সংস্কৃতিমন্ত্রক

বর্ষ শেষের পর্যালোচনা ২০২৩ : সংস্কৃতি মন্ত্রক

Posted On: 22 DEC 2023 8:41PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর,২০২৩

 

২০২৩ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রক বড় মাপের যেসব উদ্যোগ নিয়েছে / সাফল্য অর্জন করেছে তা হল :

আজাদি কা অমৃত মহোৎসব

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মার্চ মাসে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব-এর সূচনা করেছিলেন। এই মহোৎসব এক জন-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং গোটা দেশকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছে। মহোৎসবের ওয়েবসাইটে বিস্মৃত নায়কদের আলোকবৃত্তে তুলে আনার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় ইতিহাস নথিভুক্ত করার নিরলস প্রয়াস চালানো হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ধরনের ১২ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ : দু’বছর ধরে চলা আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের চূড়ান্ত পর্বে ‘মেরি মাটি মেরা দেশ – মাটি কো নমন বীরোঁ কা বন্দন’ প্রচারাভিযান হল ভারতের মাটি ও শৌর্যের এক সামগ্রিক উদযাপন। এই অভিযানে সাধারণ মানুষ বিপুলভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের ৭৬৬টি জেলার ৭ হাজারেরও বেশি মহকুমায় এই অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে ২ লক্ষেরও বেশি শিলা ফলক স্থাপন করা হয়েছে। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ‘পঞ্চপ্রাণ’ শপথ নিয়েছেন, ২ লক্ষ অমৃত বাটিকা তৈরি করা হয়েছে এবং ২ কোটিরও বেশি চারাগাছ রোপন করা হয়েছে। ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৫৬ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ৪ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁদের সেলফি আপলোড করেছেন। দেশের সাত হাজারেরও বেশি মহকুমা থেকে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি কলস দিল্লিতে আনা হয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে মাটি সংগ্রহ করে কলসে ভরা হয়। এরপর তা একটি বৃহৎ কলসে স্থানান্তরিত করা হয়। এই অমৃত কলস ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ চেতনার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর দিল্লির কর্তব্য পথে অমৃত কলস যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর মধ্য দিয়েই আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অমৃত বটিকা ও অমৃত মহোৎসব স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হাজার হাজার অমৃত কলস যাত্রীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। এই অনুষ্ঠান থেকেই প্রধানমন্ত্রী দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য ‘মেরা যুব ভারত’ প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন।

জি-২০ কার্যক্রম

*চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি জি-২০ দেশগুলি এবং দিল্লির স্কুল ও কলেজের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, শিশু ও যুবক ‘বিশ্বশান্তির জন্য জি-২০-র পদযাত্রা’-য় অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে সংস্কৃতি মন্ত্রক মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে চলতি বছরের ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম জি-২০ সংস্কৃতি সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠকের আয়োজন করে। 

*চলতি বছরের ৫ মার্চ নতুন দিল্লির রাজঘাটের গান্ধী দর্শনে দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন বয়সের প্রায় এক হাজার মানুষ ‘মহিলা ক্ষমতায়নের জন্য জি-২০ দৌড়’-এ অংশগ্রহণ করেন। 

*ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে সংস্কৃতি মন্ত্রক চলতি বছরের ১৫-১৭ মে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে সংস্কৃতি সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৈঠকের আয়োজন করে। 

*জি-২০-র সংস্কৃতি সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর তৃতীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয় কর্ণাটকের হাম্পিতে চলতি বছরের ৯-১২ জুলাই। লম্বানির সূচিশিল্পের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ স্থান করে নিয়েছে। 

*ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বে চলতি বছরের ২৪ ও ২৫ আগস্ট বারাণসীতে সংস্কৃতি মন্ত্রক সংস্কৃতি সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর চতুর্থ বৈঠকের আয়োজন করে। 

(১) এই বৈঠকে একটি বিবৃতি এবং সভাপতির অনুমোদিত ‘কাশী সাংস্কৃতিক পথ’ শীর্ষক সারসংক্ষেপ সব সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিতে প্রকাশিত হয়।

(২) ২৬.০৮.২০২৩ তারিখে জি-২০ সংস্কৃতি মন্ত্রীদের বৈঠকে ‘জি-২০ সংস্কৃতি : অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের জন্য বিশ্বজনীন প্রয়াস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

(৩) চলতি বছরের ২৬ আগস্ট বারাণসীতে জি-২০ রাষ্ট্র ও আমন্ত্রিত দেশগুলির সংস্কৃতি মন্ত্রীরা ভারতের সফল জি-২০ সভাপতিত্বের চিহ্ন হিসেবে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। 

আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক

সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি (সিইপি)

সংস্কৃতি মন্ত্রক নিম্নলিখিত সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিগুলিতে স্বাক্ষর করেছে :

(১) ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ – পাঁচ বছরের জন্য মিশরের সরকারের সঙ্গে 

(২) ৪ মার্চ, ২০২৩ – ২০২৩-২৬-এর জন্য স্লোভাকিয়ার সরকারের সঙ্গে

(৩) ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ – ২০২৩-২৬-এর জন্য কলম্বিয়ার সরকারের সঙ্গে

(৪) ৬ জুলাই, ২০২৩ – ২০২৩-২৬-এর জন্য মরিশাস সরকারের সঙ্গে

(৫) ৯ অক্টোবর, ২০২৩ – ২০২৩-২৭ সালের জন্য কলম্বিয়া সরকারের সঙ্গে 

(৬) ২ নভেম্বর, ২০২৩ – ২০২৩-২৭ সালের জন্য ইতালীয় সরকারের সঙ্গে

(৭) ২ নভেম্বর, ২০২৩ – ২০২৩-২৫ সালের জন্য বেলারুস সরকারের সঙ্গে

বৌদ্ধ ও তিব্বতীয় ইনস্টিটিউট (বিটিআই) 

নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে চলতি বছরের ১৪ ও ১৫ মার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রক বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় সংহাই সহযোগিতা সংস্থার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে নিয়ে ‘বৌদ্ধ ঐতিহ্য’ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতীয় সভ্যতার সংযোগের ওপর জোর দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও সংলাপের অংশীদার হিসেবে এতে যোগ দিয়েছিল চিন, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, বেলারুস, বাহরিন, মায়ানমার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলি।

চলতি বছরের ২০ ও ২১ এপ্রিল নতুন দিল্লিতে সংস্কৃতি মন্ত্রক তার অনুদানকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘প্রথম বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলন’-এর আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দু’দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। 

ভারত উৎসব

চলতি বছরের ১৭ ও ১৮ মার্চ কুয়েতে ভারত উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে ৩৫ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

চলতি বছরের ৬-৯ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে ভারত উৎসব / নমস্তে ফ্রান্সের আয়োজন করা হয়। এতে ৯টি দল কথাকলি, ভারতনাট্যম, সত্রিয়, কুচিপুড়ি, কত্থক, হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, অসমের লোকনৃত্য, গুজরাটের লোকনৃত্য এবং ভজন / সুফি / গজল পরিবেশন করে। 

পুরাকীর্তি পুনরুদ্ধার

১৯৭৬ সাল থেকে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৩৫৭টি পুরাকীর্তি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৪টি পুরাকীর্তি উদ্ধার হয়েছে ২০১৪ সালের পরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা প্রভৃতি দেশ থেকে এগুলি নিয়ে আসা হয়েছে।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি

চলতি বছরে সৌদি আরবের রিয়াধে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৫তম সভায় ভারতের শান্তিনিকেতন এবং হয়সালা মন্দিরগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপ্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য এবং বিশ্ব মানবতার ভাবনার মিশ্রণ ঘটেছে। হয়সালার ত্রয়োদশ শতকের মন্দিরগুলি কর্ণাটকের হয়সালা বংশের রাজত্বের সময় গড়ে উঠেছিল। এগুলি হল – হয়সালেশ্বর মন্দির, হেলেবিডু; চন্নাকেশব মন্দির, বেলুড় এবং কেশব মন্দির সোমনাথপুর। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ভারতের মোট ৪২টি জায়গা স্থান পেল। এক্ষেত্রে বিশ্বের নিরিখে ভারত ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। 

চলতি বছরে ইউনেস্কো গোয়ালিয়র ও কোজিকোড় শহরকে সঙ্গীত ও সাহিত্যের জন্য ইউনেস্কোর সৃজনশীল শহর নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

‘গুজরাটের গরবা’ ইউনেস্কোর আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 

ভারতীয় শিল্প, স্থাপত্য ও ডিজাইন বাইনেল্লে, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লায় চলতি বছরের প্রথম ভারতীয় শিল্প, স্থাপত্য ও ডিজাইন বাইনেল্লে-র উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘আত্মনির্ভর ভারত সেন্টার ফর ডিজাইন’ এবং পড়ুয়াদের জন্য বাইনেল্লে-সম্মুনতিরও সূচনা করেন। এই উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ করা হয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা / উদ্যোগ

*হর ঘর তিরঙ্গা প্রচারাভিযান : চলতি বছরে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার সঙ্গে তাঁদের সেলফি আপলোড করেছেন।

*চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘বন্দে ভারতম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ৪৭৯ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। ‘শক্তি রূপেণ সংস্থিতা’ শীর্ষক সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি বর্ণময় ট্যাবলো সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

*চলতি বছরের ১১-১৯ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইতে রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট ধ্রূপদী শিল্পী, চিত্রতারকা, রূপান্তরকামী ও ভিন্নভাবে সক্ষম শিল্পীরা সহ ৩০০-রও বেশি লোক ও উপজাতীয় শিল্পী তাঁদের পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

*চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লিতে আর্য সমাজ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সংস্কৃতি মন্ত্রক মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের সূচনা করে। এক বছর ধরে এই উদযাপন চলবে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সবাইকে মহর্ষি দয়ানন্দের আদর্শ ও ভাবনা অনুসরণের আহ্বান জানান।

*চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘বারিসু কান্নাড়া ডিম ডিমাভা’ শীর্ষক দিল্লি-কর্ণাটক সঙ্ঘের অমৃত মহোৎসবের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে কর্ণাটকের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়।

*চলতি বছরের ২৩-২৫ জুন জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে তিনদিনের ‘বিতস্তা’ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উঠে আসে। 

*সংস্কৃত ভাষাকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রক, সাহিত্য আকাদেমি, তিরুপতির জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহীশূরের সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘সমস্কৃতা সামুনমেশা’ শীর্ষক তিনদিনের জাতীয় সংস্কৃত সম্মেলনের আয়োজন করে। এটি চলতি বছরের ১২-১৪ জুলাই তিরুপতির জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

*চলতি বছরের ২৭ জুলাই দিল্লির কুতব মিনারে সূচনা হয় ‘মেরা গাওঁ মেরি ধারোহর’ মঞ্চের। অনুষ্ঠানে এক হাজারটি গ্রামের প্রতিনিধিরা লোকনৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আয়োজন করা হয় কারুশিল্প প্রদর্শনী ও বাজারের।

*চলতি বছরের ৩-৫ আগস্ট ভারতের সর্ববৃহৎ লোক ও উপজাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘উৎকর্ষ’-এর আয়োজন করা হয় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু এর উদ্বোধন করেন।

*চলতি বছরের ৫ অক্টোবর রানি দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জব্বলপুরে ‘বীরাঙ্গনা রানি দুর্গাবতী স্মারক ও উদ্যান’-এর ‘ভূমি পূজন’ করেন।

*চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর সাধিকা মীরাবাঈ-এর ৫২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মথুরায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং ৫২৫ টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন। 

*আন্তর্জাতিক সংগ্রহালয় দিবস উপলক্ষে চলতি বছরের ১৮-২০ মে নতুন দিল্লির প্রগতি ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক সংগ্রহালয় এক্সপো, ২০২৩-এর সূচনা করেন। এটিকে বার্ষিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

*চলতি বছরের ৫ ও ৬ আগস্ট সংস্কৃতি মন্ত্রক গ্রন্থাগার উৎসবের আয়োজন করে। এর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি, সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপ-রাষ্ট্রপতি। গ্রন্থাগারগুলির উন্নয়ন, এগুলির ডিজিটাইজেশন এবং বই পড়ার অভ্যাস ছড়িয়ে দিতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।

*জি-২০ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লির রাজঘাটের গান্ধী দর্শনে মহাত্মা গান্ধীর ১২ ফুটের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। 

*প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন জুরি, চলতি বছরের ১৮ জুন সর্বসম্মতিক্রমে গীতা প্রেস গোরক্ষপুরকে ২০২১ সালের ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেন। অহিংস পদ্ধতিতে, গান্ধীর আদর্শে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য গীতা প্রেসকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 


PG/SD/DM/



(Release ID: 1990710) Visitor Counter : 113