পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

২০২২-এ প্রথমবার দেশজুড়ে একসঙ্গে হাতি ও বাঘ গণনা করা হবে; বিশ্ব হাতি দিবসে প্রকাশিত সংখ্যা নিরূপণ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে

Posted On: 12 AUG 2021 3:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ আগস্ট, ২০২১

সারা দেশে ২০২২-এ হাতি ও বাঘের সংখ্যা নিরূপণের যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে তা আজ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভুপেন্দর যাদব। মন্ত্রক এই প্রথমবার একসঙ্গে হাতি ও বাঘের গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে আজ এই গণনা পদ্ধতি প্রকাশ করা হয়।
এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী শ্রী যাদব হাতি সংরক্ষণে স্থানীয় মানুষের সক্রিয় সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, হাতি সংরক্ষণে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রয়াস গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে, মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত কমানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সংখ্যা নিরূপণ পদ্ধতিতে মানোন্নয়ন ও সঙ্গতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে, সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। সম্পূর্ণ বিজ্ঞান-ভিত্তিক এই নিরূপণ পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হবে। দেশে হাতি ও বাঘের সংখ্যা একসঙ্গে নিরূপণের যে প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, হাতি সংরক্ষিত হলে অরণ্য সুরক্ষিত হবে এবং অরণ্যভূমি সুরক্ষিত হলে সমগ্র বাস্ততন্ত্রই নিরাপদ হয়ে উঠবে। প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে সহাবস্থানের চিরাচরিত ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী চৌবে বলেন, পরম্পরাগত এই রীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে যুব সমাজকে বড় ভূমিকা নিতে হবে।
এই উপলক্ষে দুই মন্ত্রী পাক্ষিক পত্রিকা ‘ট্রাম্পেট’-এর চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশ করেন। এবারের সংস্করণে রাজ্য বন দপ্তরগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে হাতি সংরক্ষণে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এবারের বিশ্ব হাতি দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সপ্তাহব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের আয়োজন করেছে মন্ত্রক। ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, ডব্লিউ.ডব্লিউ.এফ. ইন্ডিয়া, এবং ডব্লিউ.টি.আই.-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে মন্ত্রক সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অনলাইনে চিত্রাঙ্কন ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুই মন্ত্রী এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
আই.ইউ.সি.এন. ইতিমধ্যেই এশীয় প্রজাতির হাতিকে ‘সঙ্কটগ্রস্ত পশু’র তালিকায় নথিভুক্ত করেছে। ভারত বাদে অধিকাংশ রাষ্ট্রেই বন্য হাতির অনুকূল পরিবেশ ও বাসস্থানের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে, চোরাশিকারীদের অত্যাচারও বেড়েছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশীয় প্রজাতির হাতির সংখ্যা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার। এর মধ্যে ভারতেই বন্য পরিবেশে প্রায় ৬০ শতাংশ হাতি রয়েছে। ভারতীয় হাতিকেও পরিযায়ী শ্রেণীর পশু হিসেবে অ্যাপেনডিক্স-১-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে, দেশে হাতি সংরক্ষণের গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
হাতি সংরক্ষণে উপযুক্ত বাসস্থান গড়ে তুলতে, চোরাশিকারীদের কবল থেকে হাতিকে রক্ষা করতে এবং বন্দী থাকা হাতিদের উপযুক্ত দেখভাল ও চিকিৎসা প্রদানে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে প্রতি বছর আজকের দিনটি বিশ্ব হাতি দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। হাতি ভারতের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই, ভারতেও স্থলভূমির সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটির সংরক্ষণে সচেতনতা প্রচারের জন্য দিনটি যথাযথভাবে উদযাপন করা হয়। এ বছর নতুন দিল্লির ইন্দিরা পর্যাবরণ ভবনে বিশ্ব হাতি দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এই উপলক্ষে মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের বন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

CG/BD/DM


(Release ID: 1745220) Visitor Counter : 296