প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav g20-india-2023

ছত্তিশগড়ের রায়পুরে প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ প্রধানমন্ত্রীর

৫টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উৎসর্গ
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীকে কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ

“সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে”

”আজ ছত্তিশগড়ে দুটি আর্থিক করিডর যুক্ত হল”

”মনরেগার অধীনে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ছত্তিশগড়কে ২৫০০০ কোটি টাকার বেশি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার”

Posted On: 07 JUL 2023 1:04PM by PIB Kolkata

 নতুনদিল্লি ০৭ জুলাই,২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ছত্তিশগড়ের রায়পুরে প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি প্রায় ৬৪০০ কোটি টাকার ৫টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। প্রধানমন্ত্রী ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রায়পুর-খড়িয়ার রোড ডাবল রেল লাইন, ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কেউটি-অন্তগড় নতুন রেল লাইন প্রকল্পও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এছাড়া, কোরবায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৬০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একটি বটলিং প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীর হাতে কার্ড দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

      এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন যাত্রার ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পরিকাঠামো ও যোগাযোগের মতো ক্ষেত্রে ৭০০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন প্রকল্প পাচ্ছে এই রাজ্য। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে মজবুত করবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।


      প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে পরিকাঠামোর সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। তাই যে সব এলাকা পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলির বিকাশে সরকার পরিকাঠামোর উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে । তিনি বলেন, “পরিকাঠামোর অর্থ হল সহজ জীবনযাত্রা এবং সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করা। পরিকাঠামোর অর্থ হল, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অতি দ্রুত উন্নয়ন।" শ্রী মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় গত ৯ বছরে রাজ্যের হাজার হাজার আদিবাসী গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। তাঁর কথায় “সড়ক, রেল, টেলি যোগাযোগ, যাই হোক না কেন, গত ৯ বছরে ছত্তিশগড়ে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার নজিরবিহীন কাজ করেছে।"


      শ্রী মোদী বলেন, সড়ক ও টেলি যোগাযোগের উন্নতির ফলে গরিব, দলিত ও পিছিয়ে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ রোগী এবং মহিলাদের নিয়ে সহজে হাসপাতালে পৌঁছতে পারবেন। তিনি বলেন, ৯ বছর আগে ছত্তিশগড়ে ২০ শতাংশের বেশি গ্রামে মোবাইল সংযোগ ছিল না। সেই হার এখন ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ৪জি সংযোগের উন্নতির জন্য সরকার ৭০০টির বেশি মোবাইল টাওয়ার বসিয়েছে। এই মোবাইল সংযোগের উন্নতির ফলে গ্রামের মানুষ নানা দিক থেকে উপকৃত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, “এটাই সামাজিক ন্যায়। এবং এটাই হল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ।"


      প্রধানমন্ত্রী বলেন, রায়পুর-ধানবাদ এবং রায়পুর-বিশাখাপত্তনম, এই দুটি আর্থিক করিডর চালু হওয়ায় গোটা এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলাতে চলেছে।  পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে দিয়ে এই আর্থিক করিডর গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে এক সময় হিংসা ও নৈরাজ্য বিরাজ করত। তিনি বলেন, রায়পুর-বিশাখাপত্তনম আর্থিক করিডরের আজ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, যা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এক নতুন জীবনরেখা হিসেবে দেখা দেবে এবং রায়পুর ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যে যাতায়াতের সময় অর্ধেক কমিয়ে দেবে। তিনি বলেন, ৬ লেনের রাস্তা কৃষিতে উন্নত ধামতারি, বক্সাইট সমৃদ্ধ কাঙ্কের এবং হস্তশিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ কোনডাগাঁও অঞ্চলকে দেশের অন্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করবে।

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকাগুলিতে আরও বেশি শিল্প স্থাপনের ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।" গত ৯ বছর ধরে সরকার এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যা ছত্তিশগড়ে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নতুন শক্তি এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের নীতির কারণে ছত্তিশগড়ের তহবিলও অনেক বেড়ে গিয়েছে। শ্রী মোদী জানান, ২০১৪ সালের ৪ বছর আগে রয়্যালটি হিসেবে ১৩০০ কোটি টাকা পেত, যেখানে ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ সালের মধ্যে তা বেড়ে ২৮০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন, “স্কুল পড়ুয়া, গ্রন্থাগার, রাস্তা, জলের ব্যবস্থা  মতো উন্নয়নমূলক কাজে জেলা খনি তহবিল থেকে অর্থ খরচ করা হচ্ছে।"


       ১ কোটি ৬০ লক্ষ জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা পড়ার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই টাকা হল গরিব পরিবার, কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষের। জনধন অ্যাকাউন্টে সরাসরি সরকারি সাহায্যের টাকা মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, ছত্তিশগড়ের তরুণদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মুদ্রা যোজনায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যায় আদিবাসী এবং গরিব পরিবারের তরুণরা রয়েছেন। করোনার সময় ছত্তিশগড়ের প্রায় ২ লক্ষের মতো সংস্থাকে ৫০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।


      প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম স্বনিধি যোজনায় পথ বিক্রেতাদের কোনোরকম নিশ্চয়তা ছাড়াই ঋণ প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন ছত্তিশগড়ের। তিনি জানান, মনরেগার আওতায় গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ছত্তিশগড়কে ২৫০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ দিয়েছে।

 
       আয়ুষ্মান প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীকে কার্ড দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শ্রী মোদী বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের গরিব ও আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা করে বিনা খরচে রাজ্যের ১৫০০-র বেশি বড় হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।


      ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল শ্রী বিশ্বভূষণ হরিচন্দন, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেশ বাগেল, উপ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী টি এস সিংদেও, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়কড়ি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া এবং বেশ কয়েকজন সাংসদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


CG/MP/CS



(Release ID: 1937930) Visitor Counter : 143