প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

গুজরাট রোজগার মেলায় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা

Posted On: 29 OCT 2022 3:46PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ২৯ অক্টোবর, ২০২২

লাভ পঞ্চমীর দিন গুজরাটের যুবক-যুবতীদের জন্য এ ধরনের বিরাট এক রোজগার মেলার আয়োজন সত্যিই দারুন ব্যাপার। আজ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গুজরাটের হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে নিয়োগ করা হবে। নিয়োগপত্র ইতোমধ্যেই বন্টিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আমি সকল তরুণ-তরুণীকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।

ধনতেরাসের দিন দিল্লি থেকে আমি জাতীয় পর্যায়ে রোজগার মেলার সূচনা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, কেন্দ্রীয় সরকার সেই মেলার আয়োজন করেছে। কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে বিভিন্ন রাজ্য সরকারও একই পথে হাঁটা শুরু করেছে। রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাটই প্রথম, যে রাজ্য বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় এই উদ্যোগ নিয়েছে, আমি তার জন্য আনন্দিত। আর তাই গুজরাট সরকারকে আমি অভিনন্দন জানাই!

আমাকে বলা হয়েছে আজ গুজরাটের পঞ্চায়েত সেবা নিয়োগ পর্ষদ থেকে ৫ হাজার বন্ধু তাঁদের নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন। একইভাবে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পর্ষদ এবং লোকরক্ষক নিয়োগ পর্ষদ থেকেও ৮ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী তাঁদের নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন। এ ধরণের একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আমি ভূপেন্দ্রভাই এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই। দিন কয়েক আগে আমি শুনেছি বিভিন্ন নিয়োগ পর্ষদ থেকে প্রায় ১০ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

বন্ধুগণ,

গুজরাট উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছে। ভূপেন্দ্রভাইয়ের নেতৃত্বে রাজ্যে নতুন শিল্পনীতি সর্বজনগ্রাহ্য। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে এই শিল্পনীতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। নতুন এই শিল্পনীতির ফলে শুধু যে শিল্পায়নই হবে তাই নয়, দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে। ফলস্বরূপ কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে ওঠার পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে। গুজরাট সরকার ‘ওজাস’ ডিজিটাল মঞ্চ গড়ে তুলেছে। গ্রেড থ্রি এবং ফোর-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে আর ইন্টারভিউ নেওয়া হয় না। পুরো নিয়োগ পদ্ধতি স্বচ্ছ ও সরল করে তোলা হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে গুজরাট সরকার ‘অনুবন্ধম’ ওয়েব পোর্টাল এবং একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে। এর ফলে স্বচ্ছতা আরো বেড়েছে এবং রাজ্যের যুবক-যুবতীদের কাজ পাওয়ার সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যবস্থায় নিয়োগকর্তাদের সুবিধা হয়েছে। তাঁরা দক্ষ যুবক-যুবতীর সন্ধান পাচ্ছেন। অন্যদিকে চাকুরিপ্রার্থীরাও নানা কাজের সম্পর্কে জানতে পারছেন। অর্থাৎ এটি চাকুরিপ্রার্থী এবং চাকুরিদাতাদের জন্য একটি মঞ্চ হয়ে উঠেছে।

গুজরাট পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি আদর্শ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা করেছে। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে আগামী দিনেও অন্য রাজ্যগুলিও তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুসারে এই মডেল অনুসরণ করবে। তাই আমি গুজরাট সরকার এবং একইসঙ্গে ভূপেন্দ্রভাইয়ের টিমের প্রত্যেক সদস্যকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গুজরাটের মতো অন্য রাজ্যগুলিও এ ধরনের রোজগার মেলার আয়োজন করবে। আমাকে জানানো হয়েছে প্রায় সব রাজ্যই এই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসছে। এমনকি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও এর থেকে পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর ১০ লক্ষ মানুষকে চাকরি দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু যে ভাবে রাজ্যগুলিও এই প্রক্রিয়ায় সামিল হচ্ছে, মনে হয় আমরা সহজেই এই সংখ্যাকে অতিক্রম করবো। অর্থাৎ প্রশাসনিক কাজে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি যেভাবে তরুণ-তরুণীদের যুক্ত করছে তার ফলে কেন্দ্রের পরিকল্পনা সফল হবে। আজ যে যুবক-যুবতীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সরকারের বিভিন্ন কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করবে। আশা করি এইসব যুবক-যুবতীরা সমাজ, রাজ্য, গ্রাম এবং বিভিন্ন অঞ্চলে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করবেন। তার ফলে সরকারি ব্যবস্থায় নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। বন্ধুরা, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারত অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করেছি। আগামী ২৫ বছরে অর্থাৎ ভারত যখন স্বাধীনতার শতবার্ষিকী উদযাপন করবে সেই সময়ে- ২০৪৭ সালে দেশকে আমরা আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো সেই শপথ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর সব থেকে মজার বিষয় হল এই সময়কালটি আপনাদের নিজেদের জীবনের জন্যও অমৃতকাল। আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে আগামী ২৫ বছরে যে স্বপ্ন রয়েছে, যে উচ্চাশা রয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত আপনারা নিয়েছেন সেগুলি পূরণ করতে হবে। এর ফলে ২০৪৭ সালে ভারত এমন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে যার সুফল যেমন আপনারা পাবেন আবার এই যাত্রাপথের একজন অংশীদার হিসেবেও আপনি নিজেকে দাবী করতে পারবেন।

এটি সুবর্ণ সুযোগ। এই পবিত্র মুহুর্তে যাঁরা সুযোগ পেলেন, সেইসব যুবক-যুবতীকে আমি অভিনন্দন জানাই। কিন্তু বন্ধু, এই সুযোগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে আপনার বিকাশের দিকটি যেন থেমে না থাকে। অনলাইনে বিভিন্ন পাঠক্রম রয়েছে। আপনাদের নিজেদের দক্ষতাকে বিকশিত করুন, থেমে থাকবেন না। কলেজে পিয়নের কাজ করছেন এ রকম বহু যুবক-যুবতী ওই কলেজেই পড়াশোনা করে অধ্যাপক হয়েছেন সেই উদাহরণও রয়েছে। নতুন নতুন জিনিস শিখুন। আপনার মধ্যে জানার যে আগ্রহ রয়েছে সেটি নষ্ট করবেন না। আপনারা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আপনাদের বিভিন্ন স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। আপনাদের শুধু এগিয়ে যেতে হবে। আসলে আমাদের সকলকেই এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যখন কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং দরিদ্র ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসবেন তখন আপনার মধ্যে অদ্ভুত এক তৃপ্তি দেখা দেবে। যখন আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে কোনো কাজ করি তখন প্রগতির দরজা খুলে যায়। আমি মনে করি গুজরাটে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আগামী ২৫ বছরে ভারতের অমৃতকালে সারা বিশ্বের কল্যাণে পথ দেখাবেন। কী অদ্ভুত এক সমাপতন! কি দারুণ ব্যাপার! আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই! এগিয়ে চলুন! আপনাদের মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করুন!

অনেক ধন্যবাদ বন্ধুরা!

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন।)

 

PG/CB/NS




(Release ID: 1872774) Visitor Counter : 109