প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
Posted On:
08 FEB 2021 12:50PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি উচ্চকক্ষের সদস্যদের বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণে বিশ্বের এই সঙ্কটের সময় আশা ও আস্থা সঞ্চারিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভারত আজ সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, সারা বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে। আমাদের গ্রহকে আরও সুন্দর করে তোলার ব্যাপারে সারা বিশ্বের ভারতের ভূমিকার প্রতি আশা এবং আস্থা রয়েছে। দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করেছে। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপনের সময় আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য এখন আমাদের এই উৎসবকে উৎসাহ ও পুনঃউৎসর্গীকরণের উৎসব হিসাবে পালন করতে হবে।
শ্রী মোদী বলেছেন, কোভিড মহামারী যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সাফল্য কোনও একটি দল বা ব্যক্তি-বিশেষের নয়, এই সাফল্য সারা দেশের। আর একে তাই আমাদের উদযাপন করতে হবে। পোলিও এবং গুটিবসন্তের মতো অসুখের সম্ভাবনা ছিল ভারত সেই দিনগুলি অতিক্রম করে এসেছে। কেউ-ই জানতেন না যে ভারত কবে টিকা পাবে এবং কতজন সেই টিকা পাবেন। সেই সময় পেরিয়ে আজকের এই সময়ে আমাদের দেশ সারা বিশ্বের জন্য টিকা তৈরি করছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করছে। এর ফলে, আমাদের নিজের প্রতি আস্থা বেড়েছে। কোভিড-১৯ সময়কালে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নতুন শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি সমালোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ভারতের গণতন্ত্র কোনও পশ্চিমী প্রতিষ্ঠান নয়, এটি মানুষের প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ওপর সবদিক থেকে আক্রমণ হচ্ছে, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে যে সতর্ক থাকতে হবে – তা বলাই বাহুল্য। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় জাতীয়তাবাদ সংকীর্ণ নয়, আত্মকেন্দ্রিক নয়, আগ্রাসীও নয়। সত্যম শিবম সুন্দরম – নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। “ভারত শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই নয়, ভারত হ’ল গণতন্ত্রের জননী। আর এটিই আমাদের মূল নীতি। আমাদের দেশের ভাবধারাই হ’ল গণতান্ত্রিক”।
শ্রী মোদী বলেছেন, যখন করোনার সময়কালে বিভিন্ন দেশ বিদেশি বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ভারতে সেই সময়ে রেকর্ড বিনিয়োগ হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয়, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ডিজিটাল ও আর্থিক সমন্বয়, শৌচাগার নির্মাণ, স্বল্প মূল্যের আবাসন, রান্নার গ্যাসের ব্যবহার এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সঙ্কট রয়েছে। আর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা এই সঙ্কটের মধ্যে থাকবো - নাকি সেগুলির সমাধান করবো।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে সরকার কৃষকদের ক্ষমতায়নের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কারসাধন করেছে। শস্য বিমা প্রকল্পকে আরও বেশি কৃষক-বান্ধব করে তোলা হয়েছে। পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। সরকার ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য কাজ করছে। পিএমএফবিওয়াই – এর আওতায় কৃষকরা ৯০ হাজার কোটি টাকার বিমা পেয়েছেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, সয়েল হেলথ কার্ড এবং সম্মান নিধি থেকেও কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। পিএম গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তার মানোন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে, কৃষকরা দূরবর্তী অঞ্চলে তাঁদের উৎপাদিত শস্য নিয়ে যেতে পারছেন। কিষাণ রেল ও কিষাণ উড়ান চালু হয়েছে। আজ ক্ষুদ্র চাষীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমবায় প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা যায়, তা হলে ক্ষুদ্র চাষীদের এই সুবিধা দেওয়া যাবে না কেন?
কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। কৃষকদের কল্যাণে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এমএসপি আছে, এমএসপি ছিল, এমএসপি ভবিষ্যতেও থাকবে। দরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে রেশন ব্যবস্থা জারি থাকবে, কৃষি বাজারগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হবে”। কৃষক কল্যাণে আমাদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী দেশকে যারা অস্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সব শক্তিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। শিখদের অবদানে ভারত গর্বিত। দেশের জন্য শিখদের অনেক অবদান রয়েছে। গুরু সাহিবের বাণী ও আশীর্বাদ মূল্যবান। প্রধানমন্ত্রী শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পার্থক্য দূর করতে সেতুবন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শ্রী মোদী যুবশক্তির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যুব সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। জাতীয় শিক্ষা নীতি দ্রুত গ্রহণ করার তিনি প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ও বিকাশের ক্ষেত্রে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সম্ভাবনা প্রচুর। আর তাই করোনার সময়কালে সহায়ক প্যাকেজে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস – মন্ত্রের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, নকশাল প্রভাবিত এলাকা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের উন্নয়নে আগামী দিনে পূর্বাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
***
CG/CB/SB
(Release ID: 1696386)
Visitor Counter : 233
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam