প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ২০২৩ – এর খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 19 JAN 2024 8:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ চেন্নাইয়ে ২০২৩ সালের খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন। তিনি বেতার সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ২৫০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন। প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

ত্রয়োদশ খেলো ইন্ডিয়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সকলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে যুব ভারতের প্রতিনিধি। ‘আপনারা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত – এর প্রকৃত বার্তাটি তুলে ধরছেন’। তিনি বলেন, তামিলনাডুর অতিথি বৎসল জনগণ, সুন্দর তামিল ভাষার সংস্কৃতি ও খাদ্য সম্ভারের কারণে নানা জায়গা থেকে আসা খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়ির মতোই অনুভূতি হবে। 

দূরদর্শন ও আকাশবাণীর যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস হ’ল, সেগুলি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চেন্নাই কেন্দ্রের সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। আজ এই কেন্দ্র নতুনভাবে এগিয়ে চলবে। এছাড়াও, দেশের ৮টি রাজ্যে আকাশবাণীর ১২টি প্রকল্প দেড় কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাবে। 

দেশের খেলাধূলায় তামিলনাডুর অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেনিস চ্যাম্পিয়ন অমৃতরাজ ভ্রাতৃদ্বয়, ভারতীয় হকি দলের ক্যাপ্টেন ভাস্করণ, দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ, প্রজ্ঞানন্দ, প্যারালিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মারিয়াপ্পান এই রাজ্য থেকেই উঠে এসেছেন। তামিলনাডু থেকে প্রতিটি খেলোয়াড় অনুপ্রেরণা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন। খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরের খেলোয়াড়দের বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলো ইন্ডিয়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, খেলো ইন্ডিয়া শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমস্‌ - এর মাধ্যমে খেলোয়াড়রা তাঁদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। 

৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৫ হাজারেরও বেশি ক্রীড়াবিদ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে প্রধানমন্ত্রী  জানিয়েছেন। তিনি সন্ত থিরুভাল্লুভরের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, মহান এই সন্ন্যাসী প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কিভাবে শক্তিশালী থাকতে হয়, সেই সম্পর্কে জানিয়েছেন। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ম্যাস্কট হিসেবে বীরামাঙ্গাই ভেলু নাচিয়েরকে বাছার জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

২০১৪ সালের পর থেকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তিনি তুলে ধরেন। গত ১০ বছরে সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহায়তা করার কারণে খেলাধূলায় উৎসাহ-উদ্দীপনা নজরে আসছে। তিনি বলেন, খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে হাজার হাজার খেলোয়াড় মাসিক ৫০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। ২০১৪ সাল থেকে টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম বা টপস্‌ - এর সূচনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা খেলাধূলায় অংশগ্রহণের জন্য যুবসম্প্রদায়ের অপেক্ষায় থাকি না। আমরা তাঁদের এই প্রক্রিয়ায় সামিল করি। দেশের গ্রামাঞ্চল, দরিদ্র পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি থেকে খেলো ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বহু যুবক-যুবতী অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলির পরিবেশের সঙ্গে একাত্ম করার জন্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। ২০২৯ সালে যুব অলিম্পিক এবং ২০৩৬ সালে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যাতে ভারত আয়োজন করতে পারে, তার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। এছাড়াও, খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে ৩০০টি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমী, ১ হাজার খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র এবং ৩০টি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। 

ভারতের ক্রীড়া শিল্পের ক্রমবর্ধমান প্রসারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শিল্প ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে। বেতার সম্প্রচারে খেলাধূলার অংশ বাড়ানো, খেলাধূলার সরঞ্জাম এবং এর সঙ্গে যুক্ত পর্যটন ও পোশাক-পরিচ্ছদের কথা তিনি উল্লেখ করেন। খেলো ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে, তা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে। ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করছে। এদেশের যুবসম্প্রদায়ের আস্থা, অধ্যবসায় এবং ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে অর্জিত লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। “আপনারা এগিয়ে চলেছেন কারণ ভারত আপনাদের সঙ্গে এগিয়ে চলবে। একযোগে আপনারা জয়লাভ করবেন এবং দেশকে বিজয়ী করবেন। আমি খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ – এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করছি”।

অনুষ্ঠানে তামিলনাডুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিন, তথ্য ও সম্প্রচার, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগান, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিশিথ প্রামাণিক সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। 

PG/CB/SB



(Release ID: 2015446) Visitor Counter : 41