প্রতিরক্ষামন্ত্রক

সার্ভের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১৭.৭৮ লক্ষ একর জমিতে সার্ভের কাজ করেছে

জমি-জমা সংক্রান্ত বৃহত্তম এই সার্ভের ফলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে সুবিধা হবে

Posted On: 09 JAN 2022 10:23AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৯  জানুয়ারি, ২০২২

 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স এস্টেট অফিসের নথিপত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মন্ত্রকের ১৭.৯৯ লক্ষ একর জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৬২টি প্রজ্ঞাপিত ক্যানটনমেন্ট এলাকায় ১.৬১ লক্ষ একর জমি রয়েছে। ক্যানটনমেন্টের বাইরে বিভিন্ন স্থানে যে ১৬.৩৮ লক্ষ একর জমি আছে তার মধ্যে ১৮ হাজার একর জমি রাজ্য সরকারগুলি বা অন্যান্য সরকারি দপ্তর ব্যবহার করে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমির সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং সঠিকভাবে সীমা নির্ধারণের জন্য জমির সার্ভে করার প্রয়োজন রয়েছে। এর সাহায্যে জমি সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য, মানচিত্র তৈরি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমি অবৈধভাবে কেউ ব্যবহার করলে তা চিহ্নিত করা সম্ভব। মূলত এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে ২০১৮এর অক্টোবর থেকে মন্ত্রকের জমি সার্ভে করার কাজ শুরু হয়। স্বাধীনতার পর এই প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমি সার্ভে করা হলো। একাজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের রাজস্ব সংগ্রহকারী দপ্তরগুলিও এই কাজে সাহায্য করেছে। দেশজুড়ে ৪ হাজার ৯০০টি অঞ্চলে সার্ভের কাজ করা হয়। এই কাজে ইলেট্রনিক টোটাল স্টেশন (ইটিএস) এবং ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (ডিজিপিএস)এর মতো সার্ভের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ড্রোন ও কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমেও নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো রাজস্থানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের লক্ষ লক্ষ একর জমি সার্ভে করার জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হলো। সার্ভেয়ার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সহায়তায় পুরো কাজটি করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগেছে। আগে এই কাজ করতে কয়েক বছর লেগে যেতো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন স্থানে থাকা জমির বিষয়ে কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যও নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের সহযোগিতায় ত্রিমাত্রিক মডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমির সার্ভের কাজ করা হয়।

পাশাপাশি হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের সহায়তায় কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যেসব জমি অবৈধ দখলদারদের কাছে চলে গেছে সেগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য রাজস্ব আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর জিও ইনফোমেটিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলি  সার্ভের কাজে  সহায়তা করেছে। জমি সংক্রান্ত সমীক্ষার এই কাজটিতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডিফেন্স এস্টেট ম্যানেজমেন্ট সাহায্য করেছে। এই বিপুল কর্মযজ্ঞটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া এতো দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হতোনা। আজাদী অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রকের জমির সার্ভে করার যে কাজ শুরু করেছে এটি সেই উদ্যোগেরই ফসল।  

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1788762) Visitor Counter : 174