ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
ভারত বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক এবং গ্রাহক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনিরপ্তানিকারক দেশ
Posted On:
05 OCT 2022 2:21PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ অক্টোবর ২০২২
২০২১-২২-এর চিনি মরশুমে(অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) রেকর্ড ৫ হাজার লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আখ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে ৩,৫৭৪ লক্ষ মেট্রিক টন আখ থেকে ৩৯৪ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি বা সুক্রোজ উৎপাদিতহয়েছে চিনিকলে যার মধ্যে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি থেকে ইথানল উৎপাদন হয়েছে এবং ৩৫৯লক্ষ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এর ফলে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ওগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় চিনি ক্ষেত্রের জন্য এইমরশুমটি অত্যন্ত ভালো মরশুম বলে প্রমাণিত হয়েছে। আখ ও চিনি উৎপাদন, চিনি রপ্তানি,আখ সংগ্রহ, বকেয়া মেটানো এবং ইথানল উৎপাদন – সবক্ষেত্রেই এই মরশুমে রেকর্ড সৃষ্টিহয়েছে।
এই মরশুমের আরও একটি উজ্জ্বল নজির,সেটি হল ১০৯.৮ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানি হয়েছে তাও আর্থিক সহায়তা না মেলাসত্ত্বেও যার মেয়াদ ছিল ২০২০-২১ পর্যন্তই। সহায়ক আন্তর্জাতিক বাজার এবং ভারতসরকারের নীতির ফলেই ভারতীয় চিনি শিল্পে এই সাফল্য এসেছে। এই রপ্তানির ফলে দেশের ৪০হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আয় হয়েছে। চিনি শিল্পের এই সাফল্যের জন্য কেন্দ্রও রাজ্য সরকারগুলি, কৃষক, চিনিকল, ইথানল ডিস্টিলারি, সহযোগী প্রয়াসের পাশাপাশিদেশে বাণিজ্যিক পরিবেশের সার্বিক উন্নতিও একটি কারণ। গত পাঁচ বছরে সরকারেরসময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে কৃষিক্ষেত্রে ধাপে ধাপে উন্নতি ঘটেছে। ২০১৮-১৯-এরআর্থিক সঙ্কট থেকে ২০২১-২২-এ উত্তরণ হয়েছে স্বনির্ভরতায়।
২০২১-২২ চিনি মরশুমে চিনিকলগুলি ১লক্ষ ১৮ কোটি টাকার বেশি মূল্যের আখ সংগ্রহ বাবাদ প্রদান করে ১.১২ লক্ষ কোটির বেশিটাকা। ভারত সরকারের কাছে কোনো আর্থিক সহায়তা (ভর্তুকি) মেলেনি। ফলে, চিনি মরশুমেরশেষে বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকারও নিচে। যার অর্থ, আখবাবদ দেয় অর্থের ৯৫শতাংশই মেটানো হয়েছে। এটাও উল্লেখযোগ্য যে ২০২০-২১ চিনি মরশুমে ৯৯.৯ শতাংশের বেশি বকেয়ামেটানো হয়েছে।
সরকার চিনিকলগুলিকে ইথানল উৎপাদনেউৎসাহিত করছে। একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত চিনি রপ্তানিতেও উৎসাহ দিচ্ছে যাতে চিনিকলগুলিঠিক সময়ে কৃষকদের বকেয়া মেটাতে পারে এবং চিনিকলগুলিরও আর্থিক অবস্থা ভালো হয়।
গত পাঁচ বছরে জৈব জ্বালানিক্ষেত্রে ইথানলের বৃদ্ধি চিনি ক্ষেত্রকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। কারণ, চিনিকে ইথানলহিসেবে ব্যবহার করার ফলে চিনিকলগুলির আর্থিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়েছে এবং কার্যকরীমূলধনের প্রয়োজন কমেছে। উদ্বৃত্ত চিনি মজুত না করতে হওয়ায় চিনিকলগুলির টাকা আটকেথাকছে না। ২০২১-২২-এ ইথানল বেচে চিনিকল এবং ডিস্টিলারিগুলির ১৮ হাজার কোটি টাকাররাজস্ব আদায় হয়েছিল। এর ফলে কৃষকদের আখের জন্য বকেয়াও তাড়াতাড়ি মেটানো গেছে। ঝোলাগুড়, চিনি-ভিত্তিক ডিস্টিলারিগুলির ইথানল উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে বাৎসরিক ৬০৫ কোটিলিটার হয়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে যাতে ২০২২-এর মধ্যে ২০ শতাংশ জৈব-জ্বালানি মিশ্রণেরলক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। নতুন মরশুমে চিনি থেকে ইথানল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩৫ লক্ষমেট্রিক টন থেকে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন করা হয়েছে যার ফলে চিনিকলগুলির রাজস্ব দাঁড়াবে২৫ হাজার কোটি টাকা।
দেশের বাজারে আড়াই মাসের মতো চিনিরচাহিদার জন্য প্রয়োজন ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি। চিনি থেকে ইথানল উৎপাদন এবংরপ্তানি বৃদ্ধি হলে গোটা শিল্পের মূল্যশৃঙ্খলই খুলে যাবে। সেইসঙ্গে, চিনিকলগুলিরআর্থিক উন্নতি হবে যার ফলশ্রুতিতে আগামী মরশুমগুলিতে আরও বেশি অস্থায়ী চিনিকল তৈরিহবে।
PG/AP/DM/
(Release ID: 1865654)
Visitor Counter : 958