বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জীতেন্দ্র সিং পুনেতে কেপিআইটি-সিএসআইআর-এর উদ্ভাবিত সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম হাইড্রোজেন জ্বালানী ভিত্তিক বাসের যাত্রা শুরু করেছেন ; প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ-বান্ধব জাতীয় হাইড্রোজেন নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই উদ্যোগ

Posted On: 21 AUG 2022 4:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১  আগস্ট, ২০২২


        
দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত এই প্রথম  হাইড্রোজেন জ্বালানী ভিত্তিক বাস চলাচল শুরু হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জীতেন্দ্র সিং পুনেতে কেপিআইটি-সিএসআইআর-এর উদ্ভাবিত এই বাসের  যাত্রা শুরু করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর  পরিবেশ-বান্ধব ব্যয় সাশ্রয়ী জ্বালানীর সহজলভ্যতা সংক্রান্ত জাতীয় হাইড্রোজেন নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার সমাধানের জন্য যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে। তেল শোধনাগার, সার, ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পের পাশাপাশি বড় বড় পণ্যবাহী যানবাহনের কারনেও প্রচুর পরিমানে কার্বন নিঃসরণ হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ধরণের হাইড্রোজেন ভিত্তিক জ্বালানীর সেল ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হবে। ডাঃ সিং জানান, বাসে ব্যবহৃত এ ধরনের জ্বালানী সেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় যে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয় তা ব্যবহারের সময়  জল পাওয়া যায়। যা আগামী দিনে পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। একটি ডিজেল চালিত দূরপাল্লার বাস প্রতি বছর গড়ে ১০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত করে। ভারতে এ ধরনের বাস কয়েক লক্ষ চলাচল করে। ডিজেলের পরিবর্তে এই সেল ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ কম হবে।     
 
ডাঃ সিং জানিয়েছেন, কেপিআইটি-র উদ্ভাবিত সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সেল ব্যবহার করে যে যানবাহন চলবে তার ফলে বাস এবং লরি চলাচলের ক্ষেত্রে জ্বালানী বাবদ ব্যয় কম হবে। এই ধরনের সেল উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা আবারও প্রতিফলিত হল। যার সাহায্যে  আগামীদিনে ভারত জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানী আমদানিকারী দেশের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানী উৎপাদক সেল রপ্তানীকারক হয়ে উঠবে।        

ডাঃ সিং,  সিএসআইআর-এনসিএল-এর বিসফেনল-এ উৎপাদক প্ল্যান্টটিরও  উদ্বোধন করেছেন। সিএসআইআর-এর কোভিড-১৯ মিশন কর্মসূচির আওতায় এই প্ল্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত বিসফেনল-এ ইপক্সি রেজিন, পলিকারবোনেট সহ নানা ধরনের প্লাস্টিক উৎপাদন করতে সাহায্য করবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০২৭ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে বিসফেনল-এ’র চাহিদা ৭১ লক্ষ টনে পৌঁছাবে। বর্তমানে ভারত প্রতি বছর ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টন আমদানি করে। সিএসআইআর-এনসিএল-এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বিসফেনল আমদানি বন্ধ করতে সাহায্য করবে এবং দেশ এক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।

PG/CB/NS


(Release ID: 1853531) Visitor Counter : 203