প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ

Posted On: 07 FEB 2024 4:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজ্যসভায় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে জবাব দিয়েছেন।

সংসদে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যাত্রাপথে ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবস একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক এবং রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে ভারতের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং ভারতের নাগরিকদের সক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণের জন্য যেখানে তিনি বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণ করতে দেশকে পথপ্রদর্শন করেছেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাব’-এর ওপর ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য সংসদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপতিজির ভাষণে জোর দেওয়া হয়েছে ভারতের বেড়ে চলা আত্মবিশ্বাস, প্রতিশ্রুতিময় ভবিষ্যৎ এবং এর মানুষের প্রভূত সম্ভাবনা”র ওপর। 

সভার পরিবেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা আমার কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না, কারণ দেশের মানুষ এই কন্ঠে শক্তি জুগিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী সরকারি অর্থের নয়ছয়, ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ এবং ‘নীতি পঙ্গুত্ব’ সময়ের কথা মনে করান এবং বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে পূর্বেকার জটিলতা থেকে বের করে আনতে কাজ করেছে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সরকারের ১০ বছরের শাসনে গোটা বিশ্ব ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ এবং ‘নীতি পঙ্গুত্ব’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করতো। আমাদের ১০ বছর- শীর্ষ ৫ অর্থনীতির মধ্যে। সেটাই বিশ্ব আজ যা নিয়ে কথা বলে।”

প্রধানমন্ত্রী ঔপনিবেশিক মানসিকতার চিহ্নগুলি সরাতে সরকারের প্রয়াসের ওপর জোর দেন যা পূর্বেকার সরকারগুলির আমলে অবহেলা করা হয়েছিল। তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নতুন প্রতীক, কর্তব্যপথ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নতুন নামকরণ, ঔপনিবেশিক আইনগুলির বিলুপ্তি এবং ভারতীয় ভাষার প্রসার ও এই ধরনের অন্য সব পদক্ষেপগুলির তালিকা দেন। প্রধানমন্ত্রী দেশজ পণ্য, ঐতিহ্য এবং স্থানীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে অতীতের হীনম্মন্যতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন এই সবগুলিরই মোকাবিলা করা হচ্ছে।

নারীশক্তি, যুবশক্তি, দরিদ্র এবং অন্নদাতার মতো চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির ভাষণের মর্মার্থের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের এই চারটি প্রধান স্তম্ভের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি দেশকে উন্নত করে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারত যদি আমরা করতে চাই তাহলে বিংশ শতাব্দীর মনোভাব কাজ করবে না।

প্রধানমন্ত্রী তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর অধিকার এবং উন্নয়নের বিষয়টি ছুঁয়ে বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ জম্মু এবং কাশ্মীরে দেশের বাকি অংশের মতোই এই শ্রেণীর সমানাধিকার নিশ্চিত করেছে। একইরকমভাবে বনাঞ্চল অধিকার আইন, নির্যাতন বিরোধী আইন এবং রাজ্যে বাল্মীকি শ্রেণীর বসতি গড়ার অধিকারও রূপায়িত হয়েছে এই বিলুপ্তির পরেই। রাজ্যে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ওবিসি সংরক্ষণের জন্য বিল পাশের কথারও তিনি উল্লেখ করেন।

বাবাসাহেবকে সম্মান জানানোর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশে উপজাতি শ্রেণীর মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ার ঘটনার দিকেও অঙ্গুলি নির্দেশ করেন। দরিদ্রের কল্যাণে সরকারি নীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এসসি, এসটি, ওবিসি এবং জনজাতি শ্রেণীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন। তিনি এই শ্রেণীগুলির ক্ষমতায়ন করতে পাকা বাড়ি, স্বাস্থ্যের উন্নতিতে স্বচ্ছতা অভিযান, উজ্জ্বলা গ্যাস কর্মসূচি, বিনামূল্যে রেশন এবং আয়ুষ্মান যোজনার উল্লেখ করেন। তিনি এও বলেন, গত ১০ বছরে এসসি এবং এসটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, স্কুলছুটের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, একটি নতুন কেন্দ্রীয় জনজাতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ায় সংখ্যাটি এক থেকে বেড়ে হয়েছে দুই এবং একলব্য মডেল স্কুলের সংখ্যা ১২০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০। তিনি জানান, উচ্চ শিক্ষায় এসসি ছাত্রছাত্রীদের নথিভুক্তিকরণ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। এসটি ছাত্রছাত্রীদের নথিভুক্তিকরণ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ এবং ওবিসি নথিভুক্তিকরণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।

শ্রী মোদী বলেন, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” শুধুমাত্র একটি স্লোগান নয়, এটি মোদীর গ্যারান্টি। ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে হতাশার অভিব্যক্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে তিনি জন্মেছেন স্বাধীন ভারতে এবং তাঁর ভাবনা ও স্বপ্ন সবই স্বাধীন, যেখানে দেশে ঔপনিবেশিক মানসিকতার কোনো জায়গা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে বিশৃঙ্খলা থাকলেও এখন বিএসএনএল-এর মতো সংস্থাগুলি ৪জি এবং ৫জি নিয়ে আসতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। হ্যাল রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করছে এবং কর্ণাটকের এই হ্যাল এশিয়ার বৃহত্তম হেলিকপ্টার কারখানা। এলআইসি-ও রেকর্ড মূল্যের শেয়ারের দাম নিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সভাকে জানান যে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সংখ্যা ২০১৪-র ২৩৪ থেকে এখন বেড়ে হয়েছে ২৫৪ এবং এদের বেশিরভাগই রেকর্ড পরিমাণ রিটার্ন দিচ্ছে, মনোযোগ আকর্ষণ করছে বিনিয়োগকারীদের। তিনি আরও বলেন যে, দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সূচক গত এক বছরে দু-গুণ বেড়েছে। গত ১০ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নিট মুনাফা ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যেকার ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২.৫০ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নিট মূল্য ৯.৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি আঞ্চলিক প্রত্যাশাগুলি বোঝেন কারণ একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘দেশের উন্নয়নের জন্য রাজ্যের উন্নয়ন’-এর মন্ত্রটি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, রাজ্যগুলির উন্নয়নে কেন্দ্র সম্পূর্ণ সহায়তা দেবে। রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সহযোগিতাপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আহ্বান জানান। 

কোভিড অতিমারীর মতো অভূতপূর্ব সমস্যার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ২০টি বৈঠকের কথা বলেন, এবং এই সমস্যার মুখোমুখি মোকাবিলা করার জন্য সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কৃতিত্ব দেন। তিনি জি২০-র প্রকাশ এবং মহিমা সবকটি রাজ্যতে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লেখ করেন যেখানে দেশজুড়ে এই অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে বিদেশী প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজ্যগুলির ভূমিকা নিয়ে আরও বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশাপূর্ণ জেলা কর্মসূচির সাফল্যের জন্য রাজ্যগুলিকেই কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মসূচিটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে সব রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সমবেতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।”

দেশের কাজকর্মের সঙ্গে মানুষের শরীরের মিল দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি একটিও রাজ্য বঞ্চিত এবং অনুন্নত থাকে, তাহলে দেশকে উন্নত বলে বিবেচনা করা যায় না, যেমন একটি অকেজো প্রত্যঙ্গ গোটা শরীরেই প্রভাব ফেলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, দেশের নীতিগুলির লক্ষ্য সকলের জন্য মৌলিক সুবিধাগুলি নিশ্চিত করা এবং জীবনযাপনের মান উন্নত করা। আগামী দিনগুলিতে জীবনের মান বাড়াতে বসবাসের সুবিধা ছাড়িয়ে আরও কিছুর ওপর লক্ষ্য থাকবে। সম্প্রতি দারিদ্রমুক্ত নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে নতুন নতুন সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁর সংকল্পের ওপর জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা সামাজিক ন্যায়ের ‘মোদী কবচ’-কে আরও শক্তিশালী করবো।”

যাঁরা দারিদ্রমুক্ত হয়েছেন, তাদের সরকারি সহায়তার উল্লেখ করে শ্রী মোদী ঘোষণা করেন, বিনামূল্যে রেশন কর্মসূচি, আয়ুষ্মান কর্মসূচি, ওষুধে ৮০ শতাংশ ছাড়, কৃষকদের জন্য পিএম সম্মাননিধি, গরিবদের জন্য পাকা বাড়ি, নলবাহিত জলের সংযোগ এবং নতুন শৌচাগার নির্মাণের কাজ আরও দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, “বিকশিত ভারতের ভিত্তি শক্ত করতে মোদী ৩.০ চেষ্টার কসুর করবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, মেডিকেল পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার কাজ আগামী ৫ বছরে চলতে থাকবে এবং চিকিৎসা আরও সুলভ হবে, প্রত্যেকটি বাড়িতে নলবাহিত জল থাকবে। পিএম আবাস যোজনা পূর্ণ মাত্রায় রূপায়িত হবে, সৌরশক্তির জন্য কোটি কোটি বাড়িতে বিদ্যুতের বিল শূন্য হয়ে যাবে, সারা দেশে নলের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস পৌঁছবে, স্টার্টআপের সংখ্যা বাড়বে, পেটেন্টের জন্য আবেদন নতুন রেকর্ড ভেঙে দেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সভাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী ৫ বছরে প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতীয় যুবাদের সক্ষমতার সাক্ষী থাকবে বিশ্ব, গণ-পরিবহন ব্যবস্থা রূপান্তরিত হবে, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে, ভারতে তৈরি সেমি কন্ডাক্টর এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং দেশ শক্তির জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে কাজ করবে। তিনি গ্রীন হাইড্রোজেন এবং ইথানল মিশ্রণ নিয়ে প্রয়াসের উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী পুনর্বার আশ্বস্ত করে বলেন, ভারত ভোজ্যতেল উৎপাদনে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার বিশ্বাস রাখে।

আগামী ৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক কৃষিকাজ এবং সুপার ফুড হিসেবে মিলেটের প্রসারের কথা বলেন। কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার এক নতুন বৃদ্ধি দেখবে। একইরকমভাবে ন্যানো ইউরিয়া সমবায়ের ব্যবহার জন-আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে। তিনি মৎস্যচাষ এবং পশুপালনে নতুন রেকর্ডের কথাও বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী ৫ বছরে পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল কর্মসংস্থানের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, দেশে অনেক রাজ্যই আছে যারা শুধুমাত্র পর্যটনের ভিত্তিতেই তাদের অর্থনীতিকে চালনা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, “ভারত সারা বিশ্বের কাছে এক বিশাল পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।”

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ফিনটেকের মতো ক্ষেত্রে উন্নতির ওপর আলোকপাত করেন এবং বলেন যে আগামী ৫ বছর ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ নিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল পরিষেবা ভারতের অগ্রগতিকে আরও বৃদ্ধি করবে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে আমাদের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।”

তৃণমূল স্তরের অর্থনীতি রূপান্তর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “৩ কোটি লাখপতি দিদি মহিলাদের ক্ষমতায়নের নতুন ভাষ্য রচনা করবে।” বিকশিত ভারতের জন্য সরকারের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭-এর মধ্যে ভারত সুবর্ণযুগ হয়ে পুনরুত্থান ঘটাবে।”

ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ দেন। সভা এবং দেশের সামনে তথ্যগুলি পেশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিকেও ধন্যবাদ জানান তাঁর প্রেরণাদায়ক ভাষণের জন্য। 


  PG/AP/NS..


(Release ID: 2003968) Visitor Counter : 153