নির্বাচনকমিশন
azadi ka amrit mahotsav

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার প্রায় ২১০০ পর্যবেক্ষককে সমান ব্যবস্থা, বাহিনী, কর্মী এবং যন্ত্রের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জোরজুলুম মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন

Posted On: 11 MAR 2024 4:39PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১১ মার্চ, ২০২৪

 

আসন্ন লোকসভা সাধারণ নির্বাচন এবং কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন আজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের বিশেষ কিছু নির্দেশ দিলো।

আইএএস, আইপিএস-এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস এবং অন্য কয়েকটি কেন্দ্রীয় দপ্তরের ২১৫০ জনের বেশি প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হাইব্রিড ব্যবস্থায়একটি বৈঠকের আয়োজন করে। কয়েকজন আধিকারিক নিজ নিজ রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রায় ৯০০ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ৪৫০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং ৮০০ জন ব্যয় পর্যবেক্ষক বহাল করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার মুক্ত, স্বচ্ছ এবং জোরজুলুম মুক্ত নির্বাচনের জন্য সমান ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জোর দিয়েছেন যে কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে পর্যবেক্ষকদের কাছে আশা করা হচ্ছে, তাঁরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাঁদের ভূমিকা পালন করবেন এবং প্রার্থীরা সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। পর্যবেক্ষকদের কাজের সময়ে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নম্র হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁদের ভোটদান কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখে স্থানীয় ভূগোলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেইসঙ্গে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলেছেন।

শ্রী কুমার জানিয়েছেন, ইসিআইএ-র ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিক সকল সার্কুলার, ম্যানুয়াল হ্যান্ডবুক পাওয়া যাবে। এই হ্যান্ডবুক ও ম্যানুয়ালগুলি তৈরি করা হয়েছে, কার কি কাজ তার ভিত্তিতে এবং কি করা যাবে ও কি কর যাবে না তার একটি তালিকা দেওয় হয়েছে। 

বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের কমিশনের একাধিক নতুন উদ্যোগ এবং নির্দেশ সম্পর্কে জানানো হয়। বৈঠকে যে বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল :

১) গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন পর্যবেক্ষকদের নিজ নিজ সংসদীয় ক্ষেত্রের চৌহদ্দিতে থাকতে হবে। নিজেদের গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
২) পর্যবেক্ষকদের নিজেদের মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ই-মেল এবং তাঁর বাসস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে সিইও/জেলা ওয়েবসাইটে প্রচার করতে বলা হয়েছে ইলেকট্রনিক এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে। এছাড়া পর্যবেক্ষকরা তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রে পৌঁছনোর পরে ওই তথ্য ডিইও এবং আরও-দের তা জানাতে হবে প্রার্থী এবং স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে।
৩) পর্যবেক্ষকদের যাতে সবসময়ে ফোন অথবা মেলে পাওয়া যায় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রার্থী/রাজনৈতিক দল/সাধারণ মানুষ/নির্বাচন কর্মী ইত্যাদির ফোন কলে সর্বসময়ে সাড়া দিতে বলা হয়েছে পর্যবেক্ষকদের। এই সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এলে কমিশন কড়া ব্যবস্থা নেবে।
৪) ডিইও-দের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ এবং নিরাপত্তা আধিকারিক হিসেবে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বহাল করতে হবে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং সৎ ও নিষ্ঠাভরে কর্তব্য করার ব্যাপারে তাঁদের উপযুক্তভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
৫) পর্যবেক্ষকদের সৎভাবে তাঁদের কর্তব্য পালন করতে বলা হয়েছে। বাহিনী বহাল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলিরি দ্বারা সুবিধা পোর্টালের ব্যবহার সব প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দগুলির জন্য সমান ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।
৬) পর্যবেক্ষকদের বলা হয়েছে, যত বেশি সম্ভব ভোট কেন্দ্রের এলাকা এবং সংবেদনশীল এলাকা ঘুরে দেখতে ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। 
৭) ডিইও/আরও-দের ডাকা প্রার্থী/রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকে পুঙ্খানুপুঙ্খ নজর রাখতে বলা হয়েছে পর্যবেক্ষকদের। তাঁদের অভিযোগ ঠিক মতো শোনা হচ্ছে কি না এবং সেই মতো কাজ করা হচ্ছে কি না তা দেখতে বলা হয়েছে। 
৮) নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ চলাকালীন যথা সম্ভব বেশি ভোট কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে পর্যবেক্ষকদের এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভেতরের অবস্থা যাচাই করতে বলা হয়েছে নিয়মিত। যাতে মুক্ত এবং অবাধ নির্বাচন সম্ভব হয়।
৯) পর্যবেক্ষকদের দেখতে বলা হয়েছে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী/রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় এবং নিরপেক্ষতা যাতে বজায় থাকে। কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী যেন বিশেষ কোনো সুযোগ না পায়।

PG/AP/SKD


(Release ID: 2013590) Visitor Counter : 149