প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

গুজরাটের জুনাগড়ে উমিয়া মাতা মন্দিরের চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

Posted On: 10 APR 2022 7:29PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১০ এপ্রিল, ২০২২
 
উমিয়া মাতার জয় হোক!
 
জনপ্রিয়, বিনম্র ও দৃঢ়চেতা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী পুরুষোত্তম রুপালা, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ, সংসদে আমার সহকর্মীবৃন্দ, বিধায়কগণ, পঞ্চায়েত ও পুরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, উমাধাম ঘাটিলার সভাপতি বলজীভাই ফলদু, অফিসের কর্মচারী, দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং বিরাট সংখ্যায় উপস্থিত মা ও বোনেদের সকলকে আজ মা উমিয়া মন্দিরের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র এই মুহূর্তে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!
 
মাতা উমিয়া ধাম মন্দিরের শিলান্যাসের সুযোগ আমার হয়েছিল। আমি গত বছর ডিসেম্বরে উমিয়া ধাম ক্যাম্পাসের শিলান্যাস করেছিলাম। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অনুষ্ঠানে আপনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আসলে, স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। যাইহোক, এটা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমি দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। 
 
আজ চৈত্র নবরাত্রির নবম তিথি। মা সিদ্ধিদাত্রী আপনাদের সকলের মনস্কামনা পূরণ করুন, আমি এই কামনাই করি। আমাদের গিরনার ধ্যান ও তপস্যার পূর্ণভূমি। গিরনার ধামে মা আম্বা বিরাজমান। ভবগান দত্তাত্রেয় এখানেই বিরাজমান, এজন্য আমি পবিত্র এই ভূমির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। মায়ের আশীর্বাদে আমরা সকলেই গুজরাটের জন্য সর্বদাই সজাগ থেকেছি। আমরা গুজরাটের সার্বিক ও উন্নয়নে সচেষ্ট থেকেছি এবং এই রাজ্যটির সার্বিক কল্যাণে বিভিন্নভাবে আবেদন রেখেছি।
 
আমি সর্বদাই সমবেত শক্তির প্রভাব অনুভব করেছি। আজ অযোধ্যা সহ সারা দেশে ভগবান রামচন্দ্র জীর প্রগত্য মহোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। আমাদের কাছে এই মহোৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হওয়া আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি গত ৩৫ বছর ধরে মাতা উমিয়া দেবীর পায়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি। ২০০৮-এ এই মন্দির উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। পবিত্র এই মন্দির সর্বদাই পূজার্চনার কেন্দ্র হয়ে থেকেছে। এই মন্দির সামাজিক চেতনা, এমনকি পর্যটনের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আজ ওই মন্দির চত্ত্বরে ৬০টির বেশি কক্ষ, একাধিক বৈবাহিক অনুষ্ঠানের হল এবং একটি বড় রোস্তোরাঁ রয়েছে। মা উমিয়া দেবীর আশীর্বাদে পূণ্যার্থী ও সমাজের সমস্ত চাহিদা পূরণে আপনারা আন্তরিক প্রয়াসী হয়েছেন। এজন্য আমি মন্দির পরিচালন অছি পরিষদ, রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং উমিয়া দেবীর ভক্তদের অভিনন্দন জানাই। মাত্র ১৪ বছরের অল্প সময়েই এই মন্দিরের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে।
 
আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই গ্রহ আমাদের মা। তাই, আমি যদি উমিয়া মাতার ভক্ত হই, তাহলে মাতৃস্বরূপা এই গ্রহকে আঘাত করার কোনো কারণ নেই। আমরা কোনো কারণ ছাড়াই কি বাড়িতে মায়ের হাতে ওষুধ তুলে দিই বা তাকে রক্ত দিই? আমরা জানি মা ঠিক যতটা চাইবেন, ঠিক ততটাই দিতে হবে। কিন্তু আমরা যদি এটা ধরে নি মাতৃস্বরূপা এই গ্রহ ঠিক কোনটা চাইছেন, তা যদি পুরণ করতে না পারি, তাহলে মা কি আমাদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হবেন না?
 
মায়ের সঙ্গে এই বিচ্ছিন্ন হওয়ার দরুণ আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই মাতৃস্বরূপা এই গ্রহকে বাঁচাতে আমাদের ব্যাপক অভিযান গ্রহণ করতে হবে। আমরা অতীতে জলসঙ্কটের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। একসময় আমাদের প্রায় প্রতি বছরই খরার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমরা জলসংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা বাঁধ বানিয়েছি, জল সংরক্ষণ করছি, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গড়ে তুলেছি এবং সাউনি কর্মসূচি রূপায়ণ করেছি। 
 
আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একথা বলতাম যে কিভাবে আমার রাজ্যে জলের যোগান সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই কাজে অর্থের সদ্ব্যাবহার হয়েছে। সরকারে থাকালীন সময়ে আমাদের বেশিরভাগ সময়ই জলের যোগান নিশ্চিত করতে কেটে গেছে। এমনকি কয়েকটি রাজ্য আমাদের পরিকল্পনা দেখে আশ্চর্য হয়েছে, আসলে তারা এধরণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনই ছিল না। আমরা ধীরে ধীরে এই সময় থেকে বেরিয়ে এসেছি। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা যে গণ অভিযান শুরু করেছিলাম তাতে আমরা সফল হয়েছি। প্রকৃত পক্ষে এই গণ অভিযানই ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণে। আজ এখানে সর্বত্রই জল সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করি জল সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের উদাসীন থাকা উচিত নয়। জল সংরক্ষণের কাজ বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে। এজন্য পুকুরগুলি আরও গভীর করতে হবে এবং নর্দমাগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমরা এই কাজগুলি যদি করতে পারি, তাহলে জল ভূগর্ভে পুনরায় সঞ্চিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে। এখন আমাদের ভাবতে হবে কিভাবে আমরা বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক পদার্থ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। এই কাজ দ্রুত করা সম্ভব না হলে একদিন আমাদের এই গ্রহ বলবে যথেষ্ট হয়েছে, আমি আর আপনাদের সেবা দিতে পারছি না। আপনি যতই ঘাম ঝরান না কেন বা যত মূল্যবান বীজই বপন করুণ না কেন, ভালো পরিণাম তখনই মিলবে যখন আমরা মাতৃস্বরূপা আমাদের এই গ্রহকে সুরক্ষিত রাখতে পারবো। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমরা গুজরাটে এমন একজন রাজ্যপালকে পেয়েছি, যিনি সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক কৃষিকাজের পক্ষে। আমাকে এটা জানানো হয়েছে যে, রাজ্যপাল গুজরাটের প্রতিটি ব্লকে গিয়েছেন এবং প্রাকৃতিক কৃষিকাজের ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করতে সভা করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, রুপালা জি যখন আমাকে বলছিলেন লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রাকৃতিক কৃষিকাজের পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং তারা এধরণের কৃষি পদ্ধতি আপন করে নিয়ে গর্বিত বোধ করছেন। এটা সত্যি যে প্রাকৃতিক কৃষিকাজ খরচ কমায়। এখন আমাদের মৃদুভাষী ও দৃঢ়চেতা মুখ্যমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করা আমাদের কর্তব্য। গুজরাটের প্রতিটি গ্রামের কৃষকরা প্রাকৃতিক কৃষি কাজে এগিয়ে আসুক। কেশুভাই এবং আমি জল সংরক্ষণ সম্পর্কে যে কাজ করেছি একইভাবে ভূপেন্দ্রভাই জি মাতৃস্বরূপা এই গ্রহের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। 
 
মাতৃস্বরূপা এই গ্রহের সুরক্ষায় গুজরাটবাসীকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমি এটা আগেও দেখেছি যে, আপনারা যখনই কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তথন তা থেকে পিছিয়ে আসেন নি। উনঝা জেলায় আমার বেটি বাঁচাও কর্মসূচির কথা মনে পড়ছে। আমি সেসময় খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। মা উমিয়ার মন্দির শহরে শিশু কন্যাদের সংখ্যা ক্রমশ কমছিল। সেসময় আমি মা উমিয়ার চরণ ছুঁয়ে প্রণাম জানিয়েছিলাম এবং শিশু কন্যাদের রক্ষায় সাধারণ মানুষের অঙ্গীকার চেয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত খুশি যে, মা উমিয়ার ভক্ত এবং সমগ্র গুজরাট শিশু কন্যাদের সুরক্ষায় দৃঢ় সংকল্প নিয়েছিল। এর ফলস্বরূপ ভ্রণ হত্যা এবং শিশু কন্যাদের সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠেছিল। আজ আপনারা গুজরাটের মেয়েদের সাফল্য দেখতে পাচ্ছেন। মহেসনা থেকে আমাদের বিদ্যাঙ্গ কন্যা অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন এবং সেখানে গর্বের সঙ্গে ভারতের পতাকা তুলে ধরেছেন। এবার গুজরাট থেকে ৬ জন কন্যা অলিম্পিকে গিয়েছিল। তাই এরা কি আমাদের কাছে গর্বের নয়? আমি মনে করি মা উমিয়া দেবীর প্রতি প্রকৃত নিষ্ঠা আমাদের শক্তি জুগিয়েছে এবং সেই শক্তি সম্বল করেই আমরা এগিয়ে চলেছি। আমরা প্রাকৃতিক কৃষি কাজে যত বেশি গুরুত্ব দেবো আসলে আমরা ভূপেন্দ্রভাই জিকে ততটাই সাহায্য করবো। শুধু তাই নয়, আমাদের মাতৃস্বরূপা এই গ্রহ ততই বিকশিত হবে। পক্ষান্তরে গুজরাটেরও উন্মেষ ঘটবে। গুজরাটের অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বিকাশেরও সম্ভাবনা রয়েছে। 
 
আমার আরও একটি বিষয়ের কথা মাথায় রয়েছে এবং সেটি হলো অপুষ্টি। এটা একেবারেই ভালো নয় যে, গুজরাটের শিশুরা অপুষ্টিতে থাকুক। মা ছেলেকে বলে খেয়ে নিতে, কিন্তু সে খায় না। আসলে এটা দারিদ্র নয়, বরং খাওয়ার অভ্যেসের উপরেই দেহের পৌষ্টির মাত্রা নির্ভর করে। একজন মেয়ের যদি রক্তাল্পতা থাকে এবং তার যদি ২০-২২-২৪ বছরে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুটি বাড়বে কিভাবে। মায়ের শরীর যদি শক্ত-সমর্থ না হয়, তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুটিরই কিহবে। তাই আমাদের প্রত্যেক শিশু এবং প্রত্যেক কন্যার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
 
আমার বিশ্বাস, মা উমিয়া দেবীর প্রত্যেক ভক্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে এটা সুনিশ্চিত করবেন যে, যাতে সমাজের কোনো শিশুই যেন অপুষ্টির শিকার না হয়। যদি একটি শিশু সুস্থসবল হয় তাহলে তার পরিবারও স্বাস্থ্যবান হবে। একইভাবে একটি সমাজ যদি সুস্থসবল হয় তাহলে দেশও স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে। আজ আপনারা পটোৎসব উদযাপন করছেন এবং রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন। এবার আরও একটা কাজ করুন। মা উমিয়া ট্রাস্টের মাধ্যমে আপনারা গ্রামে গ্রামে সুস্থ সবল শিশু সম্পর্কে প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। ২-৪ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করুন এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করুন। তাহলে দেখবেন পুরো পরিস্থিতিটাই পাল্টে গেছে। আসলে এই উদ্যোগ ছোটো হলেও, আমরা তা থেকে অনেক ভালো কিছু করতে পারি। এখানে অনেক বৈবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজনের হল বা কক্ষ তৈরি হয়েছে বলে আমি জেনেছি। সারা বছর ধরেই বৈবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয় না। তাহলে যে সময় কোনো বৈবাহিক অনুষ্ঠান থাকবে না, তখন এই হলগুলি কিভাবে ব্যবহৃত হবে। আমরা এই হলগুলি দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাজে লাগাতে পারি। সপ্তাহে এক ঘণ্টা বা দু ঘণ্টা করে এখানে তাদের শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। একইভাবে এই কক্ষগুলিকে যোগচর্চার কেন্দ্র হিসেবেও কাজে লাগানো যেতে পারে। একজন ভক্ত সকালে মা উমিয়া দেবীর কাছে গিয়ে সেখান থেকে এসে এক বা দুই ঘণ্টা এখানে যোগাভ্যাস করতে পারেন। তাই আমার মনে হয়, এই হলগুলির পূর্ণ সদ্ব্যাবহার তখনই সম্ভব হবে যখন প্রকৃত অর্থেই সামাজিক চেতনা গড়ে উঠবে। অবশ্য আমাদের এই লক্ষ্যে প্রয়াস গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে। 
 
আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। তাই এই সময় আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ২০৪৭-এ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব তখন, আমাদের গ্রামগুলি, আমাদের সমাজ এবং আমাদের দেশকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারি, তা নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে ও দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। অমৃত মহোৎসবের মাধ্যমে আমারা সমাজে এই চেতনা জাগ্রত করতে পারি। আমার এটা মনে হয়, স্বাধীনতা ৭৫ তম বার্ষিকী উদযান উপলক্ষে আমরা প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর তৈরি করতে পারি। পুরানো সরোবরগুলিকে আকারে আরও বড় করতে পারি, সেগুলি আরও গভীর করতে পারি। একটি জেলাতেই ৭৫টি সরোবর! কল্পনা করতে পারছেন, দেশ যখন ২৫ বছর পর স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন আগামী প্রজন্ম এসব দেশে আশ্চর্য হবে। তাই মা উমিয়া দেবীর আর্শিবাদে আমরা প্রতিটি জেলায় ৭৫টি সরোবর গড়ে তোলার অভিযান গ্রহণ করতে পরি। এটা প্রমাণ করে দিয়েছি যে আমরা হাজার হাজার বাঁধ গড়ে তুলতে পারি। আসলে এগুলি সবই সমাজকে প্রেরণা দেয়। প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট প্রতিটি সরোবরের সামনে গ্রামের একজন বরিষ্ঠ ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে দিয়ে পতাকা উত্তলোন করা যেতেই পারে। 
 
আজ ভগবান রামচন্দ্র জির জন্মবার্ষিকী। আমরা যখন ভগবান রামচন্দ্র জির কথা স্মরণ করি, তখন আমাদের শবরী, কেওয়াত, নিশাদ প্রভৃতির কথা মনে পড়ে। মা উমিয়া দেবীর ভক্তরাও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণী মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করবেন এবং তাদের কল্যাণে ব্রতী হবেন। রাম, ভগবান রাম ও পুরুষোত্তম হয়ে উঠেছিলেন কারণ তিনি সমাজের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়েছিলেন। মা উমিয়া দেবীর ভক্তরা নিজের কল্যাণ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি এটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন যে, কোনো ব্যক্তিই যেন অগ্রগতির সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন। আর কেবল তাহলেই আমাদের অগ্রগতি প্রকৃত অর্থেই সর্বব্যাপী হয়ে উঠবে। তাই কোনো ব্যক্তি যদি উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হন তাহলে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়। আর এজন্যই আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা যদি অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে চাই তাহলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের কল্যাণও সুনিশ্চিত করতে হবে। 
 
ভগবান রামের প্রগত্য মহোৎসব এবং মা উমিয়া দেবীর পটোৎসব উপলক্ষে অগুণিত মানুষ আজ এখানে সমবেত হয়েছেন। আমরা কোভিড মহামারীর অতিকায় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু বিপদ এখনও কাটেনি। এখনও কোথাও কোথাও আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এসম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তাই আমাদের বিন্দুমাত্র উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে যে ভারতে ১৮৫ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আসলে এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক সহযোগিতার ফলেই। তাই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনে অভিযান গ্রহণ করেছি। কিন্তু কেন এই অভিযান স্বভাবসিদ্ধ হয়ে উঠবে না! আমরা গরুর পুজো করি। আমরা মাতা উমিয়া দেবীর ভক্ত। আমরা পশু-পাখিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। তাই মা উমিয়া দেবীর ভক্ত হিসেবে এটা আমাদের কাছে কখনই গ্রহণযোগ্য নয়, যখন আমরা দেখি কোনো গরু প্লাস্টিক খাচ্ছে। এই বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আপনারা অনেক সমাজসেবামূলক কাজ গ্রহণ করেছেন জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ধর্মীয় উদ্দীপনার পাশাপাশি আপনারা রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন। এই কাজে আপনারা নবীন প্রজন্মকেও সামিল করেছেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা। আমি আপনাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। 
 
আপনাদের সকলকে অনেক শুভেচ্ছা! মাতা উমিয়া দেবীর চরণে আমার প্রণাম!
 
ধন্যবাদ!
 
বিঃদ্রঃ : এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আক্ষরিক অনুবাদ নয়। মূল ভাষণ তিনি গুজরাটিতে দিয়েছিলেন। 
 
CG/BD/SKD/

(Release ID: 1816688) Visitor Counter : 210