কৃষিমন্ত্রক
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের ২০২০ বর্ষশেষের পর্যালোচনা
Posted On:
02 JAN 2021 1:19PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০২ জানুয়ারি, ২০২১
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ সত্বেও কৃষিক্ষেত্রটি বাদ ছিল। সরকার পরবর্তীকালে উপলব্ধি করতে পারে যে এই ক্ষেত্রকে উন্নত করতে হলে কৃষকদের জন্য সংস্কার অপরিহার্য।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের ২০২০ সালের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলি হচ্ছে-
১) বাজেট বরাদ্দে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি। ২০২০-২১-এ বাজেট বরাদ্দ প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ১,৩৪,৩৯৯.৭৭ কোটি টাকা করা হয়েছে। যেখানে ২০১৩-১৪ তে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২১৯৩৩.৫০ কোটি টাকা।
২) রেকর্ড সংখ্যক খাদ্যশস্যের উৎপাদন। ২০১৫-১৬ তে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫১.৫৪ লক্ষ টন। ২০১৯-২০তে তা বেড়ে হয়েছে ২৯৬.৬৫ লক্ষ টন।
৩) সরকার খরিফ, রবি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসলের ক্ষেত্রে দূরত আমার সহায়ক মূল্যের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।
৪) কৃষকদের কাছ থেকে ফসল সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি। কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের পরিমাণ ২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে যেখানে ২.০৬ লক্ষ কোটি টাকা ধান সংগ্রহ বাবদ কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা। একইভাবে গম, ডাল শস্য, তৈলবীজ এবং খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫) প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এই যোজনায় ১,১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ১০.৫৯ লক্ষ কৃষক পরিবার।
৬) প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার চতুর্থ বর্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে। এই প্রকল্পে ২৩ কটি কৃষক নথিভূক্ত হয়েছেন।
৭) কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২.৫ কোটি কৃষক উপকৃত হয়েছেন।
৮) কৃষকদের জন্য মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্ড বিতরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৯) দেশে জৈব চাষ প্রয়োগের ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ।
১০) নিম যুক্ত ইউরিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম করে মাটির স্বাস্থ্য বৃদ্ধি।
১১) সরকার ২০২০-র ৯ আগষ্ট কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছে। যা একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
১২) দশ হাজার এফপিও গঠনের জন্য বাজেটে ৬,৮৬৫ কোটি টাকার সংস্থান।
১৩) জাতীয় মৌ পালক ও মধু মিশন আত্মনির্ভর ভারতে অভিযানের একটি অংশ হিসেবে গঠন করা হয়েছে। এজন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
১৪) প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিন্চাই যোজনার মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা প্রদান।
১৫) ক্ষুদ্রসেচ তহবিল গঠন। এ বাবদ নাবার্ডকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদান। যা বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে।
১৬) কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ।
১৭) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি।
১৮) দেশের ১৮ টি রাজ্য এবং ৩ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এক হাজারটি বাজারে ই-নাম পরিষেবার ব্যবস্থা।
১৯) কিষাণ রেল পরিষেবার মাধ্যমে ফসল ও পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা।
২০) বাস্তু তন্ত্রের সূচনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ৪৫.৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার প্রথম পর্যায়ে ১৯.৭০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
***
CG/SB
(Release ID: 1685676)
Visitor Counter : 643