প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মাহোবা'তে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন


এই সরকার গত ৭ বছরে কিভাবে দিল্লির বন্ধ দরজা খুলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গেছে মাহোবা তা প্রত্যক্ষ করেছে

কৃষকদের সর্বদাই কিছু সমস্যায় জড়িয়ে রাখাই ছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য; তারা সমস্যার রাজনীতি করতো, কিন্তু আমরা সমস্যা সমাধানের জাতীয় নীতি অনুসরণ করি

এই প্রথম বুন্দেলখন্ডের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন যে, সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে; বিগত সরকারগুলি উত্তরপ্রদেশকে লুঠ করে ক্লান্ত হয়নি, কিন্তু আমরা কাজ করে অবসন্ন হয়নি

বংশানুক্রমিক সরকার রাজ্যের কৃষকদের কেবল বঞ্চনাই দিয়েছে; তারা কৃষকদের নামে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছে, কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি

কর্মযোগীর ডবল ইঞ্জিন সরকার বুন্দেলখন্ডের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছে

Posted On: 19 NOV 2021 4:18PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের মাহোবাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের সর্বত্র জলের ঘাটতি দূর করবে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে - অর্জুন সহায়ক কর্মসূচি, রাতাউলি নদী বাঁধ কর্মসূচি, ভাউনি বাঁধ কর্মসূচি এবং মাঝগাঁও - চিল্লি স্প্রিংলার কর্মসূচি। এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ খাতে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হলে মাহোবা, হামিরপুর, বান্দা ও ললিতপুর জেলায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পৌঁছে যাবে এবং লক্ষ লক্ষ কৃষক লাভবান হবেন। সেচ সুবিধার পাশাপাশি এই প্রকল্পগুলি থেকে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সুবিধা মিলবে। এই উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ও রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী গুরু নানক দেবজীর প্রকাশ পুরবে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গুরু নানক দেবজী দাসত্বের সময় দেশে এক নতুন চেতনা জাগ্রত করেছিলেন। শ্রী মোদী ভারতের মহিয়সী ও বুন্দেলখন্ডের গর্ব রানি লক্ষ্মীবাইকেও স্মরণ করেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকার গত ৭ বছরে কিভাবে দিল্লির বন্ধ দরজা খুলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গেছে মাহোবা তা প্রত্যক্ষ করেছে। মাহোবা এমন অনেক কর্মসূচি ও সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে, যা দেশের দরিদ্র মা, বোন, কন্যাদের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী তিন তালাকের কুপ্রথা থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিতে তাঁর অঙ্গিকারের কথা স্মরণ করে বলেন, এই মাহোবা থেকেই তিনি তিন তালাক প্রথা দূর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর এই মাহোবা থেকেই তিনি উজ্জ্বলা যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়েরও সূচনা করেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী খেদ প্রকাশ করে বলেন, কিভাবে সমগ্র এই অঞ্চল জলের সমস্যার এক বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কিভাবে এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিহাসের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, একসময় এই অঞ্চল জলসম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সুবিদিত ছিল। ধীরে ধীরে বিগত সরকারগুলির আমলে সমগ্র এই অঞ্চলের প্রতি অবহেলা দেখানো হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি তখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, সাধারণ মানুষ তাদের কন্যাদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে লজ্জিত হতেন। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের মেয়েরা মনে মনে প্রত্যাশা করতো তাদের বিয়ে যেন এমন জায়গায় হয়, যেখানে জলের প্রাচুর্য রয়েছে। মাহোবার মানুষ, বুন্দেলখন্ডের মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর জানতেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত সরকারগুলি বুন্দেলখন্ডে লুঠতরাজ চালিয়ে তাদের পরিবারের ভাল করেছে। তারা কখনই নিজের পরিবারে জলের সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হত না। দশকের পর দশক বুন্দেলখন্ডের মানুষ এটা দেখেছেন যে, কিভাবে সরকার তাদের বঞ্চিত করেছে। কিন্তু এই প্রথম বুন্দেলখন্ডের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন, বর্তমান সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। বিগত সরকারগুলি উত্তরপ্রদেশকে লুঠ করে ক্লান্ত হয়নি। আর আমরা কাজ করে অবসন্ন হচ্ছি না। শ্রী মোদী বলেন, মাফিয়ারা যখন বুলডোজারের মুখোমুখি হচ্ছেন তখন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা কাঁদতে শুরু করেছে। অবশ্য, তাদের অভিব্যক্তি ও কান্না রাজ্যে উন্নয়নের যে কাজ চলছে তা কখনই থামাতে পারবে না। 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকদের সমস্যায় জর্জরিত করাই ছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য। আসলে তারা সমস্যার রাজনীতি করে। কিন্তু আমরা সমস্যা সমাধানের জাতীয় নীতি অনুসরণ করি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমাদের সরকার কেন্-বেতওয়া লিঙ্কের সমাধান সূত্র খুঁজে পেয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বংশানুক্রমিক সরকার রাজ্যের কৃষকদের কেবল বঞ্চনাই দিয়েছে; তারা কৃষকদের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে, কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি ও অন্যান্য অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা রাজ্যের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জমা করেছি। 
 
শ্রী মোদী বলেন, সরকার সমগ্র এই অঞ্চলকে কর্মসংস্থানের দিক থেকে আত্মনির্ভর এবং বুন্দেলখন্ডের মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া বন্ধ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে এবং উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 
 
এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মযোগীর ডবল ইঞ্জিন সরকারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়নে তিনি অঙ্গিকারবদ্ধ। 
 
 
CG/BD/AS/


(Release ID: 1773588) Visitor Counter : 155