার স্কুলকে আধুনিক করে তোলা হচ্ছে। দেশে মেডিকেল কলেজ, আইআইটি এবং এইমস্‌ - এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা প্রায়শই আমাকে বলতে শোনেন যে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের বিষয়ে। এই দুই প্রকল্প দেশের যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। এক দশক আগে আমরা যখন টু-জি এবং থ্রি-জি’র মধ্যক্সে সীমাবদ্ধ ছিলাম, আজ আমরা প্রতিটি গ্রামে ফাইভ-জি প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছি। প্রতিটি গ্রামে অপ্টিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে।

বন্ধুগণ,

একটা সময় ছিল, যখন আমাদের মোবাইল ফোন বিদেশ থেকে আমদানী করতে হ’ত, যা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদক রাষ্ট্র হিসেবে এবং রপ্তানীকারক হিসেবে ভারত উঠে এসেছে। এর ফলে, মোবাইল সস্তা হয়ে গেছে। সবচেয়ে সস্তায় ডেটা এখন ভারতেই পাওয়া যায়। ই-কমার্স, অনলাইন শপিং, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রসার ঘটছে। গত ১০ বছরে যে ডিজিটাল বিপ্লব হয়েছে, দেশের যুবসম্প্রদায় তার থেকে উপকৃত হয়েছে। দেশ জুড়ে বিভিন্ন গ্রামে ৫ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার গড়ে উঠেছে। ডিজিটাল ভারত – এর মাধ্যমে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি, কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে।

আমার যুব বন্ধুরা,

সরকার নীতি প্রণয়ন করে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। একটা সময় ছিল, যখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে অবহেলা করা হ’ত। আজ সীমান্ত অঞ্চলের ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচির মাধ্যমে ঐ গ্রামগুলিতে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। বিকশিত ভারত আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। তাই, এই প্রক্রিয়ায় আপনাদের সামিল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সরকার আপনাদের জন্য ‘মেরা যুবা ভারত’ অর্থাৎ ‘মাই ভারত’ – এর সূচনা করেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এটিই সবচেয়ে বড় যুব প্রতিষ্ঠান। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ১ কোটি যুবক-যুবতী এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। আপনাদের সকলকে এখানে নাম নথিভুক্ত করতে আহ্বান জানাই। MyGov – এ ক্লিক করে আপনারা বিকশিত ভারত প্রসঙ্গে পরামর্শ দিতে পারেন। আপনাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আরও একবার আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সবাই মিলে একসঙ্গে বলে উঠুন –

ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন)

PG/CB/SB



(Release ID: 2015449) Visitor Counter : 32