শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

কৃষি পণ্য রপ্তানিতে কেন্দ্রের উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে

Posted On: 07 MAR 2022 3:04PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ মার্চ, ২০২২


কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতের কৃষিজ পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সামগ্রীর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ১০ মাসে বিগত অর্থবর্ষের এই সময়কালের তুলনায় রপ্তানি মার্কিন ডলারের হিসাবে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড্ ফুড প্রোডাক্টস্ এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এপিইডিএ) সূত্রে জানা গেছে, বিগত অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে খাদ্যশস্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে ১৫৯৭ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার। সেখানে বর্তমান অর্থবর্ষে এই রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯৭০ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এপিইডিএ – এর আওতায় পণ্য সামগ্রী রপ্তানির পরিমাণ ধার্য করেছে ২৩৭১ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার।

এই সময়কালে চাল রপ্তানি করে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে চাল রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৬৭৯ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবর্ষে এই সময়কালে চাল রপ্তানি ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৬৯ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার।

গম রপ্তানিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে গম রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩৫ কোটি ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবর্ষে এই সময়কালে গম রপ্তানি ৩৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭৪ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বিগত অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে খাদ্যশস্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৫৭ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সময়কালে সেই রপ্তানি ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৬ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার।  

মাংস, দুগ্ধজাত সামগ্রী ও পোল্ট্রি পণ্যের রপ্তানিও এই সময়কালে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে সংশ্লিষ্ট কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩০০ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবর্ষে এই সময়কালে এগুলি রপ্তানি ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বিগত অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে ফল ও শাকসব্জি রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১০৩ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবর্ষে এই সময়কালে সংশ্লিষ্ট পণ্য সামগ্রী রপ্তানি ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২০ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে প্রক্রিয়াজাত ফল ও শাকসব্জি রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১১৪ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবর্ষে এই সময়কালে সেই রপ্তানি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২৬ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার।

সরকার, কৃষকের আয় বৃদ্ধির যে উদ্যোগ  নিয়েছে, কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে, ভারত থেকে খাদ্যশস্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এপিইডিএ কৃষি পণ্য রপ্তানি নীতি বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কেরল, নাগাল্যান্ড, তামিলনাডু, আসাম, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মণিপুর, সিকিম, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্য-ভিত্তিক রপ্তানি নীতি চূড়ান্ত হয়েছে।

এপিইডিএ বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এছাড়াও, ভারতীয় দূতাবাসগুলির সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনও পণ্যের চাহিদা তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলস্বরূপ, কৃষি পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এপিইডিএ ভৌগোলিক সূচক বা জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন নিবন্ধীকৃত খাদ্যশস্যের বিষয়ে বিশ্ব জুড়ে প্রচার চালিয়েছে। খাদ্য রপ্তানি করার সময় যাতে খাদ্যের গুণমান যাতে বজায় থাকে, তার জন্য ২২০টি পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হয়েছে।  

এইসব উদ্যোগের পাশাপাশি, এপিইডিএ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভারতীয় রপ্তানিকারকদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়াও, জাতীয় স্তরে ‘আহার’ অর্গানিক ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস, বায়োফ্যাক ইন্ডিয়ার মতো সম্মেলনের আয়োজন করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের নির্ধারিত গুণমান বজায় রাখার জন্য এপিইডিএ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলি নিবন্ধীকরণ নিশ্চিত করেছে। এর সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।



CG/CB/SB



(Release ID: 1803679) Visitor Counter : 261