প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ওমিক্রনের প্রভাবে ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী দেশে কোভিড-১৯ মহামারীজনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন


জেলাস্তরে যথাযথ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

মিশন মোড ভিত্তিতে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের জন্য টিকাকরণ অভিযান ত্বরান্বিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ভাইরাসের চরিত্র লাগাতার পালটাচ্ছে, এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে জেনোম সিকোয়েন্সিং সহ পরীক্ষানিরীক্ষা, টিকা এবং ওষুধপত্রের ক্ষেত্রে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

কোভিড-ব্যতীত চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করা তথা প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিষেবার জন্য টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থার প্রয়োগ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

রাজ্য-ভিত্তিক পরিস্থিতি, সেরা পন্থাপদ্ধতি এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে আমাদের বর্তমান লড়াইয়ে কোভিড আদর্শ আচরণবিধিগুলি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে জন-আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 09 JAN 2022 7:49PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি, ২০২২
 
দেশে কোভিড-১৯ মহামারীজনিত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্স ক্ষেত্রের বর্তমান প্রস্তুতি, দেশে টিকাকরণ অভিযানের হাল-হকিকৎ তথা কোভিড-১৯-এর নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের প্রকোপ এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন। 
 
পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সারা বিশ্বে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি সম্পর্কে এক বিস্তারিত বিবরণী পেশ করেন। এরপর, আক্রান্তের সংখ্যায় দ্রুত বৃদ্ধি ও আক্রান্তের হার বেশি – এই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজ্য ও জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সবরকম সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যেসব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। বৈঠকে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে যে আগাম অনুমান করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
 
আপৎকালীন কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা প্যাকেজ (ইসিআরপি-II)-এর আওতায় রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো, অক্সিজেন ও আইসিইউ বেডের পর্যাপ্ত যোগান তথা অত্যাবশ্যকীয় কোভিড ওষুধপত্রের লভ্যতা সুনিশ্চিত করতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত বিবরণ পেশ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জেলা পর্যায়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি আধিকারিকদের এই প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
 
দেশে বর্তমানে ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাকরণ অভিযান চলছে। এই প্রেক্ষিতে লাগাতার যে প্রয়াস গ্রহণ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বলা হয়েছে যে, অভিযান শুরু হওয়ার সাতদিনের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন ৩১ শতাংশ ছেলে-মেয়েকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, এই অগ্রগতি ধরে রেখে মিশন মোড ভিত্তিতে টিকাকরণ অভিযানের গতি ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেন। 
 
বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, যে সমস্ত এলাকা থেকে এখনও কোভিড আক্রান্তের ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন আরও নিবিড় করার পাশাপাশি, কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে এবং পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী নতুন এই আবহে মাস্কের ব্যবহার এবং দৈহিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ওপরও জোর দেন। তিনি, স্বল্প উপসর্গ / উপসর্গ-বিশিষ্ট আক্রান্ত রোগীদের হোম আইসোলেশন বা বাড়িতে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে সামুদায়িক সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্য-ভিত্তিক পরিস্থিতি, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সেরা পন্থাপদ্ধতি এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলি নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী কোভিড আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি, কোভিড-ব্যতীত স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
 
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা যে নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী, অগ্রভাগে থাকা করোনা যোদ্ধাদের জন্য ‘প্রিকশন ডোজ’, পরিভাষায় ‘বুস্টার ডোজ’ দেওয়ার গতি বাড়াতে মিশন মোড ভিত্তিতে কাজ করার পরামর্শ দেন।
 
ভাইরাসের চরিত্র লাগাতার পালটাচ্ছে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে জেনোম সিকোয়েন্সিং সহ নমুনা পরীক্ষা, টিকা এবং ওষুধপত্রের ক্ষেত্রে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
 
আজকের এই পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য, বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি.কে.পল, ক্যাবিনেট সচিব শ্রী রাজীব গৌবা, স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী এ.কে.ভাল্লা, স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ, জৈব-প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব ডঃ রাজেশ গোখলে, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের মহানির্দেশক ডা. বলরাম ভার্গব সহ ফার্মাসিউটিক্যালস দপ্তর, অসামরিক বিমান পরিবহণ ও বিদেশ মন্ত্রকের সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ছাড়াও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা যোগ দেন।
 
 
CG/BD/DM/


(Release ID: 1788915) Visitor Counter : 149