মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার এবং তাতে প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

Posted On: 11 NOV 2020 3:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর,  ২০২০

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটি ২০২৪-২৫ পর্যন্ত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার ও তাতে প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের একটি প্রস্তাব আজ অনুমোদিত হয়েছে। এই কর্মসূচিটি ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রূপায়ণের জন্য সরকারের ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। 

পুনর্গঠিত এই কর্মসূচিটিতে দুটি সাব-স্কিম রয়েছে, যেখানে সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণকে আরও সুবিন্যস্ত করার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

প্রথম সাব-স্কিম : এই কর্মসূচিটি বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্র, যেমন – বর্জ্য জল পরিশোধন, জল সরবরাহ, কঠিন বর্জ্য পরিচালনা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। অধিকাংশ সময়েই সামাজিক ক্ষেত্রের এই পরিকাঠামোগত উদ্যোগগুলিতে সহজে ব্যাঙ্ক ঋণ সহায়তা মেলে না এবং মূলধন খরচ মেটানোর ক্ষেত্রেও আয়ের উৎস খুবই দুর্বল। এই কারণে সামাজিক ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলিকে প্রথম সাব-স্কিমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে এই উদ্যোগগুলি রূপায়ণ খাতে মোট খরচের ১০০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য মোট প্রকল্প খাতে খরচের ৩০ শতাংশ সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে এবং রাজ্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অথবা বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলি মোট প্রকল্প খাতে খরচের অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে।

দ্বিতীয় সাব-স্কিম : এই কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে যে সমস্ত সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মসূচিগুলিকে এজন্য চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ ধরনের কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে মোট খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি একত্রে এ ধরনের প্রকল্পের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূলধনী ব্যয় মিটিয়ে থাকে। এছাড়াও, প্রকল্প রূপায়ণের পর থেকে প্রথম ৫ বছর তার সুষ্ঠু পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণ খাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ সহায়তার সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প খাতে মোট খরচের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ব্যয় বহন করে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি পুরোদমে চালু না হওয়া পর্যন্ত প্রথম ৫ বছর পরিচালনার জন্য সর্বাধিক আরও ২৫ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। 

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিতে যে কর্মসূচিটি ইতিমধ্যেই রূপায়িত হচ্ছে, তাতে এখনও পর্যন্ত ৬৪টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ২২৮ কোটি টাকা এবং সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটানোর জন্য আরও ৫ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা খরচের সংস্থান রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটানো বাবদ ৪ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে।

সামাজিক ও আর্থিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটাতে এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সম্পদ গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে, সম্পদগুলি উপযুক্ত পরিচালনা ও সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে, যাতে প্রত্যেকটি প্রকল্পকে বাণিজ্যিক দিক থেকে মুনাফাজনক করে তোলা যায়। সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এই কর্মসূচিগুলির ফলে দেশে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের এক মাসের মধ্যেই নতুন এই কর্মসূচিটি কার্যকর হবে। পুনর্গঠিত সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটানো সংক্রান্ত কর্মসূচির আওতায় প্রস্তাবিত সংশোধনগুলি মূল কর্মসূচির নীতি-নির্দেশিকাগুলিতে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এমনকি, পুনর্গঠিত সম্ভাব্য তহবিল ঘাটানো মেটানো সংক্রান্ত কর্মসূচিটির সুবিন্যস্তকরণে আরও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, যাতে আর্থিক সহায়তাদানকারী প্রকল্পগুলিতে নজরদারি চালানো যায়। 

মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটানো সংক্রান্ত কর্মসূচিটিতে পুনর্গঠনের প্রস্তাবগুলি বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণে আরও বেশি করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আকৃষ্ট করবে। পক্ষান্তরে, দেশে নতুন হাসপাতাল, বিদ্যালয়, জল পরিশোধন কেন্দ্র, বর্জ্য পরিচালনা কেন্দ্র গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক পুনর্গঠিত এই কর্মসূচিটিতে বাজেট সহায়তা বাবদ অর্থের সংস্থান করবে। পুনর্গঠিত সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটানো সংক্রান্ত কর্মসূচিটিতে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত মন্ত্রকের ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1671997) Visitor Counter : 282