সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের বর্ষশেষ পর্যালোচনা-২০২০
प्रविष्टि तिथि:
31 DEC 2020 4:59PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩১ডিসেম্বর , ২০২০
করোনার সঙ্কটকে একটি সুযোগে রূপান্তরিত করে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক চলতি বছরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে কারিগরদের তৈরি পণ্য বাজারে তুলে ধরা ও তাদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড "হুনারহাট" নিয়ে এসেছে। লোকেরা "হুনারহাট"এর পণ্যগুলি ডিজিটাল এবং অনলাইনেও কিনতে পারেন । এ বছরের "হুনারহাট"এর থিম হলো "আত্মনির্ভর ভারত" এবং " ভোকাল ফর লোকাল"।করোনার মহামারীর কারণে প্রায় ৯ মাসের ব্যবধানে দিল্লির পিতমপুরায় ১৮-২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত "হুনারহাট"এর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ১৬ লক্ষ লোক এই হুনারহাট
পরিদর্শন করেছেন।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, শ্রেষ্ঠ কারিগরদের তৈরি দুর্দান্ত দেশীয় পণ্য" স্থানীয় গর্ব "এবং" বিশ্বমানের প্রশংসা" অর্জন করেছে । দেশের প্রতিটি কোণে কাঠ, পিতল, বাঁশ, কাঁচ, কাপড়, কাগজ, কাদামাটি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্য রয়েছে। সেগুলি “হুনারহাট”এর মতো একটি বিশাল প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হয়েছে, যা শিল্পী এবং কারিগরদের বিশেষ সুযোগসুবিধা প্রদান করেছে।
চলতি বছরে "হুনারহাট" সাফল্যের নতুন উচ্চতা অর্জন করেছে। নতুনদিল্লিতে রাজ পথে ইন্ডিয়া গেট প্রাঙ্গণে চলতি বছরে ১৩ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত "হুনারহাট" আয়োজন করা হয়েছিল। উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার অধ্যক্ষ এই "হুনারহাট" পরিদর্শন করেন এবং কারিগর ও শিল্পীদের উৎসাহিত করেন।
গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আকস্মিকভাবে "হুনারহাট" সফর করেন এবং "স্বদেশী" পণ্যের উপর জোরদার দেন। "মন কি বাত" অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী "হুনারহাট" এবং কারিগর, শিল্পীদের তৈরি অতুলনীয় দেশীয় হস্তনির্মিত পণ্যগুলির প্রশংসা করেছেন। পরবর্তী সময়ে ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্ণৌর শিল্প গ্রামে "হুনারহাট" আয়োজন করা হয়েছে। আগামী দিনে, জয়পুর, চণ্ডীগড়, ইন্দোর, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, রাঁচি, কোটা, সুরত / আহমেদাবাদ, কোচি এবং অন্যান্য স্থান "হুনারহাট" এর আয়োজন করা হয়েছে।
করোনার মহামারীর কারণে চলতি বছরে হজ যাত্রা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তাই ২০২১ সালে পুরো হজ যাত্রা প্রক্রিয়া পরিচালনের সময় মহামারীর কথা বিবেচনা করে নিয়মে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। ভারত ও সৌদি আরব উভয় স্থানে হজযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা , পরিবহণ, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে হজ যাত্রীদের জন্য । কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি, গত ১০ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে ভারতের হজ কমিটির বৈঠকে জানান ২০২১ এর হজ যাত্রার জন্য আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়িয়ে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ২০২১এর হজের জন্য প্রায় ৫০,০০০ আবেদন জমা পড়েছে। আগে হজ যাত্রার জন্য ২১টি যাত্রা পথ থাকলেও এবার তা কমিয়ে ১০ টি করা হয়েছে।হজ যাত্রা প্রক্রিয়া পুরো ডিজিটাল করে তোলার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। হজ যাত্রায় ভর্তুকি অপসারণের পরেও তীর্থযাত্রীদের উপরে কোনও অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চাপানো হয়নি।
২০২০ সাল মুসলিম মহিলাদের অধিকার সম্পর্কিত একটি মাইলফলকের বছর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে, কারণ "তিন তালাক" এর বিরুদ্ধে আইন প্রত্যাহারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।এই প্রথম "মুসলিম মহিলা অধিকার দিবস" পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি ইরানী সহ একাধিক মন্ত্রী গত ৩১ জুলাই ও পয়লা আগস্ট ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশজুড়ে কয়েক হাজার মুসলিম মহিলাদের সম্বোধন করেছেন। শ্রী নকভি বলেছেন যে, সরকার “তিন তালাক” এর মতো নিষ্ঠুর সামাজিক কুফলের বিরুদ্ধে আইন এনে মুসলিম মহিলাদের সাংবিধানিক, মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে শক্তিশালী করেছে।
অভাবী মেধাবী যুবকদের “প্রচার ও অগ্রগতির” জন্য সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল "নিশাঙ্ক" ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডে পাকুরিনে একটি নতুন জহওর নভোদয় বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরদিনাজপুর ও হাওড়ায় ৪ টি জহওর নভোদয় বিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি ঘোষণা করেছেন যে খুব শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীর ও লেহ-কারগিলে ওয়াকফ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে।এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো জম্মু-কাশ্মীর এবং লেহ-কারগিলে ওয়াকফ বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হবে । সারা দেশে প্রায় ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। সমস্ত রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি ডিজিটালাইজেশনের কাজ সম্পন্ন করেছে।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন যে মহামারী ভারতীয়দের জন্য "যত্নশীল , প্রতিশ্রুতি এবং আত্মবিশ্বাস" এর একটি ইতিবাচক সময় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে সমগ্র মানবতার জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১৫০০ এরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা সহকারীরা করোনার রোগীদের চিকিৎসা ও সুস্থতায় সহায়তা করছেন।
শ্রী নকভি বলেছিলেন যে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সারাদেশে ১৬ টি হাউজকে পৃথকীকরণ এবং বিচ্ছিন্নকরণের সুবিধা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন মন্ত্রকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ফেস মাস্ক প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সে গুলি দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক করোনার সুরক্ষার জন্য সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য নির্দেশ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে।
***
CG/SS
(रिलीज़ आईडी: 1685518)
आगंतुक पटल : 174