সংস্কৃতিমন্ত্রক
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে ‘ডান্ডি অভিযান’-এর ২৫ দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সমাপ্তি
Posted On:
06 APR 2021 6:30PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৬ এপ্রিল, ২০২১
গুজরাটের ডান্ডিতে জাতীয় লবণ সত্যাগ্রহ স্মারকস্থলের কাছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব-এর অঙ্গ হিসেবে ডান্ডি পদযাত্রার ২৫ দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সমাপ্তি পর্বে আজ উপরাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু উপস্থিত ছিলেন। গুজরাট সরকার এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের ভাষণে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, গান্ধীজীর ঐতিহাসিক ডান্ডি লবণ অভিযান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক সন্ধিক্ষণ মুহূর্ত ছিল। শ্রী নাইডু জানান, এই অভিযান ইতিহাসের ধারা পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, তখন আজ ডান্ডি অভিযানকে প্রতীকি হিসেবে স্মরণ করছি। কারণ এই অভিযান সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার শিক্ষা দিয়েছে।’
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে সকলের অনুপ্রেরণা নেওয়া প্রয়োজন। গান্ধীজী তাঁর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও সর্বদা বিনয়ী ও সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, ‘গান্ধীজীর অহিংসা নীতি কেবল শারীরিক অহিংসার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং অহিংসাকে শব্দ-বাক্য এবং চিন্তাধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।’
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব - ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭৫ সপ্তাহ ব্যাপী উৎসব উদযাপনের জন্য গত ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন। এই উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে বিগত ৭৫ বছরে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এটি হল এমন এক উৎসব, যা দেশের সুপ্ত শক্তিগুলিকে পুনরায় উদ্ভাবনে সকলকে উৎসাহ যোগায় এবং সচেতন হয়ে উঠতে উৎসাহ প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল বলেন, ৯১ বছর আগে মহাত্মা গান্ধী দেশের আত্মনির্ভরতা ও আত্মশ্রদ্ধা জাগরণের জন্য যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এখন ৯১ বছর পরে ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রতীকি ডান্ডি যাত্রা স্বনির্ভরতা ও আত্মসম্মানের পথ দেখিয়েছে। তবে এই যাত্রা এখানেই শেষ নয়। এটি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের শুরু বলে বর্ণনা করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই ঐতিহাসিক যাত্রা পুনরায় করার উদ্দেশ্যই হল নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। শ্রী প্যাটেল বলেন, বিশ্বের দরবারে ভারত নিজস্ব শক্তির পরিচয় দিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণ অভিযানের কথা তুলে ধরেন।
এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থনা মন্দিরে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং ঐতিহ্যবাহী ডান্ডি অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তিনি ঐতিহাসিক সাইফি ভিলা পরিদর্শন করেন। ১৯৩০ সালের ৪ঠা এপ্রিল একরাত্রি এই ভিলায় কাটিয়েছিলেন গান্ধীজী। এরপর, শ্রী নাইডু জাতীয় লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক পরিদর্শন করেন। লবণ সত্যাগ্রহের কর্মী ও অংশগ্রহণকারীদের সম্মানে এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য এ ধরনের স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। উপ-রাষ্ট্রপতি দেশের যুবদের এই ডান্ডি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করা এবং জাতির জনকের জীবন দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপ-রাষ্ট্রপতি গুজরাট রাজ্য হস্তশিল্প উন্নয়ন পর্ষদের জিআই ট্যাগ পণ্য সম্পর্কিত বিশেষ খাম প্রকাশ করেন। সিকিম, ছত্তিশগড় এবং গুজরাটের লোকশিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন তিনি।
CG/SS/AS/
(Release ID: 1710099)
Visitor Counter : 526