কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমলে উত্তর-পূর্বের কর্মসংস্কৃতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে

Posted On: 18 AUG 2022 2:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ আগস্ট ২০২২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মীবর্গ, জন-অভিযোগ, পেনশন, পারমাণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আমলে গত আট বছরে উত্তর-পূর্বের কর্মসংস্কৃতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেছেন, এর ফলে বর্তমানে উত্তর-পূর্বের প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ১০০ শতাংশই। প্রত্যেকটি রাজ্য এখন রেলপথের দ্বারা দেশের রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত এবং আটটি রাজ্যের প্রতিটিতে বিমানবন্দর হচ্ছে। এর মধ্যে গুয়াহাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে উঠেছে।

অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পেমা খান্ডুকে সঙ্গে নিয়ে ‘ব্রিঙ্গিং সিটিজেন্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট ক্লোজার থ্রু অ্যাডমিনিস্টেটিভ রিফর্মস’ শীর্ষক দু’দিনের আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, ২০১৪-র আগে পূর্বেকার কেন্দ্রীয় সরকারগুলির দূরদৃষ্টির অভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকাগুলির সঙ্গে একই সারিতে এই অঞ্চলকে বসাতে সবরকম প্রয়াস নেওয়া হবে। তিনি বলেন, গত আট বছরে সাফল্যের সঙ্গে শুধু উন্নয়নের ফাঁকগুলিই বোজানো হয়নি, উত্তর-পূর্বাঞ্চল তার আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, রাস্তা, রেলপথ এবং আকাশপথে যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ফলে শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সারা দেশেই পণ্য এবং মানুষের চলাচলের সুবিধা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই অরুণাচল প্রদেশের মতো সুদূরতম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য পাহাড়ি এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে এই ধরনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন ঘটে। তিনি বলেন, ইটানগরে সম্মেলনের আয়োজন করেছে প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ দপ্তর। এর আগে ২০১৯-এর আগস্টে মেঘালয়ে ই-গভর্ন্যান্স শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স আয়োজিত হয়েছিল যেখানে ই-গভর্ন্যান্স বিষয়ক ‘শিলং ঘোষণা’ গৃহীত হয় যার উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ও তার সেরা প্রয়োগ ভাগাভাগি করে নেওয়া যাতে তার দ্বারা কার্যকরী প্রশাসন এবং গণ-পরিষেবা সম্ভব হয়।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং হায়দরাবাদের সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স-এর সহযোগিতায় প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ দপ্তর জেলাস্তরে একটি সুপ্রশাসন সংক্রান্ত সূচক তৈরি করেছে যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে প্রথম। এটি তৈরি করা হয়েছে ‘জাতীয় সুশাসন সূচক’-এর ধারায় যাতে প্রতিটি জেলায় প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, দপ্তরের পরিকল্পনায় আছে অরুণাচল প্রদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে একটি জেলা সুশাসন পোর্টাল তৈরি করা যাতে প্রতি মাসে অরুণাচল প্রদেশের প্রতিটি জেলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা যায়। এও উল্লেখ করতে হবে যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি অনলাইন গুড গভর্ন্যান্স ইন্ডেক্স তৈরি করা বাঞ্ছনীয় যা অরুণাচল প্রদেশের সূচকের মতোই বার্ষিক উন্নয়নের ধারা যাচাই করবে এবং তা করা হবে ডিজিটাল পোর্টালের মাধ্যমে।

ডঃ সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী অরুণাচলকে পূর্ব এশিয়ার প্রধান প্রবেশ দ্বার হিসেবে তৈরি করার কাজে রত। জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অরুণাচলের ভূমিকা দেখে আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। অরুণাচলকে প্রকৃতি অকৃপণভাবে সম্পদ দান করেছে। কেন্দ্রও চেষ্টা করছে অরুণাচলের পর্যটন সম্ভাবনাকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে।

প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়ে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, ভারত বিশ্বাস করে যে একবিংশ শতাব্দীর জন-অভিযোগ মীমাংসার ভিত্তি হবে ‘এক জানালা’ ব্যবস্থা, যেখান থেকে নাগরিকরা আরও ভালো পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান পোর্টাল’, বহুভাষিক সিপিজিআরএএমএস সহ বেশ কিছু পদ্ধতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে যাতে আরও ভালোভাবে নাগরিকদের কাছে পৌঁছনো যায়, অভিযোগের নিষ্পত্তির গুণমান স্থির করতে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায়, কল সেন্টারগুলিতে ফিডব্যাক দেওয়া যায়, এবং সিপিজিআরএএমএস পোর্টাল ইত্যাদিতে নাগরিকদের বক্তব্য তুলে ধরার সংস্থান থাকে।

ডঃ জিতেন্দ্র সিং সবশেষে বলেন যে তাঁর বিশ্বাস ২০৪৭-এ ভারতের প্রশাসনে থাকবেন আমাদের দক্ষ সিভিল সার্ভেন্টরা যাঁরা অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে দেশের সেবা করবেন। তরুণ সিভিল সার্ভেন্টদের ‘Vision@2047’-এ যুক্ত করা এবং অনুপ্রাণিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ দপ্তরের যুগ্ম সচিব শ্রী এন বি এস রাজপুত স্বাগত ভাষণ দেন। তারপর অরুণাচল সরকারের মুখ্য সচিব শ্রী ধর্মেন্দ্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চল দপ্তরের সচিব শ্রী লোকরঞ্জন, প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ দপ্তরের সচিব শ্রী ভি শ্রীনিবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। দপ্তরের তৈরি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্ত ২০২১-এর উদ্যোগকে নিয়ে তৈরি একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। অরুণাচল প্রদেশ সরকারের প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরের সচিব শ্রী অজয় চাগতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

 
PG/AP/DM


(Release ID: 1852870) Visitor Counter : 147