PIB Headquarters

কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত পিআইবি-র সংবাদ

Posted On: 16 APR 2021 6:23PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৬ই এপ্রিল, ২০২১

 

ভারতে মোট টিকাকরণ ১১.৭২ কোটি ছাড়িয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ লক্ষেরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

•           দেশজুড়ে ২৬ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে

•           নতুন সংক্রমণের ৯ শতাংশই ঘটেছে ১০টি রাজ্যে

•           ভারতের নতুন সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান, ২, ১৭,৩৫৩ জন গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন

•           দেশে আজকের হিসেবে মোট কোভিড মুক্ত হয়েছেন ১,২৫,৪৭,৮৬৬ জন। জাতীয় আরোগ্য লাভের হার ৮৭. ৮ শতাংশ

•           গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,১৮,৩০২ জন

•           গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন কোনো সংক্রমণের খবর নেই। এই রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হলঃ লাদাখ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং অরুণাচলপ্রদেশ।

বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানের অঙ্গ হিসাবে দেশে আজ পর্যন্ত ১১ কোটি ৭২ লক্ষেরও বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে ১১ কোটি ৭২ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৯টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৯৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রথম ডোজ ও ৫৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৩৪ জন স্বাস্থ্য কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ১ কোটি ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৪ জন কর্মী প্রথম ডোজ এবং ৫১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৯১ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। টিকাকরণ অভিযানের মাধ্যমে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৪২ জন সুফলভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৬১ জন সুফলভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ৪৫-৬০ বছর বয়সী ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৯০ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৬৮ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।

 বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1712300

পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা তা জানতে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়াও ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টার্নাল ট্রেড, ইস্পাত, সড়ক পরিবহন প্রকৃতি মন্ত্রকের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন যে মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী ১২ টি অতি করোনাপ্রবন রাজ্যের অক্সিজেন সরবরাহের বর্তমান এবং আগামী ১৫ দিনের পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জেনেছেন। এই ১২ টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান। এইসব রাজ্যগুলি থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে  জানানো হয়েছে যে, এই ১২ টি রাজ্যে ২০,২৫ এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাহিদা পূরণের জন্য ৪,৮৮০, ৫,৬১৯ এবং ৬,৫৯৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

ভারতে ক্রমবর্ধমান অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে, ইস্পাত কারখানাগুলিতে মজুত রাখা অক্সিজেনও প্রয়োজনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশ জুড়ে অক্সিজেনবাহী ট্যাংকার যাতে সহজে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ভারত সরকার প্রতিটি রাজ্যে অক্সিজেনবাহী যান যাতে সহজে চলাচল করতে পারে সে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখতে প্রয়োজনে ট্রাকচালকদের শিফ্ট অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে নাইট্রোজেন এবং আর্গন বাহী ট্যাংকার গুলিকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা  চিকিৎসার প্রয়োজনে অক্সিজেন আমদানির জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কে অবহিত করেন।

বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1712222

 

রাজধানী অঞ্চলে  কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাঃ হর্ষ বর্ধন, নতুন দিল্লির এইমসের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন

ডাঃ হর্ষ বর্ধন, কোভিড এবং কোভিড নয়, এধরণের রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে শয্যা, যে সব বেডে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, সেই ধরণের সাধারণ ও আইসিইউ ওয়ার্ডের বিষয়ে পর্যালোচনা করেছেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কাজ করতে কি রকমের অসুবিধা হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

মন্ত্রী, নতুন দিল্লির এইমস –এর জয়প্রকাশ নারায়ণ অ্যাপেক্স ট্রুমা সেন্টারে যান এবং সেখানকার চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কোভিড নির্ধারিত এই হাসপাতালে ঐ সব রোগীদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন।  

ডাঃ হর্ষ বর্ধন এর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে জনসাধারণকে কোভিড সংক্রান্ত মান্যবিধিগুলির কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের এই সময়ে সব থেকে বড় কাজ হল মানুষকে কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণ বিধি সম্পর্কে জানানো। মানুষ এখন  শৈথিল্য দেখাচ্ছেন, যা অত্যন্ত বিপদজনক প্রবণতা। আমরা যদি সরবরাহ শৃঙ্খল ভাঙতে চাই, তাহলে কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে, কারণ এগুলি সব থেকে বড় সামাজিক হাতিয়ার।“ জনসাধারণকে কোভিড মান্য আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড মুক্ত পরিবেশের বিষয়ে তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। যেখানে স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধারা কঠোর পরিশ্রম করে এই লড়াই-এ বিজয়ী হয়েছেন। মন্ত্রী আরো জানান, গত ৭ দিনে দেশের ৫২টি জেলায় নতুন সংক্রমণের খবর নেই। ১৪ দিনে ৩৪টি জেলায় এবং নতুন করে সংক্রমণের খবর নেই। তিনি কেন্দ্রের রেমডেসিভির এবং আইটোলিজুমাব রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কিভাবে এই ওষুধগুলির কালোবাজারি বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।  

 

বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1712252

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিজেদের এক্তিয়ারে থাকা হাসপাতালগুলির শয্যা কোভিড - ১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট করতে বলেছে

এই হাসপাতাল ও কোভিড ব্লকগুলির তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে

 

দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বহু রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির সক্রিয় সহযোগিতায় সামগ্রিক প্রয়াস গ্রহণ করে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। কোভিডের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠী এবং কেন্দ্রীয় সচিবরা পরিস্থিতির যথাযথ মোকাবিলায় নিরন্তর কাজ করে চলেছেন এবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

সারা দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের পরিকাঠামোয় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অন্যান্য মন্ত্রক ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিজেদের এক্তিয়ারে থাকা হাসপাতালগুলির শয্যা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট করতে বলেছে। আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে হাসপাতালের মধ্যেই কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্লক গড়ে তুলতে। এর ফলে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি, প্রয়োজন-সাপেক্ষে বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এমনকি, এই হাসপাতালগুলির ওয়ার্ড বা ব্লকগুলিতে অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবার বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলেছেন, দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধির ফলেই যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার জন্য সমস্ত মন্ত্রক/দপ্তর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তথা তাদের এক্তিয়ারে থাকা হাসপাতালগুলির পক্ষ থেকে গত বছরের মতো এবারও একই ধরনের সক্রিয় সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

সুনির্দিষ্ট এই হাসপাতাল বা চিকিৎসা ব্লকগুলিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কোভিড শয্যা সংখ্যা, পরিষেবা, পৃথক চিকিৎসা ব্লক প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রচারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঐ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক/দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের জন্য একজন নোডাল আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট নোডাল আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে জানাতে হবে।

বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1712298

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, ছত্তিশগড় এবং উত্তরপ্রদেশে কোভিড পরিস্থিতি ও কনটেনমেন্ট সহ বিভিন্ন ব্য়বস্থাপনা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন

ছত্তিশগড় এবং উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতোই কোভিড – ১৯ এ যথেষ্ট প্রভাবিত। এই তিনটি রাজ্যে ১ লক্ষের বেশি সংক্রমিত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ছত্তিশগড় এবং উত্তরপ্রদেশে কোভিডের কারণে মৃত্যুর হারও বেশি। গত ৭ দিনের গড় হিসেবে ছত্তিশগড়ে ৬.২ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিস্তারিত পর্যালোচনার পর এই রাজ্যগুলিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1712248 

 

পিআইবি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

 

•           মহারাষ্ট্র : রাজ্যে বৃহস্পতিবার ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। রাজ্যের মধ্যে পুণেতে ৫৯,১৯০ জন টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে একই দিনে মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৬১,৬৯৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্য জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ টোপে হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো এবং রেমডেসিভির ও অক্সিজেনের সহজলভ্যতার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মুম্বাই নগর কর্তৃপক্ষ ৪ তারা ও ৫ তারা হোটেলগুলিতে উপসর্গহীন অথবা যাদের হালকা উপসর্গ রয়েছে, তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করেছে।

•           গুজরাট : গুজরাট সরকার, সে রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেনের পুরোটাই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার, গত ১৫ দিনে ১৮০০০ কোভিড বেড বাড়িয়েছে। আগামী দিনে আরো ৮০০০ বেড বাড়ানো হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী জানিয়েছেন। গুজরাটে নতুন করা ৮১৫২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৬৩১ জন আমেদাবাদের বাসিন্দা।

•           রাজস্থান : কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ আটকাতে রাজস্থান সরকার, শুক্রবার সন্ধ্যে ৬ টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেছে। তবে অত্যাবশক পরিষেবা যেমন, দুধ ও রান্নার গ্যাস সরবরাহ, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা – এই কারফিউ এর বাইরে থাকছে। সোয়াই মান সিং মেডিকেল কলেজ, কোভিড – ১৯ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি নীতি – নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। ঐ নির্দেশিকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে তারা যেন রেমডেসিভি ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন, জরুরী ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন।

•           মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রাজ্যে ৯৪টি কোভিড কেয়ার সেন্টার চালু হয়েছে। প্রত্যেক জেলাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার জন্য ২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেক জেলাকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা স্থগিত করেছে।

•           ছত্তিশগড় : রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার, জরুরী পরিষেবা বজায় রাখা সংক্রান্ত আইন – এএসমা জারি করেছে। ছত্তিশগড় সরকার, সে রাজ্যে যাঁরা আকাশ পথে এবং রেলপথে প্রবেশ করবেন, তাদের সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে।  

•           কেরালা : কেরালায় আজ দুপুর পর্যন্ত ২৪,৯৫৩ জন টিকা নিয়েছেন। রাজ্যে এপর্যন্ত মোট ২,০৬,১১৬ জন টিকা পেয়েছেন। রাজ্য সরকার, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ৩ ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে।

•           তামিলনাডু : রাজ্যে ৫৮,০৯৭ জন নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় ২০২০র ৩১শে জুলাই এর হিসেবের থেকেও বেশি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সরকারী হাসপাতালগুলিতে আরো বেশি করে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর সংক্রান্ত সমীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে কারোর সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলে তাকে আরটি – পিসিআর এর মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

•           কর্ণাটক : কোভিড সংবাদ অনুযায়ী ১৪,৭৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। কর্ণাটক হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, যারা মাস্ক পরবেন না ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবে না, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।

•           অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যে ১ দিনে নতুন করে ৫০৮৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এই সময়ে আরো ১৪ জন সংক্রমিত মারা গেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি, আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যাতে টিকাকরণ কর্মসূচী আরো ত্বরান্বিত করে।

•           তেলেঙ্গানা : রাজ্যে বৃহস্পতিবার ১,৫৪,৫৬৮ জনকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৩,৬৩১ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব সরকারী এবং বেসরকারী হাসপাতালে কোভিড বেড ২৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।

•           মণিপুর : মণিপুরে বুধবার ২১ জন কোভিড সংক্রমিত থাকলেও বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮। বুধবার ৩২,১০৯ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

•           মেঘালয় : মেঘালয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকার, টিকাকরণ বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী হচ্ছে।

•           সিকিম : সিকিমে নতুন করে ৪১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।

•           নাগাল্যান্ড : নাগাল্যান্ডে ৪২ জন নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় রাজ্যে এই মুহুর্তে মোট ১২১ জন চিকিৎসাধীন।

•           পাঞ্জাব : পাঞ্জাবে ২,৮৬,৮১৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যে টিকাকরণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

•           হরিয়ানা : রাজ্যে আজকের হিসেবে মোট ৩,৩৫,৮০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন।

•           চন্ডিগড় : চন্ডিগড়ে ৩২,৩৯৭ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে।

•           হিমাচলপ্রদেশ : হিমাচল প্রদেশে ৭৩৬২ জনের চিকিৎসা চলছে। রাজ্যে ১১৪৬ জন সংক্রমণে মারা গেছেন।

 

CG/CB/SFS


(Release ID: 1712430) Visitor Counter : 221