প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারতের মূল শক্তি হল আস্থা এবং ক্ষমতা ও দক্ষতার মাত্রা

এ দেশে দূরসঞ্চার প্রযুক্তি একটি ক্ষমতামাত্র নয়, বরং এক বিশেষ ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা

ভারতে আইটিইউ-এর আঞ্চলিক দপ্তর ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের সূচনাকালে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

Posted On: 22 MAR 2023 2:11PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ, ২০২৩


বর্তমান ভারত ডিজিটাল বিপ্লবের পরের অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। অ-ডিজিটাল ক্ষেত্রগুলিতেও ডিজিটাল ভারতের প্রভাব এখন অনস্বীকার্য। ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’ হল এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।


আজ এখানে বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল টেলি-কমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর আঞ্চলিক কার্যালয় তথা উদ্ভাবন কেন্দ্রটির সূচনাকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি ‘ভারত ৬জি’র খসড়াটিও আজ এখানে প্রকাশ করেন। এছাড়াও, ৬জি-র গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার একটি মঞ্চ এবং ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’ অ্যাপটিরও সূচনা করেন।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল টেলি-কমিনিউকেশন ইউনিয়ন অর্থাৎ, আইটিইউ হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত একটি বিশেষ সংস্থা। এ দেশে সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২২-এর মার্চ মাসে। এই কার্যালয়টি থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান এবং ইরানকে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক নিবিড় বাতাবরণ গড়ে তোলা যাবে।


আইটিইউ-এর মহাসচিব মিসেস ডোরিন-বোগদান মার্টিন আইটিইউ-এর এই নতুন কার্যালয় ও উদ্ভাবন কেন্দ্রটি ভারতে স্থাপিত হওয়ায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ভারত এবং আইটিইউ-এর মধ্যে সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাসে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। এই অঞ্চলে আইটিইউ-এর উপস্থিতির ফলে উন্নত প্রযুক্তি, প্রযুক্তিগত ক্ষমতার প্রসার এবং শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টা জোরদার হয়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও, ডিজিটাল পরিষেবা, দক্ষতা বিকাশ, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও তা বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মিসেস মার্টিন বলেন, বিশ্বের যেক’টি দেশ অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী, ভারত তাদের কাছে একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে। এই রূপান্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নকে নতুন পথে চালিত করা সম্ভব হবে। বিশ্বের স্টার্ট-আপ উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যেক’টি দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ভারত তার অন্যতম বলে তিনি মন্তব্য করেন। মিসেস মার্টিনের মতে, ডিজিটাল মঞ্চে লেনদেন এবং প্রযুক্তিগত কর্মশক্তি ও সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্ব ভারতকে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কিত উদ্ভাবন ও গবেষণা ক্ষেত্রে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে পেরেছে। ভারতে যেভাবে আধার, ইউপিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন যে এ সমস্ত কিছুই ভারতকে জ্ঞান-নির্ভর এক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে।


অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের দূরসঞ্চার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ৬জি-র পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত মঞ্চ এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কিত খসড়াটি ডিজিটাল ভারতকে নতুন করে উৎসাহ যোগাবে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও সমাধান প্রচেষ্টাতেও তা এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ভারতের উদ্ভাবন প্রচেষ্টা, শিল্পোদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপ স্থাপনের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন সুযোগের প্রসার ঘটবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের এক নতুন বাতাবরণ গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।


শ্রী মোদী বলেন, জি-২০-র সভাপতিত্বকালে যে দায়িত্বভার ভারতের ওপর অর্পিত হয়েছে তা পালন করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আঞ্চলিক বিভেদকে কোনভাবেই প্রাধান্য দেওয়া হবে না। সাম্প্রতিক গ্লোবাল সাউথ শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে গ্লোবাল সাউথের লক্ষ্যই হল প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিভেদের সীমারেখা দ্রুত মুছে দেওয়া। আইটিইউ-এর আঞ্চলিক কার্যালয় ও উদ্ভাবন কেন্দ্রটি যে এই লক্ষ্যে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে সে সম্পর্কে তিনি আশাবাদী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সকলের জন্য এক সুষ্ঠু ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাও যে এর ফলে উৎসাহিত হবে, একথাও মনে করেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে বিভেদ ও তারতম্য রয়েছে তা ভারতের নেতৃত্বে দ্রুত দূর করা যে সম্ভব হবে, এ প্রত্যাশা রয়েছে প্রায় সবক’টি দেশেরই। কারণ, ভারতের সংস্কৃতি, পরিকাঠামো, ক্ষমতা ও দক্ষতা, দক্ষ শ্রমশক্তি, উদ্ভাবন প্রতিভা এবং নীতি বাস্তবায়নের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ বিশ্ববাসীর এই প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর মূলে রয়েছে ভারতের দুটি বিশেষ শক্তি - আস্থা এবং ক্ষমতা ও দক্ষতার মাত্রা। পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে এই আস্থা, বিশ্বাস এবং ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়েই আমরা প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে সক্ষম। এজন্য সমগ্র বিশ্বই আজ তাকিয়ে রয়েছে ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি ও প্রচেষ্টার দিকে।


প্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতে গণতান্ত্রিকতার কিভাবে প্রসার ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে মোবাইল সংযোগের মাত্রা বর্তমানে ১০০ কোটিকেও ছাড়িয়ে গেছে। ব্যয়সাশ্রয়ী স্মার্ট ফোনের উৎপাদন এবং ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম মূল্য ভারতকে বর্তমানে এই অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। ইউপিআই-এর মাধ্যমে এ দেশে প্রতি মাসে ৮০০ কোটিরও বেশি ডিজিটাল লেনদেন সম্ভব হচ্ছে। অনলাইনে প্রতিদিন ৭ কোটিরও বেশি নথি যাচাইয়ের ঘটনাও ভারতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। Co-Win-এর প্রযুক্তিগত মঞ্চটি ব্যবহার করে ২২০ কোটিরও বেশি ভ্যাক্সিন ডোজ এদেশে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে ২৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে ভারতে যতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। অভিন্ন ডিজিটাল পরিচিতি অর্থাৎ, আধার-এর সাহায্যে এই ব্যবস্থাকে আমরা সম্ভব করে তুলেছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে দূরসঞ্চার প্রযুক্তি একটি ক্ষমতামাত্র নয়, বরং তা হল ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টার এক বিশেষ কর্মসূচি। এ দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন সার্বজনীন এবং সকলেরই আয়ত্তের মধ্যে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি প্রচেষ্টা ব্যাপক আকার ও মাত্রায় বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে এ দেশে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল যেখানে ৬ কোটি, এখন সেখানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটিতে। অন্যদিকে, ২০১৪-র আগে দেশে ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি। তুলনায় বর্তমানে এর সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৮৫ কোটিতে।


ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনসাধারণের আগ্রহ ও প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, শহরের তুলনায় গ্রামগুলিতে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এর কারণ হল ভারতে ডিজিটাল ক্ষমতার প্রসার ঘটেছে দেশের আনাচে-কানাচে। গত ৯ বছরে সরকারি এবং বেসরকারি প্রচেষ্টায় ভারতে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে ২৫ লক্ষ কিলোমিটার পরিধি জুড়ে। ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে এর মাধ্যমে। অন্যদিকে, ৫ লক্ষ সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে। ফলে, এখানে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার ঘটছে সাধারণ প্রযুক্তির তুলনায় আড়াইগুণ বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে দ্রুত ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও আশানুরূপভাবেই সফল হয়েছে। মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে দেশের ১২৫টি শহরে ৫জি পরিষেবার প্রসার ঘটেছে। এই পরিষেবার আওতায় বর্তমানে রয়েছে দেশের প্রায় ৩৫০টি জেলা।


ভারতের গভীর আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ৫জি-র সূচনা হয়েছে মাত্র ছ’মাস আগে। কিন্তু এর মধ্যেই ৬জি চালু করার জন্য ভারত একটি খসড়াও তৈরি করে ফেলেছে যা আজ এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হল। আশা করা হচ্ছে যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতে ৬জি পরিষেবা দ্রুত চালু হয়ে যাবে।


ভারতের সফল দূরসঞ্চার প্রযুক্তি যে বিশ্বের বহু দেশেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বর্তমানে শুধুমাত্র দূরসঞ্চার প্রযুক্তিকে ব্যবহারই করে না, বরং তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানিও করে থাকে। ৫জি-র শক্তিকে ব্যবহার করে ভারত সমগ্র বিশ্বের কর্মসংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। কারণ ভারত মনে করে যে এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো ছাড়াও বাণিজ্যিক মডেল এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সম্ভাবনার পরিসরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। ভারতের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী ৫জি-র প্রয়োগ ও প্রসার কিভাবে ঘটানো সম্ভব তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হবে ১০০টি নতুন পরীক্ষা কেন্দ্রে। স্মার্ট ক্লাসরুম, কৃষি ব্যবস্থা, সুষম পরিবহণ ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ৫জি-র প্রয়োগ সম্ভব করে তুলতে ভারত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। এ দেশের ৫জি-র মান যে এ সম্পর্কিত বিশ্বমানের সমতুল, একথাও স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীদিনের প্রযুক্তিকে নির্দিষ্ট মানে উন্নীত করতে আইটিইউ-এর সঙ্গে ভারত একযোগে কাজ করে যাবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। আইটিইউ-এর নতুন আঞ্চলিক কার্যালয়টি ৬জি-র উপযোগী উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার কাজেও সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান যে আগামী বছরের অক্টোবরে দিল্লিতে আইটিইউ-এর ‘ওয়ার্ল্ড টেলি-কমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন সেখানে।


পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান দশককে ‘ভারতের প্রযুক্তিগত দশক’ বলে বর্ণনা করে বলেন যে এ দেশের প্রযুক্তি ও দূরসঞ্চার যথেষ্ট স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত। সুতরাং, দক্ষিণ এশিয়ার মিত্র দেশগুলি সর্বোচ্চ মাত্রায় এই সুযোগ গ্রহণ করার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।

PG/SKD/DM


(Release ID: 1909574) Visitor Counter : 548