তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক

জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থী তৎপরতা দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর

Posted On: 19 DEC 2022 1:17PM by PIB Kolkata

য়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

 

সন্ত্রাসবাদকে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এটাই হল কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিগত এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি।

সন্ত্রাসবাদী তৎপরতাকে প্রতিরোধ ও দমন করার লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ প্রচেষ্টা সম্পর্কে আজ তাঁর বাসভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর। সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউএপিএ-কে আরও জোরদার করে তোলার লক্ষ্যে সরকার যেমন আইনি পথে অগ্রসর হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে একটি প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপকে বলবৎ করে তুলতেও সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এজন্য চালু করা হয়েছে জাতীয় অনুসন্ধান সংস্থা সম্পর্কিত (সংশোধন) আইন। সরকারের এই যুগ্ম প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা কমিয়ে আনার কাজে বিশেষ সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রী ঠাকুর জানান, সন্ত্রাসের সমস্যার বিষয়টিকে বিশেষ উদ্বেগের সঙ্গেই বিশ্ব নেতৃত্বের উচ্চতম পর্যায়ে নিয়ে গেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতেও বিষয়টি স্থান পেয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে ওঠার জন্য বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে বিশেষ আর্জি জানিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ইন্টারপোল-এর ৯০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধিদের সংখ্যা ছিল ২ হাজারেরও বেশি। ঐ অধিবেশনে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুকূলে একটি ঘোষণাপত্রও স্বাক্ষরিত হয়।

শ্রী অনুরাগ ঠাকুর তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন যে সন্ত্রাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্কল্পের দুটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইক। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসকে দমন করার লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা হ্রাস পেয়েছে ১৬৮ শতাংশের মতো। একইভাবে, সন্ত্রাসকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে মদত দেওয়ার প্রবণতাকেও ৯৪ শতাংশ কমিয়ে আনার কাজে আমরা সফল হয়েছি।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তির এক বাতাবরণ গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টাগুলির কথাও উল্লেখ করেন শ্রী অনুরাগ ঠাকুর। ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে ৬ হাজার উগ্রপন্থী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। বাম ঘেঁষা উগ্রপন্থী দমনে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে হিংসাত্মক ঘটনাবলীর সংখ্যা ২৬৫ শতাংশের মতো হ্রাস পেয়েছে।

শুধু সন্ত্রাস দমনই নয়, একইসঙ্গে উগ্রপন্থী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতেও অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে বোড়ো চুক্তি। আবার, ঐ বছরেরই জানুয়ারি মাসে সম্পাদিত হয়েছে ব্রু-রিয়াং চুক্তিটি। এর আগে ২০১৯-এর আগস্ট মাসে স্বাক্ষরিত হয় এনএলএফটি-ত্রিপুরা চুক্তি। ২০২১-এর কার্বি আংলং চুক্তি এবং ২০২২-এর আসাম-মেঘালয় আন্তঃরাজ্য সীমানা চুক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের লক্ষ্যে আরও দুটি সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যে সন্ত্রাস দমন ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা এবং বিভিন্ন দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজেও সরকার বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে। কোভিড-১৯ সঙ্কটকালে দেশের ১ কোটি ৮৩ লক্ষ নাগরিককে ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘বন্দে ভারত মিশন’ কর্মসূচির আওতায়। এছাড়াও, চিনের হুয়ান প্রদেশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে ৬৫৪ জন মানুষকে। শুধু ভারতীয়দেরই নয়, বিদেশি নাগরিকদেরও বিভিন্ন সময়ে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার কাজে সামিল হয়েছে ভারত সরকার।

 
PG/SKD/DM



(Release ID: 1884855) Visitor Counter : 177