জাহাজচলাচলমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী বারাণসী থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকাবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’এর সূচনা করবেন
Posted On:
08 JAN 2023 1:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসী থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকাবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’এর সূচনা করবেন। কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল, জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ভারতে নৌকাবিহার পর্যটনের নতুন যুগের সূচনা হবে। এমভি গঙ্গা বিলাস ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। ভারতের ৫টি রাজ্য এবং বাংলাদেশের মোট ২৭টি নদীর অববাহিকা পর্যটকরা সফর করবেন।
শ্রী সোনোওয়াল জানান, দেশে নদী পর্যটনের বিরাট এক সুযোগ এর ফলে তৈরি হবে। গঙ্গা বিলাসের সাহায্যে আমাদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হবে। ভারতের জীব বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার স্বাদ পর্যটকরা এই জলপথ ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন। কাশি থেকে সারনাথ, মাজুলি থেকে মায়ঙ্ক, সুন্দরবন থেকে কাজিরাঙ্গা- সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আস্বাদন তাঁরা করতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, অ্যাক্ট ইস্ট নীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার ফলে ভারতে নৌ পর্যটনের নতুন যুগের সূচনা হবে।
এম ভি গঙ্গা বিলাস ৫১ দিন ধরে ৫০টি পর্যটন স্থানে ভ্রমণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা, আসামের গুয়াহাটি শহর। ৬২ মিটার দীর্ঘ এবং ১২ মিটার চওড়া এই জলযানের তিনটি তলায় ১৮টি স্যুট রয়েছে। ৩৬ জন যাত্রী বিলাসবহুল এই জলযানে সফর করবেন। এখানে দূষণমুক্ত ব্যবস্থাপনা থাকছে। এম ভি গঙ্গা বিলাসের প্রথম নৌযাত্রায় সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন পর্যটক ভ্রমণ করবেন। ১৩ জানুয়ারি বারাণসী থেকে রওনা হয়ে এটির ডিব্রুগড়ে পৌঁছানোর কথা।
ভারতের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য এই জলযান ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক দিক থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সফর করবে। যাত্রীরা বারাণসীর গঙ্গা আরতি, বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র স্থান সারনাথ, তন্ত্র সাধনার পীঠস্থান মায়ঙ্ক এবং বৃহত্তম নদী দ্বীপ মাজুলি ঘুরে দেখবেন। তাঁরা বিহার স্কুল অফ যোগ এবং বিহারের বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রত্যক্ষ করবেন। ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার খ্যাত সুন্দরবন অথবা এক শৃঙ্গ গন্ডারের আবাসস্থল কাজিরাঙ্গাও পর্যটকরা যাবেন।
দেশে নৌকাবিহার পর্যটনের প্রসার ঘটানোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শ্রী সোনোওয়াল বলেন, এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এম ভি গঙ্গা বিলাসে এই নৌকাবিহার বন্দর, জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রকের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হবে। বর্তমানে কলকাতা এবং বারাণসীর মধ্যে ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে চারটি জলযান পর্যটনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। জলপথ সংস্কারের জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের ফলে দেশজুড়ে নৌকাবিহারের মাধ্যমে পর্যটনের প্রসার ঘটবে। ফলস্বরূপ দেশের পিছিয়ে পরা অংশে দ্রুতহারে উন্নয়ন হবে।
PG/CB/NS
(Release ID: 1889802)
Visitor Counter : 247