প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ের মূল অংশ

Posted On: 03 AUG 2021 3:39PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩ আগস্ট, ২০২১

নমস্কার !
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রূপানী জি, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীন ভাই প্যাটেল জি, সংসদে আমার সহকর্মীরা, গুজরাট বিজেপির অধ্যক্ষ শ্রীমান সি. আর. প্যাটেল জি, পিএম গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীরা, ভাই ও বোনেরা !
বিগত বছরগুলিতে বিকাশ এবং বিশ্বাসের প্রতিনিয়ত পথ চলা শুরু হয়েছিল। আজ তার ফলে রাজ্য এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গুজরাট সরকার আমাদের বোনেদের, আমাদের কৃষকদের, আমাদের গরীব পরিবারগুলির মঙ্গলের জন্য প্রতিটি প্রকল্পকে সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আজ গুজরাটের লক্ষ লক্ষ পরিবার পিএম গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে একসঙ্গে বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহামারীর এই সময়ে বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার ফলে গরীব মানুষদের অন্ন সংস্থানের চিন্তা কম হয়। তাঁদের বিশ্বাস বাড়ে। এই প্রকল্প আজকে থেকে শুরু হয় নি, এই প্রকল্প গত এক বছর ধরে চলছে। এর ফলে দেশের কেউ অভুক্ত থাকছেন না।
আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা,
গরীব মানুষের মনে আজ আস্থা তৈরি হয়েছে। এই বিশ্বাসের, কারণ, তাঁরা মনে করছেন, সঙ্কট যতই বেশি হোক না কেন, দেশ তাঁদের পাশে রয়েছে। কিছু আগে আমার কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। সেই সময় আমি বুঝতে পারি, তাঁরা নতুন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি সরকারই গরীব মানুষদের সস্তায় খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা বলে এসেছে। প্রতি বছর সস্তায় রেশন পাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়, প্রতি বছরই বাজেটের পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু এর ফলে যতটা প্রভাব দেখা যাওয়ার কথা, তা হয় নি। এর প্রভাব খুব কম বোঝা গেছে। দেশের খাদ্য সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়েছে। অথচ অভুক্ত থাকা বা অপুষ্টিতে ভোগার পরিমাণ যতটা কম হওয়া উচিত ছিল, ততটা হয় নি। এর একটি কারণ সঠিক বন্টন প্রক্রিয়া মেনে চলা হয় নি, বেশ কিছু ত্রুটি নজরে এসেছে। কিছু সংস্থাও তৈরি হয়, যাদের স্বার্থের বিষয়টিও এই প্রকল্পর সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০১৪ সালের পর থেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পরিবর্তনমূলক কাজগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে। কোটি কোটি ভুয়ো সুবিধাভোগীকে এই ব্যবস্থা থেকে সরানো হয়েছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে সরকারী রেশন দোকানগুলিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন জিনিস কেনা বেচা হচ্ছে। আর আমরা সবাই সেই প্রভাব বুঝতে পারছি।
ভাই ও বোনেরা,
একশো বছরের মধ্যে সব থেকে বড় বিপর্যয় শুধু ভারতের সমানে নয়, সারা বিশ্বের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, সারা মানব জাতির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। জীবিকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে, করোনা লকডাউনের কারণে রুজি রোজগার বন্ধ করতে হয়েছে। কিন্তু দেশ তার নাগরিকদের অভুক্ত থাকতে দেয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংক্রমণের সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ বিপুল খাদ্য সঙ্কটের মুখোমুখি। কিন্তু ভারত, সংক্রমণের প্রথম দিন থেকে এই সমস্যার বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা বিশ্বে সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। মহামারীর এই সময়ে ভারত, ৮০ কোটির বেশি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করায় বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দেশ, এই প্রকল্পে ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি, তা হল একজন ভারতীয়ও যেন অভুক্ত না থাকেন। ২ টাকা কেজি গম এবং ৩ টাকা কেজি চাল দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে বিনামূল্যে ৫ কেজি গম বা চাল দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যাদের রেশন কার্ড আছে, তারা এই প্রকল্প শুরু হওয়ার আগে যে পরিমাণ রেশন পেতেন, এখন প্রায় তার দ্বিগুণ রেশন পান। এই প্রকল্পটি দীপাবলী পর্যন্ত চলবে, কোনো গরীব মানুষকে রেশনের জন্য পয়সা দিয়ে হবে না। গুজরাটেও প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ সুবিধাভোগী বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সব শ্রমিক এখানে কাজ করতে এসেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমি গুজরাট সরকারের প্রশংসা করি। এই প্রকল্প থেকে করোনার লকডাউনের জন্য যে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছিলেন, তাঁরা উপকৃত হয়েছেন। অন্য রাজ্য থেকে যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের অনেকের রেশন কার্ড ছিল না, থাকলেও সেটি অন্য রাজ্য়ের ছিল। দেশের প্রথম যে কটি রাজ্যে এক দেশ, এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হয়েছে, গুজরাট, তাদের মধ্যে অন্যতম। গুজরাটে কর্মরত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এক দেশ, এক রেশন কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন।
ভাই ও বোনেরা,
একটা সময় ছিল যখন দেশের উন্নয়ন বড় বড় শহরগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। আর সেই উন্নয়নের অর্থ ছিল, বড় বড় শহরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় উড়ালপুল ও রাস্তা বানানো এবং মেট্রো রেলের কাজ করা। গ্রাম বা ছোট ছোট শহরের কথা ভাবাই হত না। আর আমাদের বাড়ির বাইরে যে কাজ হত, যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো যোগাযোগ ছিল না, তাকেই উন্নয়ন হিসেবে মেনে নেওয়া হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের এই ভাবনা বদলেছে। আজ দেশ দুই দিশায় কাজ করতে চায়। দুটি লাইন দিয়ে সমান ভাবে যেতে চায়। দেশে নতুন নতুন পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে। পরিকাঠামো নির্মাণে লক্ষ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, তার সঙ্গে মানুষের রোজগার নিশ্চিত হচ্ছে, কিন্তু একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলাচ্ছে, সহজ জীবনযাত্রার জন্য নতুন মানদন্ড নির্ধারিত হয়েছে। দরিদ্র মানুষদের ক্ষমতায়নকে আজ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যখন ২ কোটি দরিদ্র পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, তখন এই মানুষগুলি শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার ভয় থেকে মুক্ত হচ্ছেন, শুধু তাই নয়, যখন নিজের বাড়ি হচ্ছে, তখন আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার পথ তৈরি হচ্ছে। নতুন সংকল্প নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সেই মানুষটি তখন কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত হচ্ছেন। যখন ১০ কোটি মানুষ খোলা স্থানে শৌচকর্ম করতে যাচ্ছেন না, তখন তার অর্থ এটাই দাঁড়ায় যে, জীবনের মানোন্নয়ন ঘটেছে। আগে দরিদ্র মানুষেরা মনে করতেন, বড়লোকদের বাড়িতেই শুধু শৌচাগার থাকে। কখন অন্ধকার হবে, তার জন্য তারা বসে থাকতেন। আর তার পর প্রাকৃতিক কাজকর্ম খোলা জায়গায় গিয়ে সারতেন। কিন্তু যখন দরিদ্র মানুষ শৌচাগার পেয়েছেন, তারা তখন ধনীদের সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারছেন এবং নতুন একটি আস্থা তৈরি হচ্ছে। একইভাবে যখন দরিদ্র মানুষ জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছেন, মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর সুবিধে পাচ্ছেন, তখন তাদের ক্ষমতায়ন ঘটেছে। আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে –
সামর্থ মূলম
সুখমেব লোকে।
অর্থাৎ আমাদের সামর্থের মাধ্যমে আমাদের জীবনে সুখ আসে। আমরা সুখের পিছনে দৌড়ে, সুখকে নিজেদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবো না। তার জন্য আমাদের নির্ধারিত কাজ করতে হবে, কিছু অর্জন করতে হবে। একইভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুবিধা এবং মর্যাদা ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। যখন আয়ুষ্মান ভারতের মধ্য দিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান, তখন তাঁরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। যখন পিছিয়ে পড়া মানুষরা সংরক্ষণের সুবিধে পান, তখন শিক্ষার মাধ্যমে তারা ক্ষমতাশালী হন, যখন গ্রাম এবং শহরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যখন দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস এবং বিদ্যুৎ-এর সংযোগ পান, তখন এই সুবিধেগুলির মাধ্যমে তারা ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। যখন কেউ স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ অন্যান্য সুবিধেগুলি পান, তখন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উন্নতির কথা ভাবেন এবং দেশের উন্নতির কথা ভাবেন। আজ মুদ্রা, স্বনিধি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। ভারতে বহু প্রকল্প আছে, যেগুলি দরিদ্র মানুষদের জীবনে মর্যাদা নিয়ে এসেছে, তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটেছে।
ভাই ও বোনেরা,
সাধারণ মানুষ যখন তার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পান, যখন তাদের বাড়িতে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে এসে পৌঁছায়, তখন কিভাবে জীবনের পরিবর্তন হয়, গুজরাট সেটি খুব ভালো করে জানে। একটা সময় ছিল যখন গুজরাটের বহু জায়গায় মা ও বোনেদের অনেকটা পথ হেঁটে জল আনতে হত। আমাদের মা ও বোনেরা দেখেছেন, রাজকোটে ট্রেন পাঠানো হয়েছে জলের জন্য। রাজকোটে বাড়ির বাইরে গর্ত খুঁড়ে মাটির তলার পাইপে বাটি বসিয়ে জল তুলে বালতি ভরতে হতো। কিন্তু আজ মা নর্মদার জল কচ্ছতেও পৌঁছচ্ছে। কেউ কি কখনও ভেবেছেন, সর্দার সরোবর জলাধার থেকে সাওনী যোজনায় খালের সাহায্যে এই জল কচ্ছ অঞ্চলে এসে পৌঁছাবে। আমাদের এখানে বলা হয় যে, মা নর্মদাকে স্মরণ করলেই পুণ্য অর্জন হয়। আজ তো স্বয়ং মা নর্মদাই গুজরাটের গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন, স্বয়ং মা নর্মদাই ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছেন, স্বয়ং মা নর্মদাই আপনার দরজায় এসে আপনাকে আর্শীবাদ করেছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সে দিন আর বেশি দেরি নেই, যেদিন গুজরাট জুড়ে ১০০ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছবে। ধীরে ধীরে গোটা দেশ বুঝতে পারছে, সাধারণ মানুষের জীবনে কিভাবে পরিবর্তন আসছে। স্বাধীনতার কয়েক দশক পরেও মাত্র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবার নলবাহিত জল পরিষেবার সুবিধা পেতেন। কিন্তু আজ জল জীবন মিশনে সারা দেশে মাত্র ২ বছরের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ পরিবার নলবাহিত জলের সুবিধা পাচ্ছেন। আর তাই আমার মা ও বোনেরা আমাকে আর্শীবাদ করেন।
ভাই ও বোনেরা,
গুজরাটে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুবিধে বোঝা যাচ্ছে। আজ সর্দার সরোবর জলাধার থেকে উন্নয়নের নতুন এক ধারাই প্রবাহিত হচ্ছে না, সারা পৃথিবীর কাছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি একটি নতুন আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। কচ্ছের পুনর্নবিকরণযোগ্য জ্বালানী পার্ক তৈরি হচ্ছে। এর ফলে সারা পৃথিবীর পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তির মানচিত্রে গুজরাট স্থান পাবে। গুজরাট জুড়ে রেল এবং বিমান পরিবহণ ব্য়বস্থা গড়ে তোলার জন্য অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। আমেদাবাদ এবং সুরাটের মতো শহরে দ্রুত গতিতে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা পরিষেবার কাজে গুজরাট প্রশংসা কুড়োচ্ছে। রাজ্যে যে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তার সাহায্যে ১০০ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সব থেকে বড় যে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটিকে মোকাবিলা করতে সুবিধে হয়েছে।
বন্ধুগণ,
গুজরাট সহ গোটা দেশে এমন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি দেশবাসী এবং প্রত্যেক অঞ্চল নতুন আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। প্রতিটি স্বপ্ন পূরণে এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এই আত্মবিশ্বাস একটি বড় সূত্র। অলিম্পিক্সে আমাদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তার আদর্শ উদাহরণ। এই প্রথম অলিম্পিক্সে এতো বেশি সংখ্যক খেলোয়াড় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। মনে রাখবেন আমরা এমন একটি সময়ে এই যোগ্যতা অর্জন করেছি, যখন ১০০ বছরের মধ্যে সব থেকে বড় বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। প্রথমবারের মতো আমরা বেশ কিছু খেলা খেলবার যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমাদের খেলোয়াড়রা শুধু যোগ্যতাই অর্জন করেন নি, তাঁরা বড় খেলোয়াড়দের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। আজ ভারতীয় খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ আবেগ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনা নিয়ে খেলছেন। যখন সঠিক মেধা শনাক্ত হয় এবং তাকে উৎসাহিত করা হয়, তখনই এই আত্মবিশ্বাস জন্মায়। যখন ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়, সেটি স্বচ্ছ হয়, তখন এই আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। আমাদের খেলোয়াড়দের এই নতুন আত্মবিশ্বাস আজ নতুন ভারতের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা দেশের প্রতিটি ছোট এবং বড় গ্রামে, শহরে, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনারা এই আস্থা দেখতে পাবেন।
বন্ধুগণ,
এই একই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং টিকাকরণ অভিযানে যুক্ত থাকতে হবে। বিশ্বজুড়ে মহামারীর সময়কালে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ আজ ৫০ কোটি টিকার ডোজ দেবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এগিয়ে চলেছে। গুজরাটও ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়ার মাইল ফলক অতিক্রম করতে চলেছে। তবে, আমরা যেমন টিকা নেবো, একই সঙ্গে মাস্ক পরবো এবং জনবহুল এলাকায় যতটা সম্ভব না যাবার চেষ্টা করবো। আমাদের সাবধানতা বজায় রাখতে হবে, সুরক্ষিত থাকতে হবে।
বন্ধুগণ,
আজ যখন আমরা প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার জন্য এতো বড় কর্মসূচীর আয়োজন করছি, সেই সময়ে আমি দেশবাসীকে আরো একটি সঙ্কল্প গ্রহণ করতে বলবো। এই সংকল্প দেশ গঠনের জন্য নয়, নতুন অনুপ্রেরণা তৈরির জন্য। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে আমাদের এই পবিত্র সংকল্পটি নিতে হবে। আমাদের দরিদ্র, ধনী, পুরুষ ও মহিলা, সমাজের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ౼ সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গুজরাট আগামী দিনে তার সমস্ত সংকল্প বাস্তবায়িত করবে, বিশ্বে তার গৌরবময় উপস্থিতি যাতে অনুভূত হয়, সেটি নিশ্চিত করবে। এই কামনা করে আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। আরো একবার অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা !!! আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!
[প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন। ]

CG/CB/SFS



(Release ID: 1747863) Visitor Counter : 246