প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ভারত-অস্ট্রেলিয়া বৃত্তীয় অর্থনীতি (আই-এসিই) উপর আয়োজিত হ্যাকাথনের দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 19 FEB 2021 10:21AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১  
 
বন্ধুগণ,
 
গত বছর জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী মরিসন ও আমি বৃত্তীয় অর্থনীতির ওপর একটি হ্যাকাথন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। 
 
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের সেই ভাবনা এত দ্রুত বাস্তাবায়িত হয়েছে। 
 
আমি আমার প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন’কে এই যৌথ উদ্যোগে তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
 
কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে তাঁদের দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন, তার জন্য আপনারা সকলেই প্রশংসার যোগ্য।
আমার কাছে আপনারা প্রত্যেকেই বিজয়ী। 
 
বন্ধুগণ,
 
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবজাতি যে সঙ্কটের সম্মুখীণ, তার সঙ্গে এই হ্যাকাথনের বিষয়টি যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। 
 
আমাদের গ্রহের ওপর ভোগবাদী অর্থনীতি যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি করছে। 
 
আমাদের কখনই ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা প্রত্যেককে মা বসুন্ধরা  যা দিচ্ছেন তার মালিক আমরা নই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা শুধুমাত্র তার রক্ষাকর্তা।
 
আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা এবং এই প্রক্রিয়ার ফলে দূষণ যাতে কম হয়, সেই দিকটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ।   
 
কতটা দ্রুত বা শ্লথগতিতে চলতে হবে – সেটি বড় বিষয় নয়, যদি লক্ষ্য ভুল হয়, তা হলে আমরা ভুল গন্তব্যে পৌঁছবো। 
 
আর তাই, আমাদের সঠিক গন্তব্যের দিকে এগোতে হবে।
 
আমাদের পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের পদ্ধতির দিকটি বিবেচনা করতে হবে এবং কিভাবে আমরা এর ফলে, বাস্তুতন্ত্রের উপর চাপ কমাতে পারি, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 
 
এটিই হ’ল বৃত্তীয় অর্থনীতির ধারণা। আমরা যেসমস্ত চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন সেগুলি সমাধান করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
আমাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন সামগ্রীর পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থ বাতিল করা এবং দক্ষভাবে সম্পদের ব্যবহার করার মত বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
 
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা, এই হ্যাকাথনে নতুন উদ্যোগ ও শিল্পোদ্যোগীদের অনেক উদ্ভাবনমূলক সমাধান দেখেছে। 
 
বৃত্তীয় অর্থনীতির দর্শনের প্রতি আপনাদের অঙ্গীকার এই উদ্ভাবনগুলির প্রতিফলন। 
 
আমাদের দুটি দেশের বৃত্তীয় অর্থনীতির সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের উদ্ভাবনগুলি যে অনুপ্রেরণার কারণ হবে, সে বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই।
 
আমাদের এই উদ্ভাবনগুলিকে কিভাবে বাস্তবায়িত ও সাহায্য করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা করতে হবে। 
 
বন্ধুগণ,
 
যুবসম্প্রদায়ের খোলা মনে নতুন নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনের যে ক্ষমতা রয়েছে, তার ফলে তাঁরা বিভিন্ন ঝুঁকি নিতে পারেন।
 
আজকের তারুণ্যে ভরপুর অংশগ্রহণকারীরা যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখিয়েছেন, সেটি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার অংশীদারিত্বের দায়িত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
 
আমাদের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও নতুন নতুন ভাবনার ইচ্ছে রয়েছে, সে বিষয়ে আমি আস্থাশীল। 
 
তাঁদের উদ্ভাবন শুধুমাত্র আমাদের দুটি দেশের জন্য স্থিতিশীল ও সর্বাঙ্গীণ সমাধানই সম্ভব করবে না, এটি সারা বিশ্বের জন্যও কার্যকর হবে। 
 
কোভিড পরবর্তী বিশ্বে ভারত-অস্ট্রেলিয়া অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
 
এই অংশীদারিত্বে আমাদের যুবসম্প্রদায়, আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা, আমাদের নতুন উদ্যোগীরা সম্মুখভাগে থাকবেন। 
 
ধন্যবাদ! 
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
 
***
 
 
 
 
CG/CB/SB

(Release ID: 1699381) Visitor Counter : 182