শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

শ্রী পীযূষ গোয়েল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের ব্যাপারে ঐ দেশকে ভারতের সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন

Posted On: 22 DEC 2020 4:56PM by PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২০ 
 
 
রেল, শিল্প ও বানিজ্য, উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল আজ বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন ভারতের পক্ষ থেকে দু'দেশের মধ্যে বাধাহীন ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টিকে নিশ্চিত করা হবে । কৃষি ক্ষেত্র সম্পর্কে ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল সম্মেলনে মন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশকে ভারত বেশকিছু পণ্যসামগ্রীর উপর মাশুলমুক্ত বাজারের সুবিধা দিচ্ছে । আর্থিক সমৃদ্ধির সুবিধা যাতে দুই দেশের মানুষ, বিশেষ করে কৃষকরা পেতে পারেন তার জন্য একযোগে কাজ করার তিনি আহ্বান জানিয়েছেন , যার ফলে একটি উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উভয় দেশের নাগরিকের জন্য সুনিশ্চিত হবে ।    
 
শ্রী গোয়েল বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশ একটি উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বের উপর ভিত্তি করে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, সেটি আর্থিক দিক থেকে লাভ ক্ষতির অঙ্কের হিসেবের বাইরে।  তিনি বলেছেন এই অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলের কাছে আদর্শ উদাহরণ। যা আসলে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতিফলন। " গত ছয় বছর ধরে এই সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছে, দুটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও যোগাযোগ এবং পরিকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে ।" শ্রী গোয়েল বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্যবান্ধব  অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। তারা দুই দেশের জনসাধারণের সমৃদ্ধির জন্য উচ্চাকাঙখীও।    
 
মন্ত্রী বলেছেন উভয় দেশের ৫0 শতাংশের বেশি মানুষ কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত, যার ফলে  আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এর বিপুল প্রভাব রয়েছে। "বাংলাদেশ খাদ্যে স্বনির্ভর হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এখন কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকীকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টিতে দুটি দেশ একসঙ্গে  সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। উভয় দেশের জন্য কৃষি,  পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। কৃষি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকে অতিক্রম করা সম্ভব। "   
 
বাংলাদেশের কৃষকদের সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য সে দেশের সরকারের উৎসাহেরও মন্ত্রী প্রশংসা করেছেন। তিনি এই বিষয়ে ভারতের পক্ষে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পরিবহন, সেচ, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঋণ প্রদান, বাজারজাতকরণের সুবিধে, বীজ, নিমের আস্তরণ যুক্ত সার, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যুক্ত কুটির শিল্পের জন্য বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতে কিভাবে কৃষকদের সাহায্য করা হয় তিনি সেবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন । 
 
সম্প্রতি বাংলাদেশকে মাশুল মুক্ত যে ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানিয়েছেন,  ভারতের বিপুল বাজারের সুযোগ বাংলাদেশ এর ফলে নিতে পারবে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী গোয়েল বলেছেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করার ট্রাক্টর প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অন্যের কাছ থেকে নানা বিষয়ে জানতে পারে ౼এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে উভয় দেশ তার উপস্থিতি বাড়াতে পারবে। রেল পরিবহনে দুটি দেশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নে এক্ষেত্রে আরও নানান উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। আন্তর্জাতিক বস্ত্রশিল্পের বাজারে বাংলাদেশ এবং ভারত কিভাবে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে পারে সে নিয়ে দুই দেশের সরকার কাজ করে চলেছে। এর মাধ্যমে আমরা জনসাধারণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব, পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে আয় বাড়বে ౼যার মধ্য দিয়ে আর্থিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। 
 
***
 
 
 
CG/CB


(Release ID: 1682831) Visitor Counter : 182