প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

হিমাচল প্রদেশের লেপচায় বীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

“জওয়ানরা যেখানে থাকেন, আমার উৎসব সেখানেই”
“প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নারীশক্তি বড় ভূমিকা পালন করছে”

Posted On: 12 NOV 2023 2:58PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের লেপচায় বীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করলেন। 
    প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সীমান্ত এলাকায় কর্মরত প্রতিটি সেনাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান। উৎসবের সময়ও নিজের পরিবার - পরিজন ছেড়ে তাঁরা যেভাবে দেশের সুরক্ষায় কাজ করে চলেছেন তা কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠার এক অনন্য উদাহরণ বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এজন্যই সেনাকর্মীরা যেখানে, তাঁর উৎসবও সেখানে- মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। দেশ ও জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প কিংবা সুনামির সময় উদ্ধার কাজ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক শান্তি মিশন গুলিতেও ভারতের জওয়ানরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তার জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। রাষ্ট্রসংঘে গত বছর শান্তিরক্ষীদের একটি স্মারক কক্ষ গড়ে তোলার যে প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন, উল্লেখ করেন সেই বিষয়টিও। অশান্ত সুদান কিংবা ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারতীয় সেনারা যেভাবে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সামিল হয়েছেন তা সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করেছে বলে তাঁর মন্তব্য। এদেশের সমৃদ্ধি ও সুস্থিতির প্রশ্নে সুরক্ষিত সীমান্ত আবশ্যিক এক শর্ত বলে ফের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 
    ভাষণে প্রধানমন্ত্রী গতবারের দীপাবলীর সময় থেকে এই এক বছরে ভারতের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। উল্লেখ করেন চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযানের অবতরণ, আদিত্য এল১ মহাকাশ অভিযান, গগনযান প্রকল্প নিয়ে প্রস্তুতি, দেশে তৈরি বিমানবাহী রণপোত আইএনএস ভিক্রান্ত, টুমকুরের হেলিকপ্টার কারখানা, ভাইব্রেন্ট ভিলেজ অভিযান এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে এদেশের প্রতিযোগীদের অভূতপূর্ব প্রদর্শনের প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে নতুন সংসদ ভবন, নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম, জৈব জ্বালানি জোট, রপ্তানির পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠা কিংবা ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার মত নানা বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সংযোগ প্রণালী, দীর্ঘতম নদী প্রমোদ তরণী পরিষেবা, চালু হয়েছে নমো ভারত এবং বন্দে ভারতের মত দ্রুতগামী ট্রেন, গড়ে উঠেছে দিল্লির ভারত মন্ডপম এবং যশোভূমির মত সম্মিলন কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যার নিরিখে এদেশ উঠে এসেছে প্রথম স্থানে, গুজরাটের ধরদো গ্রাম পেয়েছে বিশ্বের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি, শান্তিনিকেতন এবং হোয়েশল মন্দির চত্বর জায়গা পেয়েছে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায়। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত – মধ্যপ্রাচ্য – ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারও উল্লেখ করেন তিনি। 
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করতে সক্ষম। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দেশ ক্রমে আরো স্বনির্ভর হয়ে উঠছে বলে তিনি জানান। ২০১৬-র তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে এদেশ থেকে রপ্তানি ৮ গুণ বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আজ দেশে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ চলছে – যা এক অনন্য নজির। 
    প্রযুক্তির এই জমানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও আধুনিক হয়ে উঠছে, তবে এই ক্ষেত্রে সেনাকর্মীদের মানবিক সংবেদনশীলতার দিকটিতেও যথাযথভাবে সচেতন থাকতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি কখনওই মানবিকতার ওপরে জায়গা পেতে পারে না।
    দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নারীশক্তির অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গতবছর ৫০০ মহিলা আধিকারিক সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড হয়েছেন, রাফাল যুদ্ধ বিমানের চালক হিসেবে মহিলাদের দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধ জাহাজগুলিতেও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব নির্বাহে সামিল এদেশের কন্যারা। সেনাকর্মীদের সুবিধার দিকে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলে আবারও জানান তিনি। চরম আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য পোশাক এবং জওয়ানদের নিরাপত্তায় ড্রোনের ব্যবহারের মত উদ্যোগ তারই সাক্ষ্য দেয় বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। এক পদ এক পেনশন কর্মসূচির আওতায় ৯০ হাজার কোটি টাকা প্রদানের বিষয়টিও তাঁর বক্তব্যে জায়গা করে নেয়। 
    ভাষণের কাব্যময় পরিসমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপ ইতিহাসের দিশা নির্দেশ করে। সেনাকর্মীদের সহায়তা পেলে তবেই দেশ বিকাশের প্রশ্নে নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। 


PG/AC/SG


(Release ID: 1976604) Visitor Counter : 88